আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
199 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
১।আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। ধরেন কোন স্বামী স্ত্রীকে বিয়ের আগে তালাক  দিছে।কিন্তু বিয়ের আগে তালাক দিলে তহ হয় না, মানে এই বিষয়ে কোন কিছুই জানত না ধরেন ওরা।বিয়ের আগে থেকে পরিচয় ধরেন ওদের।তহ স্ত্রী যদি জানার জন্য বিয়ের পর স্বামীকে জিগ্যেস করে আগের  ওই তালাক টা কি হবে? স্বামী যদি বলে জানি না হলেও ২ টা আছে তহ বা যদি বলে হলেও আরো ২ টা আছে তহ বা আরো ২ টা আছে তহ।স্বামীও ধরেন জানে না।তাই এমনটা বলেছে।মানে বুঝাতে চেয়েছে হলেও আরো ২ টা আছে।বিয়ের আগের কথা নিয়ে বিয়ের পর স্ত্রীকে বুঝানোর জন্য এমন বলায় কি কোন সমস্যা হবে?

মনকে শান্ত করার জন্য অন্যের দিকে ইন্গিত করে প্রশ্নটা করেছি এতে কি কোন সমস্যা হবে? কারন আমার স্বামী আমাকে পাওয়ার দিছে।কিন্তু আমি আমার স্বামীর সাথে থাকতে চায়।

২।হুজুর আপনি(ওলি উল্লাহ হুজুর) বলেছিলেন মেসেজে স্ত্রী তালাক চাওয়ার উত্তরে যদি স্বামী কেনায়া বাক্য বললে তালাক হয়।উত্তরে না বলে আরো ১-২ টা কথা হওয়ার পর নিয়ত ছাড়া বললে হয় না।মানে স্বামী যদি বলে এই নিয়তে কোনদিন কিছু বলে নি বললে।তাই না?

২নং প্রশ্ন টাও মনকে শান্ত করার জন্য করেছি।এই বিষয়টা নিয়ে আমি আপনাকে কয়েকবার প্রশ্ন করেছিলাম।আপনি তালাক হবে না বলেছিলেন।দয়া করে একটু বলবেন।এই বিষয়টা নিয়ে আমার মনে বেশি ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে তাই প্রশ্ন করেছি।টেনশনে কিছুই করতে পারি না এমন ওয়াসওয়াসা আসে।কিছু  মনে করিয়েন না শায়খ।দয়া করে বলবেন

৩।কোন স্ত্রী যদি মেসেজে তালাক চায়।এরপর বলে মা বাবাকে দুঃখ দিছি।মানে মা বাবা বিয়েটা মানে নি ধরেন।আর ধরেন মেয়েটা এখনো বাবার বাসায়।স্বামী যদি বলে মা বাবা বেশি আপন হয়ে গেছে নাকি আমার থেকে? যাও মা বাবা যাকে দেয় তাকে কর গা বিয়ে।স্বামী যদি বলে তালাকের নিয়তে কোনদিন কিছু বলে নি তাহলে কি তালাক হবে কথাটা দ্বারা?

৪।শায়খ ৩ নং প্রশ্নটা নিজের দিকে ইন্গিত করে করি নি।কারন শায়খ আমার স্পষ্ট কিছু মনে নেই।কথাটা কি আমি স্বামীর কাছে তালাক চাওয়ার পর পর বলেছে নাকি ২-১ টা কথা হওয়ার পর বলেছে নাকি আগে বলেছে আমার স্পষ্ট কিছু মনে নেই।কারন মেসেজে হত তহ কথা আগে।কিন্তু স্বামী বার বার বলেছিল ওনি আমাকে ছেড়ে দেওয়ার নিয়তে কিছু বলে নি। আমি এই প্রশ্মটা আগেও করেছিলাম আপনি কিছু হবে না বলেছিলেন।তহ ৩নং প্রশ্নটা অন্য জনের দিকে ইন্গিত করে করেছি শুধু জানার জন্য।এতে কি কোন সমস্যা হবে? আর ৪ নং প্রশ্নটাতেও কি কোন সমস্যা হবে?আমি চায় আমার স্বামীর সাথে ভালভাবে থাকতে।

