আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
188 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (2 points)
‌১. ঈগল পাখি অন্য কোন প্রাণীর স্টিকার বা ছবি যুক্ত প্যান্ট, জামা, জার্সি প্রভৃতির ব্যবসা করা জায়েজ আছে কি?

২. বিয়ের সময় কাবিননামায় স্ত্রীকে স্বামী কর্তৃক তালাক নেওয়ার অধিকার দেওয়া হলেও পরে তা রহিত করা সুযোগ আছে কি? সুযোগ থাকলে তা কাবিননামায় পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে কি?

৩. কাবিননামায় স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিয়ে ফরম পূরণ করা থাকলে সেটা যদি স্বামীকে না দেখিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় বা ঘরটি খালি রেখে কাজী সাহেব পরবর্তীতে দাপ্তরিক বাধ্যবাধকতার কথা বলে তালাকের অধিকারমূলক কথা লিখে দেয় সেক্ষেত্রে স্ত্রী তালাক নেওয়ার অধিকার পাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
এসব প্রানীর ছবি যুক্ত কাপড় বানানো,বিক্রয় করা মাকরূহ হবে।
কেননা এর দ্বারা গোনাহের কাজের সহযোগিতা করা হয়। আর গোনাহের কাজের সহযোগিতা করাও নিষিদ্ধ।
,
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

তবে এসব কাপড় বিক্রির টাকাকে হারাম বলা যাবে না। কারণ, এসব কাপড় বিক্রির দ্বারা মুখ্য উদ্দেশ্য হয়ে থাকে কাপড়, ছবি নয়।
তাই ছবি থাকায় কাপড় বিক্রি করা মাকরূহ হলেও এর দ্বারা উপার্জিত অর্থকে হারাম বলা যাবে না। [ফাতাওয়া কাসিমীয়া-১৯/৪৯৬]

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَأَى حُلَّةً سِيَرَاءَ تُبَاعُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ ابْتَعْتَهَا تَلْبَسُهَا لِلْوَفْدِ إِذَا أَتَوْكَ وَالجُمُعَةِ؟ قَالَ: «إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ» وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ حُلَّةً سِيَرَاءَ حَرِيرٍ كَسَاهَا إِيَّاهُ، فَقَالَ عُمَرُ: كَسَوْتَنِيهَا، وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَقُولُ فِيهَا مَا قُلْتَ؟ فَقَالَ: «إِنَّمَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ لِتَبِيعَهَا، أَوْ تَكْسُوَهَا»

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। উমর (রাঃ) একটি রেশমী হুল্লা বিক্রী হতে দেখে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি যদি এটি খরীদ করে নিতেন, তা হলে যখন কোন প্রতিনিধি দল আপনার কাছে আসে তখন এবং জুমুআর দিনে পরিধান করতে পারতেন। তিনি বললেনঃ এটা সে ব্যক্তিই পরতে পারে যার আখিরাতে কোন অংশ নেই। পরবর্তী সময়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর (রাঃ) এর নিকট ডোরাকাটা রেশমী হুল্লা পাঠান। তিনি কেবল তাকেই পরতে দেন। উমর (রাঃ) বললেন আপনি এখনি আমাকে পরতে দিয়েছেন, অথচ এ সম্পর্কে যা বলার তা আমি আপনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বললেন আমি তোমার কাছে এজন্য পাঠিয়েছি যে তুমি এটি বিক্রি করে দিবে অথবা কাউকে পরতে দিবে। (সহীহ বুখারী-২/৮৬৮, হাদীস নং-৫৮৪১, ইফাবা-৫৪২৩)
,
وجاز بيع عصير عنب ممن يعلم أنه يتخذه خمرا، لأن المعصية لا تقوم بعينه، بل بعد تغيره، وقيل يكره لإعانته على المعصية (رد المحتار، كتاب الحظر والاباحة، فصل فى البيع-9/560، البحر الرائق، كتاب الكراهية، فصل فى البيع-8/371)
যার সারমর্ম হলো আঙ্গুরের নিংড়ানো রস বিক্রয় করা জায়েজ আছে, যদিও জানা যায় যে ঐ ব্যাক্তি এটা দিয়ে মদ বানাবে,কেননা এটা সরাসরি মদ বয়,বরং এটা পরিবর্তন হয়েই মদ হয়। 
কেহ কেহ বলেছেন যে মাকরুহ হবে।   

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০২)
বিবাহের সময় কাবিননামায় স্ত্রীকে স্বামী কর্তৃক তালাক নেওয়ার অধিকার দেওয়া হলেও পরে তা রহিত করার কোনো সুযোগ শরীয়তে নেই।
কোনোভাবেই হবেনা।

(০৩)
কাবিননামায় স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিয়ে ফরম পূরণ করা থাকলে সেটা যদি স্বামীকে না দেখিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়,তাহলে এক্ষেত্রে যেহেতু স্বামী না জেনেই স্বাক্ষর করেছে,তাই এক্ষেত্রে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবেনা। 

আর যদি বিবাহের সময় ঘরটি খালি রেখে কাজী সাহেব পরবর্তীতে দাপ্তরিক বাধ্যবাধকতার কথা বলে স্বামী থেকে অনুমতি নিয়ে তালাকের অধিকারমূলক কথা লিখে দেয় সেক্ষেত্রে স্ত্রী তালাক নেওয়ার অধিকার পাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...