ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
ঘরের নামাযের সওয়াব এবং মসজিদের নামাযের সওয়াব কখনো সমান হবে না। উক্ত কুকুর থেকে রেহাই পাওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।হয়তো কুকুরকে জলাতঙ্কের ইনজেকশন প্রদান করুন নতুবা পড়া প্রতিবেশীকে সাথে নিয়ে এগুলোকে দমানোর চেষ্টা করুন কিংবা হত্যা করুন- কুকুর থেকে রেহাই পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বাড়ীতে নামায আদায় করতে পারবেন।রুখসত থাকবে।
কুকুর হত্যা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর হাদীস - প্রথমে রাসূলুল্লাহ সাঃ কুকুর নিধনের আদেশ প্রদাণ করেন। যখন দেখলেন যে, সবাই কুকুর নিধনে এমনভাবে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে যে, এ প্রজাতি একদিন হারিয়ে যাবে।যাকে আল্লাহ মানব জাতীর ফায়দা তথা পরিবেশ রক্ষার জন্য সৃষ্টি করেছেন।তাই পরবর্তীতে ব্যাপকতাকে সীমিত করে নির্দিষ্ট কিছু প্রজাতির কুকুরকে হত্যা করার নির্দেশ দেন। যেমনঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﻐﻔَّﻞ ﻋﻦ ﺍﻟﻨَّﺒﻲِّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ﻟَﻮْﻻَ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻜِﻼَﺏَ ﺃﻣَّﺔٌ ﻣِﻦَ ﺍﻷﻣَﻢِ ﻷﻣَﺮْﺕُ ﺑِﻘَﺘْﻠِﻬَﺎ ﻓَﺎﻗْﺘُﻠُﻮﺍ ﻛُﻞَّ ﺃﺳْﻮَﺩَ ﺑَﻬِﻴﻢٍ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন- যদি কুকুর প্রাণীজগৎ এর এক প্রকার না হত,তাহলে আমি কুকুরের জাতকে নিধনের হুকুম দিতাম।এখন তোমরা নিখুঁত কালো কুকুর) দেখে দেখে হত্যা করো। (সুনানে তিরমিযি-১৪৮৬,সুনানে আবু-দাউদ-২৮৪৫,সুনানে নাসাঈ-৪২৮০,সুনানে ইবনে মা'জা-৩২০৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
রাস্তায়,গলিতে গলিতে কুকুর থাকায় আপনার যদি কোনো সমস্যা না হয়,তাহলে এক্ষেত্রে বাসায় নামাজ পড়ার তো অনুমতি নেই।
,
কিন্তু আপনার যদি আসলেই সমস্যা হয়,তাহলে
আপনি আপনার বাবা বা আশে পাশের লোকদের সাথে মসজিদে যাবেন,নিজ পরিবার,প্রতিবেশী লোকদের নামাজের প্রতি দাওয়াত দিয়ে তাদের নিয়ে মসজিদে যাবেন।
তাহলে তো কোনো সমস্যা হবেনা।
,
এটা সম্ভব না হলে এবং আর কোনোভাবেই বিষয়টি সমাধান না হলে সমাধানের আগ পর্যন্ত
এক্ষেত্রে আপনি যদি এভাবে বাসায় ফজরের নামাজ আদায় করেন,সেক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।
(০২)
এতে জামায়াতের সাথে নামাজ আদায়ের ছওয়াব পাবেন।
তবে মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামাজ আদায়ের সমান ছওয়াব পাওয়া যাবেনা।
(০৩)
এখানে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাওয়ার মতো অর্থ বিকৃত হলে এবং তাহা শুধরে না নিলে ইমাম সহ সকলের নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
নামাজ ফাসেদ হয়ে যাওয়ার মতো অর্থ বিকৃত না হলে বা তাহা শুধরে নিলে কোনো সমস্যা নেই।