৫।ধরেন একটা প্রশ্নের উত্তর  বা ফতোয়া ২ জন আলেম ২ রকম দিছে।তাহলে যে কোন একজনের টা মানলে বা আমল করলে কি গুনাহ হবে?শুধু এটা জানতে চাচ্ছি যে ওইরকম করলে কি গুণাহ হবে?মানে ২ জনই বড় আলেম।প্রশ্নকারী ধরেন ২জনের কাছ থেকেই ফতোয়া নেই।প্রশ্নকারী যদি না জানে কোনটা সঠিক কোনটা ভুল তাহলে সে যদি কোন একটা মেনে চলে তাহলে কি গুণাহ হবে?মানে  মনে করেন আপনাদের এইখানে প্রশ্ন করে একই প্রশ্ন ২ জন মুফতি সাহেব ২ রকম ফতোয়া দিয়েছে তখন যে কোন একটা মানলে কি গুণাহ হবে? কিছু মনে করিয়েন না শায়খ।জানার জন্য।দুই জনই ভাল জানেন।এতে কি গুনাহ হবে?মানে মনে করেন আপনি একরকম ফতোয়া দিয়েছেন,আর মুজিব হুজুর বা ইমদাদ হুজুর মানে যে কোন একজন ওনাদের মধ্যে আরেক রকম দিয়েছে।প্রশ্নকারী জানে না কোনটা সঠিক কোনটা ভুল।যে কোন একজনের টা মানলে কি গুণাহ হবে? হুজুর আমি কাউকে খারাপ উদ্দ্যশ্যে বলও নি।শুধু জানার জন্য।কিছু মনে করিয়েন না হুজুর।ভুল ভাবিয়েন না।আমি শুধু জানার জন্য,প্রশ্নটা করেছি।ভুল হলে ক্ষমা করে দিয়েন।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
স্বামী তিন তালাকেরই মালিক থাকবে।

(০২)
মেসেজে স্ত্রী তালাক চাওয়ার উত্তরে যদি স্বামী সাথে সাথেই কেনায়া বাক্য বলে,তাহলে বিশেষ কিছু কেনায়া বাক্যের ক্ষেত্রে তালাক হবে।

আর যদি অন্য প্রসঙ্গে কথা বলার পর কেনায়া বাক্য তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে,তাহলে তালাক হবেনা।

(০৩)
এখানে তালাক চাওয়ার পর সাথে সাথেই যদি স্বামী বলে যে "যাও মা বাবা যাকে দেয় তাকে কর গা বিয়ে"
তাহলে তালাক হয়ে যাবে।

(০৪)
শুধু জানার জন্য প্রশ্ন করে থাকলে আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবেনা।

(০৫)
শরীয়তে ভুল ফতোয়া প্রদানের কোনো সুযোগ নেই।
অজ্ঞতাবশত ফতোয়ারও কোনো সুযোগ নেই। 
,
কারন এই বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাঃ অনেক কঠোর ভাবে নিষেধ করেছেন।      
,
আবু দাউদ শরীফের ৩৬৫৭ নং হাদীসে এসেছে 

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ يَعْنِي ابْنَ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أَفْتَى ح وحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي نُعَيْمَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ الطُّنْبُذِيِّ، رَضِيعِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أُفْتِيَ بِغَيْرِ عِلْمٍ كَانَ إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ»

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে ফতোয়া দেয়া হয় ...। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে অজ্ঞতা প্রসূত ফতোয়া দেয়া হয় তার পাপ ফাতাওয়াদানকারীর উপর বর্তাবে। 
,
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي أَبُو هَانِئٍ، حُمَيْدُ بْنُ هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أُفْتِيَ بِفُتْيَا غَيْرَ ثَبَتٍ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ " .

আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দলীল-প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ব্যতীত কাউকে সিদ্ধান্ত (ফাতাওয়া) দেয়া হলে তার পাপের বোঝা ফাতাওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে।
আবূ দাঊদ ৩৬৫৭, আহমাদ ৮০৬৭, ৮৫৫৮; দারিমী ১৫৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ২৪২।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক মাযহাবের উলামাদের মতবিরোধ হলে, যিনি হাওয়ালা (রেফারেন্স)  সহ কথা বলবেন উনার কথাই মানবেন।সবাই হাওয়ালা বা রেফারেন্স দিলে তখন অধিকাংশ আলিম যে কথা বলবেন, সেই কথাকে মানবেন।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি সকল প্রশ্নেই হুবহু একই ভাবে প্রশ্ন লিখেন,কোনো তথ্য কম বেশি না করেন,তাহলে কোনো একজন মুফতী সাহেবের কথা রেফারেন্স সহ হলে সেটি মানবেন।
সকলের রেফারেন্স ছাড়া হলে আপনি অধিকাংশ মুফতী সাহেব (সর্বশেষ) যেটা বলেছেন,সেটা মানবেন।

আপনি যদি আসলেই সঠিক মাসয়ালা না জানেন,সেক্ষেত্রে সেই ফতোয়া ভুল হলেও (আপনার প্রশ্ন করায় কোনো তথ্য গোপন না থাকলে) উক্ত ফতোয়ার উপর আমল করলে আপনার গুনাহ হবেনা।

★শর্ত হলো,সকল প্রশ্নেই হুবহু একই ভাবে প্রশ্ন লিখতে হবে।
কোনো কমবেশি করা বা তথ্য গোপন করা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...