আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
115 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (6 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ সম্মানিত শায়েখ,
আমি আলহামদুলিল্লাহ দ্বিনে ফেরা একজন গোনাহগার বোন।ফ্যামিলি থেকে ইসলামিক বই কিনার, অনলাইন মাদ্রাসায় পড়ার,হাত খরচ দেয়ার মানসিকতা নেই তাই আমি অনলাইনে রিসেলারের কাজ করছিলাম গত ২বছর ধরে।কাজটা এমন যে,আমার খুব পরিচিত ধার্মিক প্রাক্টিসিং মুসলিম  উনারা হোলসেলে প্রোডাক্টস আনে আর আমি অনলাইনে সেগুলা হোলসেলের সাথে কিছু হাদিয়া এড করে সেল দিই।সাথে আমার কিছু দ্বিনি বোনও প্রয়োজনে পড়ে সেইম প্রোডাক্টস সেল করে।আলহামদুলিল্লাহ আমার কোনো নেগেটিভ রিভিউ নেই;সব প্রোডাক্টস ভালো মানের।
তবে কিছুদিন আগে কয়েকজন বলছে যে রিসেলিং কাজ টা নাজায়েজ,তাই আপনার পরামর্শ চাচ্ছিলাম শায়েখ এটা কি আসলেই নাজায়েজ কিনা?নাজায়েজ হলে এই মুহুর্ত থেকেই ইন শা আল্লাহ আমি ছেড়ে দিব আর যে হাদিয়া গুলো আছে অলরেডি বিকাশে সেগুলো কি করব শায়েখ?
★আর ইসলামিক বই সেল দিচ্ছি+মেয়েদের পর্দার সামগ্রী +কিছু কস্মেটিক্স+ন্যাচারাল অরগানিক রুপচর্চার জিনিস সেল দিচ্ছি।বোনদের পর্দার জন্য যে কাপড় গুলো সেগুলো আমি নিজেও পরিধান করি,আলহামদুলিল্লাহ এই সেইম কাপড়ের ই আমি সেল দিই +কস্মেটিক্স +অরগানিক রুপচর্চার জিনিস রিসেলিং পদ্ধতি তে সেল দিচ্ছি(এগুলা আমার ইউজ করা জিনিস তাই বেশি আশাবাদী আলহামদুলিল্লাহ তবে আপনার মতামত চাই এক্ষেত্রে) । এটাও কি নাজায়েজ হবে কি শায়েখ???যেহেতু আমি এই জিনিস গুলো নিজেই ইউজ করে বুঝে শুনে সেল দিচ্ছি রিসেলিং পদ্ধতি তে বাট প্রোডাক্টস গুলো অন্যজন পাঠায় আমি জাস্ট বাসায় বসে সেল দিই।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন খাদ্যবস্তু ক্রয় করে, যেন তা কবজা করার আগে বিক্রয় না করে(সুনানু নাসায়ী-৪৫৯৬)

আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত।
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ، بْنُ عُثْمَانَ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ لِمَرْوَانَ أَحْلَلْتَ بَيْعَ الرِّبَا . فَقَالَ مَرْوَانُ مَا فَعَلْتُ . فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَحْلَلْتَ بَيْعَ الصِّكَاكِ وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الطَّعَامِ حَتَّى يُسْتَوْفَى . قَالَ فَخَطَبَ مَرْوَانُ النَّاسَ فَنَهَى عَنْ بَيْعِهَا . قَالَ سُلَيْمَانُ فَنَظَرْتُ إِلَى حَرَسٍ يَأْخُذُونَهَا مِنْ أَيْدِي النَّاسِ .
তিনি একদা মারওয়ানকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি সূদী কেনাবেচা বৈধ করে দিয়েছেন? মারওয়ান বললেনঃ না, আমি তো তা করিনি। আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি রেশন কার্ড বিক্রি বৈধ করে দেননি? অথচ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদ্যদ্রব্য পুরোপুরি হস্তগত করার আগে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। এরপর মারওয়ান এক বক্তৃতায় তা বিক্রি করতে লোকদের নিষেধ করে দেন।
রাবী সুলাইমান (রহঃ) বলেনঃ আমি দেখলাম যে, মানুষের কাছ থেকে সরকারী কর্মচারীগণ রেশন কার্ড ফিরিয়ে নিচ্ছে। (মুসলিম ৩৭৪১.ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৭০৬, ইসলামিক সেন্টার ৩৭০৬)

’’( وأما ) بيع المشتري العقار قبل القبض فجائز عنه عند أبي حنيفة ، وأبي يوسف استحسانا‘‘
স্থাবর সম্পত্তি কবজা করার পূর্বে বিক্রয় করা জায়েজ আছে।(বাদায়ে সানায়ে-১১/২৫৯)

,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার নিকট পন্য না থাকাবস্থায় অন্যর সাথে বিক্রয় চুক্তি করতে পারবেন না। এবং মাল ক্রয় করে কবজা করার পূর্বে অন্যত্র বিক্রয় করতেও পারবেন না। হ্যা, আপনি কম্পানির এজেন্ট হয়ে কমিশন ভিত্তিতে তাদের মাল বিক্রয় করতে পারবেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/44

যেগুলো ইনকাম হয়েছে, আপনার উপর যাকাত ফরয না, থাকলে, নিজের কাছে রেখে দিতে পারবেন।এতে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...