আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। শায়খ আপনি বলেছিলেন মেসেজে তালাক চাওয়ার উত্তরে কেনায়া শব্দ বললে তালাক হয়।একটু পর নিয়ত ছাড়া বললে হয় না।তহ স্ত্রী ধরেন স্বামীর কাছে তালাক চাইলো ঝগড়া দিয়ে কোন একটা বিষয়ে।এরপর স্বামী বলল ওইরকম বিষয় বা ঐভাবে বুঝাতে চায় নি স্বামী।স্ত্রী যদি এরপর বলে মা বাবার কাছে চাইলে এমন করত না।মা বাবার কথা শুনতাম বা ওনাদের পছন্দমত করতাম বিয়ে অনেক ভাল হত।স্বামী যদি এরপর রাগ করে বলে মা বাবার জন্য বেশি দরদ হয়ছে নাকি? যাও মা বাবার পছন্দ  মত কর গা বিয়ে।এখানে কথাটা তহ ধরেন তালাক চাওয়ার উত্তরে বলে নি।মা বাবার কথাটা বলার পর স্বামীর হয়ত রাগ উঠেছে তাই বলেছে।এতে যদি পরে স্বামী বলে কোনদিন তালাকের নিয়তে কিছু বলে নি তাহলে কি তালাক হবে? স্বামী ধরেন তখন জানেই না কেনায়া তালাক কি নিয়ত ছাড়া এমনিতে রাগ করে বললে কি তালাক হবে? মা বাবার কথা ওঠা বলার পর? তালাক চাওয়ার পর হয়ত স্বামী বলেছে ওইরকম না ব্যাপারটা বা এমনিতে হেসেছে বা কিছু বলে নি।এরপর কথা ওইগুলো বলার পর তারপর স্বামী ওইরকম  নিয়ত ছাড়া বললে কি সমস্যা হবে? মানে পরে কেনায়া তালাক সম্পর্কে জানার পর নিয়ত ছাড়া বলেছে বললে??

জানি না শায়খ আমার সাথে ঠিক কি রকম হয়েছিল মনে নেই।তাই আমি অন্য জনের দিকে ইন্গিত করে প্রশ্নটা করেছি।দয়া করে একটু বলবেন।এটা নিয়ে টেনশনে খুব।অন্যজনের দিকে ইন্গিত  করে করেছি ওদের প্রশ্নের উত্তর না হলে  টেনশন কমবে।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকায় তালাক হবেনা।
তাই আপনি নিশ্চিত থাকুন, কোনো সমস্যা নেই। 
,
আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...