জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এসব প্রানীর ছবি যুক্ত কাপড় বানানো,বিক্রয় করা মাকরূহ হবে।
কেননা এর দ্বারা গোনাহের কাজের সহযোগিতা করা হয়। আর গোনাহের কাজের সহযোগিতা করাও নিষিদ্ধ।
,
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
তবে এসব কাপড় বিক্রির টাকাকে হারাম বলা যাবে না। কারণ, এসব কাপড় বিক্রির দ্বারা মুখ্য উদ্দেশ্য হয়ে থাকে কাপড়, ছবি নয়।
তাই ছবি থাকায় কাপড় বিক্রি করা মাকরূহ হলেও এর দ্বারা উপার্জিত অর্থকে হারাম বলা যাবে না। [ফাতাওয়া কাসিমীয়া-১৯/৪৯৬]
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَأَى حُلَّةً سِيَرَاءَ تُبَاعُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ ابْتَعْتَهَا تَلْبَسُهَا لِلْوَفْدِ إِذَا أَتَوْكَ وَالجُمُعَةِ؟ قَالَ: «إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ» وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ حُلَّةً سِيَرَاءَ حَرِيرٍ كَسَاهَا إِيَّاهُ، فَقَالَ عُمَرُ: كَسَوْتَنِيهَا، وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَقُولُ فِيهَا مَا قُلْتَ؟ فَقَالَ: «إِنَّمَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ لِتَبِيعَهَا، أَوْ تَكْسُوَهَا»
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। উমর (রাঃ) একটি রেশমী হুল্লা বিক্রী হতে দেখে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি যদি এটি খরীদ করে নিতেন, তা হলে যখন কোন প্রতিনিধি দল আপনার কাছে আসে তখন এবং জুমুআর দিনে পরিধান করতে পারতেন। তিনি বললেনঃ এটা সে ব্যক্তিই পরতে পারে যার আখিরাতে কোন অংশ নেই। পরবর্তী সময়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর (রাঃ) এর নিকট ডোরাকাটা রেশমী হুল্লা পাঠান। তিনি কেবল তাকেই পরতে দেন। উমর (রাঃ) বললেন আপনি এখনি আমাকে পরতে দিয়েছেন, অথচ এ সম্পর্কে যা বলার তা আমি আপনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বললেন আমি তোমার কাছে এজন্য পাঠিয়েছি যে তুমি এটি বিক্রি করে দিবে অথবা কাউকে পরতে দিবে। (সহীহ বুখারী-২/৮৬৮, হাদীস নং-৫৮৪১, ইফাবা-৫৪২৩)
,
وجاز بيع عصير عنب ممن يعلم أنه يتخذه خمرا، لأن المعصية لا تقوم بعينه، بل بعد تغيره، وقيل يكره لإعانته على المعصية (رد المحتار، كتاب الحظر والاباحة، فصل فى البيع-9/560، البحر الرائق، كتاب الكراهية، فصل فى البيع-8/371)
যার সারমর্ম হলো আঙ্গুরের নিংড়ানো রস বিক্রয় করা জায়েজ আছে, যদিও জানা যায় যে ঐ ব্যাক্তি এটা দিয়ে মদ বানাবে,কেননা এটা সরাসরি মদ বয়,বরং এটা পরিবর্তন হয়েই মদ হয়।
কেহ কেহ বলেছেন যে মাকরুহ হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০২)
বিবাহের সময় কাবিননামায় স্ত্রীকে স্বামী কর্তৃক তালাক নেওয়ার অধিকার দেওয়া হলেও পরে তা রহিত করার কোনো সুযোগ শরীয়তে নেই।
কোনোভাবেই হবেনা।
(০৩)
কাবিননামায় স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিয়ে ফরম পূরণ করা থাকলে সেটা যদি স্বামীকে না দেখিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়,তাহলে এক্ষেত্রে যেহেতু স্বামী না জেনেই স্বাক্ষর করেছে,তাই এক্ষেত্রে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবেনা।
আর যদি বিবাহের সময় ঘরটি খালি রেখে কাজী সাহেব পরবর্তীতে দাপ্তরিক বাধ্যবাধকতার কথা বলে স্বামী থেকে অনুমতি নিয়ে তালাকের অধিকারমূলক কথা লিখে দেয় সেক্ষেত্রে স্ত্রী তালাক নেওয়ার অধিকার পাবে।