আসসালামু আলাইকুম হযরত!
আবার আব্বুর বিশ্বাস, আকিদা হচ্ছে হিন্দুদের মত!
তিনি বিশ্বাস করেন, পরজনমে! এক জনমে খারাপ কাজ করলে পরের জনমে পশু পাখি হয়ে জন্মাবে।
এবং কালি মা, লোকনাথ, কৃষ্ণা এসব দেবতাকে ভক্তি করে। তাদেরকে ডাকে।
তিনি আরও বিশ্বাস করেন, খাজা বাবা নাকি সব পারেন, আল্লাহর অলিরা মারা যান না, তাই তিনি খাজা বাবাকেও ডাকেন, আল্লাহকেও ডাকেন, নবীজীকেও ডাকেন। (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
আবার মাঝে মাঝে হিন্দুদের দেবতাদেরও ডাকেন।
উনি নামাজ রোজা, আলিম উলামাদের দেখতে পারেন না। মসজিদ মাদ্রাসা দেখতে পারেন না। কুরআন হাদীস পড়লে লাভ নাই, ভন্ড পীরদের কাছ থেকে মারফতি জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
নামাজ রোজার কথা বললে, বলেন আমাদের এসব পড়তে হয় না, এসব ভুয়া। আল্লাহকে পেতে হলে নামাজ লাগে না।
ইনি আবার লালন ভক্তও।
জানতেন গান বাজনা হারাম, কিন্তু এখন বলেন। গান শুনলে আল্লাহর কাছে যাওয়া যায়। এসব ছাড়া নাকি দুনিয়াতে থাকা যাবে না।
একবার নাকি কালীমন্দিরে গিয়ে মূর্তির সামনে মাথা নত ও আগরবাত্তি ধরিয়ে ছিল! (আম্মু বলল)
উল্লেখ্য, তিনি এক সময় নামাজ পড়তেন। এখন এসব দেখতেই পারেন না। নামাজকে গালি দেন। মাঝে মাঝে আল্লাহকেও, মাঝে মাঝে কুরআনকেও (নাউজুবিল্লাহ)
মাঝে মাঝে বলেন, নবীজী ই আল্লাহ (নাউজুবিল্লাহ)
এসব সত্বেও তিনি নিজেকে হকপন্থী মুসলিম দাবি করে, আর বাকি সবাইকে বাতিলপন্থী মনে করেন।
আমাকে বলেন, কুরআন হাদীস পড় এক সময় বুঝবা এসব এসব ভুয়া তারপর ঈমান শক্ত হবে। উনি দাবি করেন উনারটাই ঈমান।
১. তিনি কি এখনও মুসলিম আছেন?
২.ইনি অনেক অহংকারী, দাওয়াত দিলে নামাজ রোজাকে গালিগালাজ শুরু করেন, আগে বুঝাতাম তারপর বাসায় ঝগড়া হতো। তাই এখন আমি চুপ থাকি! আমার জন্য করণীয় কী?
৩.যদি কাফির হয়ে যায়, তাহলে বাবা মার বিয়ের ব্যাপারে কী হবে?
৪. ছেলেরা বাবার সম্পত্তির ওয়ারিশ হবে?
৫. আব্বুর ক্ষেত্রে 'আল ওয়ালা ওয়াল বারা' কেমন হবে? আমি উনাকে ঘৃণা করি, কিন্তু আল্লাহ বলেছে ভালো ব্যবহার করতে তাই চেষ্টা করি ভালো ব্যবহার করতে।
৬.আগে বুঝতাম না, নামাজ রোজাকে গালি দিলে মাথা গরম হয়ে যেত, তারপর উচ্চ কণ্ঠে প্রতিবাদ করতাম! যখন জানলাম বাবা মার সাথে ভালো ব্যবহার করা ফরয, তখন থেকে আমার সামনে ইসলামকে খাটো করলেও চুপ থাকি, এটা কি ঠিক করতেছি?
৭.এক সময় আমাকে নামাজ পড়তে নিষেধ করতো, রাগারাগি করতো, কারণ তখন আমি বলতাম তোমার এসব তো ভুল। কিন্তু এখন চুপ থাকি, দাওয়াতও দেই না, তাই আমাকে আর নিষেধ করেন না,
মূলত এসব ফিৎনার ভয়ে আমি দাওয়াত দেই না, তখন নামাজ রোজা পড়তে বাধা দেয়, এলাকায় গিয়ে বলে বেড়ায় আমি ওহাবী হয়ে গেছি, (উল্লেখ্য আমাদের এলাকা বেরেলবী এলাকা)
তখন এলাকার মানুষও আমাকে দেখতে পারেন না, এখন চুপ থাকি, কারণ তাদের কাছে সত্য তুলে ধরার সাহস আমার নেই।
আমি কি ঠিক করছি?
৮. একা একা চুপে চুপে ইসলাম মানি, কাউকে জানতে দেই না, এজন্য পাঞ্জাবি পড়ি না, পড়লে মানুষ জেনে যায়, আব্বুও পছন্দ করেন না, ঘরে অশান্তি হয়, তাই সাধারণদের মত গেঞ্জি আর প্যান্ট, পায়জামা পড়ি।
আমাদের এলাকা বেরেলবী তাই আমাকে আমাদের বাড়ির পাশের মসজিদ ডিঙিয়ে সঠিক ইমামের পিছনে নামাজ পড়তে যেতে হয়, যদি পাঞ্জাবি পড়ি তাহলে মানুষ বুঝে যায় যে আমি নামাজ পড়ি, তখন জিজ্ঞাসার সম্মুখীন হই, কখনও এমন পরিস্থিতি হলে মিথ্যা বলা যাবে? (যেমন বন্ধুর বাসায় যাচ্ছি)
৯. সর্বোপরি আমাকে নসিহত করুন, হযরত।