আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
265 views
in পবিত্রতা (Purity) by (6 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম

  আমার জিহবায় ব্যাথা বিধায় আমি পরিপূর্ণ রূপে ওযু করতে পারছি না এবং আমার চোখেও ব্যাথা ফলে আমি মুখে পানি দিতে পারছি না। ওযু করতে গেলে কোন অংগের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে কি করা উচিত? ফরজ গোসলের সময় একই নিয়ম প্রযোয্য হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
وَلَوْ كَانَ يَجِدُ الْمَاءَ إلَّا أَنَّهُ مَرِيضٌ يَخَافُ إنْ اسْتَعْمَلَ الْمَاءَ اشْتَدَّ مَرَضُهُ أَوْ أَبْطَأَ بُرْؤُهُ يَتَيَمَّمُ لَا فَرْقَ بَيْنَ أَنْ يَشْتَدَّ بِالتَّحَرُّكِ كَالْمُشْتَكِي مِنْ الْعَرَقِ الْمَدَنِيِّ وَالْمَبْطُونِ أَوْ بِالِاسْتِعْمَالِ كَالْجُدَرِيِّ وَنَحْوِهِ أَوْ كَانَ لَا يَجِدُ مَنْ يُوَضِّئُهُ وَلَا يَقْدِرُ بِنَفْسِهِ فَإِنْ وَجَدَ خَادِمًا أَوْ مَا يَسْتَأْجِرُ بِهِ أَجِيرًا أَوْ عِنْدَهُ مَنْ لَوْ اسْتَعَانَ بِهِ أَعَانَهُ فَعَلَى ظَاهِرِ الْمَذْهَبِ أَنَّهُ لَا يَتَيَمَّمُ؛ لِأَنَّهُ قَادِرٌ. كَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ وَيُعْرَفُ ذَلِكَ الْخَوْفُ إمَّا بِغَلَبَةِ الظَّنِّ عَنْ أَمَارَةٍ أَوْ تَجْرِبَةٍ أَوْ إخْبَارِ طَبِيبٍ حَاذِقٍ مُسْلِمٍ غَيْرِ ظَاهِرِ الْفِسْقِ. كَذَا فِي شَرْحِ مُنْيَةِ الْمُصَلِّي لِإِبْرَاهِيمَ الْحَلَبِيِّ. 
যদি কারো সামনে পানি বিদ্যমান থাকে, অন্যদিকে সে অসুস্থ থাকে,তার ভয় হয় যে,যদি পানি ব্যবহার করা হয়, তাহলে তার অসুস্থতা বৃদ্ধি পাবে,অথবা তার সুস্থতায় ধীরগতি চলে আসবে, তাহলে সে তায়াম্মুম করে নিতে পারবে। চায় তার অসুস্থতা বৃদ্ধির আশংকা  শরীরে ঢলার কারণে চলে আসুক বা পানি স্পর্শ করার কারণে চলে আসুক। তাছাড়া যদি কেউ এমন কাউকে না পায় যে, তাকে অজু করিয়ে দিতে পারবে এমতাবস্থায় যে, সে নিজে অজু করার উপর সক্ষমও নয়, যদি সে কোনো খাদেম বা বাড়াটে লোক পায়, অথবা তার নিকট এমন কেউ থাকে, যাকে সাহায্যর আবেদন করলে সে অবশ্যই সাহায্য করবে, তাহলে এমতাবস্থায় ঐ ব্যক্তি জন্য তায়াম্মুম করা জায়েয হবে না।কেননা সে তখন পানি ব্যবহারের উপর সামর্থবান হিসেবে বিবেচিত হবে।
অসুস্থতা বৃদ্ধির এই ভয় ও আশংকা হয়তো বিভিন্ন প্রকার আলামত বা অভিজ্ঞতা কিংবা ন্যায়পরায়ণ বিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তারের পরামর্শের উপর ভিত্তি করেই রচিত হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৮)

এ বিধান হল, অজুর সমস্ত অঙ্গে অসুস্থতা থাকলে। আর সমস্ত অঙ্গে অসুস্থতা না থাকলে,এর বিধান নিম্নরূপ-
فَإِنْ كَانَ الْأَكْثَرُ صَحِيحًا وَالْأَقَلُّ جَرِيحًا يُغْسَلُ الصَّحِيحُ وَيُمْسَحُ عَلَى الْجَرِيحِ إنْ أَمْكَنَهُ وَإِنْ لَمْ يُمْكِنْهُ الْمَسْحُ يَمْسَحُ عَلَى الْجَبَائِرِ أَوْ فَوْقَ الْخِرْقَةِ وَلَا يَجْمَعُ بَيْنَ الْغُسْلِ وَالتَّيَمُّمِ. 
যদি শরীরের বা অজুর অঙ্গ সমূহের অধিকাংশ অংশ সুস্থ থাকে,এবং সামান্য অংশ যখমি থাকে,তাহলে সুস্থ অঙ্গ সমূহকে পানি দ্বারা ধৌত করা হবে,এবং যখমি স্থানকে মাসেহ করা হবে।যদি মাসেহ করাও সম্ভব না হয়, তাহলে ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করা হবে।তারপরও ধৌতকরণ এবং তায়াম্মুমকে একসাথে একই অজু বা গোসলে জমা করা যাবে না।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৮)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী বলবো যে,
জিহ্বা এবং চোখকে মাসেহ করে নিবেন।এবং বাকী অঙ্গ গুলোকে ধৌত করে নিবেন।এভাবে করে নিলে অজু বা গোসল হয়ে যাবে। এবং আপনি পবিত্র হয়ে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
মাসেহ করা যদি আমার পক্ষে সম্ভব না হয়?
by (13 points)
জিহবা কিভাবে মাসেহ করব?

by (597,330 points)
জিহ্বা মাসেহ করার তো কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। আপনি অজুর ফরয অঙ্গ সমূহকে মাসেহ করবেন,যদি ধৌত করা আপনার জন্য সম্ভবপর না হয়।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...