বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে বর্তমানে মুসলিম বিশ্ব ফুসে উঠেছে।এবং সমর্থন ও প্রশ্রয়দাতা দেশ ফান্সের বিরুদ্ধে পণ্য বয়কটের আহবান উলাময়ে কেরামের পক্ষ্য থেকে করা হচ্ছে।এমন পরিস্থিতিতে কেউ যদি বলে যে,আমি ফান্সের সাথে,তাহলে তার কথা ব্যাখা তলব করা হবে।যদি সে তার কথার ব্যখ্যায় বলে,রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শের নিমিত্তে আমি ফ্রান্সের সাথে আছি,তাহলে তার ঈমান চলে যাবে,ঈমান থাকবে না।কিন্তু যদি সে ব্যখ্যায় বলে যে,ফ্রান্স কর্তৃক ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের বিরুদ্ধে আমরা।তবে আমি অন্যন্য বিষয়ে ফ্রান্সের সাথে আছি, তাহলে সে মুনাফিক হিসেবে গণ্য হবে।কিন্তু তাকে শাতিমে রাসূল বলা যাবে না।মুনাফিক এজন্য বলা হবে, কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মহব্বত ঈমানের পূর্ণতা।
হযরত আনাস রাযি থেকে বর্ণিত
عن أنس، قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم «لا يؤمن أحدكم، حتى أكون أحب إليه من والده وولده والناس أجمعين»
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার পিতা-মাতা, এবং তার সন্তান ও সমস্ত মানুষ থেকে আমাকে বেশি মোহাব্বত করবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৫, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৭৭}
যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিরুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের পরও তার/তাদের সাথে রয়েছেন বলে তিনি ঘোষনা দিচ্ছেন,তাই বুঝা গেল উনার ঈমানের অপূর্ণতা রযেছে।
(২) শাতিমে রাসূলের জান ও মাল সরকারের জন্য হালাল।জনগণের জন্য হালাল হবে না।