আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in সালাত(Prayer) by (10 points)
reshown by

السلام عليكم ورحمة الله وبركته 

আলহামদুলিল্লাহ 

১)ফযরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর তাহিয়্যাতুল মাসজিদ এর নামাজ পড়া যাবে না, শুধুমাত্র সুন্নাত ২ রাকআত ছাড়া, এইটা কি সত্য?( ব্যখ্যা) 

 

২) যেই নামাজের আগে সুন্নাত আছে যেমন যোহর এই সময় কি তাহিয়্যাতুল মাসজিদ এর সলাত পড়া লাগবে?(আগে কি তাহিয়্যাতুল মাসজিদ এর সলাত পড়ে তারপর সুন্নাত লাগবে নাকি শুধু সুন্নাত পড়লেই হবে)

 

৩)তাহিয়্যাতুল ওযু কি তাহিয়্যাতুল মাসজিদ এর সাথে একই নিয়তে পড়া যাবে?

 

৪) বিতির নামাজে কিরাতে সুরা ত্বীন তিলাওয়াত এর সময় اِلَّا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ  এইটুকু পড়ার পর ভুলবশত সুরা আসর এর 

(اِلَّا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ (وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ ۙ এইটুকু পড়ে ফেলছি।  এইটুকু পড়ার শেষে মনে পড়ার সাথে সাথে আবার " ইল্লাল্লাযিনা... " এইখান থেকে শুরু করে শেষ করছি। এতে নামাজের কি কোনো সমস্যা হবে?

 

৫)রাস্তায় চলাচলের সময় যদি আমলে থাকি বা কোন সুরা মনে মনে  তিলাওয়াত করতে থাকি এমতাবস্থায় পাশে কোনো মুসলিম গিলে তাকে সালাম দিয়া  উত্তম হবে নাকি, আমল চালিয়ে যাওয়া উত্তম হবে? /

* আর যদি এমতাবস্থায় আমাকে কেউ সালাম দেই তাহলে আমার উত্তর দেওয়া কি ওয়াজিব? 

 

৬)রাস্তায় আমার সামনে যদি কোন গায়রে মাহারাম অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে কি করব?

 

৭) পানি পান করার সুন্নাহ হচ্ছে ৩ নিশ্বাসে।  এইখানে কি ৩ ঢোকের কথা বুঝাচ্ছে নাকি প্রতি নিশ্বাসে যেকোনো ঢোক? 

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত ইবারতের ব্যখ্যায় বলেন,
(قوله وهي ركعتان) في القهستاني وركعتان أو أربع، وهي أفضل لتحية المسجد إلا إذا دخل فيه بعد الفجر أو العصر، فإنه يسبح ويهلل ويصلي على النبي - صلى الله عليه وسلم - فإنه حينئذ يؤدي حق المسجد كما إذا دخل للمكتوبة فإنه غير مأمور بها حينئذ كما في التمرتاشي. اهـ.
তাহিয়্যাতুল মসজিদের দুই বা চার রা'কাত নামায পড়া মুস্তাহাব।তবে যদি কেউ মসজিদে ফজর এবং আছরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর প্রবেশ করে, তাহলে তার জন্য তখন তাহিয়্যাতুল ওজু ও তাহিয়্যাতুল মসজিদের দু'রাকাত করে নামায পড়ার নিয়ম নেই। বরং তখন মাকরুহ হবে। সে কি করবে? বলা যায় যে,সে তাসবীহ, তাহলীল,এবং নবীর উপর দুরূদ পাঠ করবে। তখন মসজিদের হক্ব আদায় হয়ে যাবে। ঠিক তেমনি কেউ ফরয নামায আদায় করার জন্য মসজিদে প্রবেশ করলে, তখন তার জন্যও তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়া অত্যাবশ্যকীয় নয়। কেননা ফরয নামাযের সাথে তাহিয়্যাতুল ওজু বা তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামায আদায় হয়ে যায়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1330

(২)
মুস্তাহাব হল, প্রথমে তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়া তারপর সুন্নত নামায পড়া।

(৩)
জ্বী, একটা পড়লে অন্যটা আদায় হয়ে যায়।তবে দুই নিয়তে পড়া যাবে না।

(৪)
জ্বী, নামায হবে। কেননা অর্থে মারাত্বক কোনো পরিবর্তন হয়নি।

(৫)
এমতাবস্থায় তিলাওয়াতকে আটকিয়ে সালাম দেয়া ও উত্তর দেয়া উত্তম।কেননা এটা তিলাওয়াতের স্থান নয়।

(৬)
বেশী অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।

(৭)
এক নিঃশ্বাষে এক ঢেকুর।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 192 views
...