আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in সালাত(Prayer) by (72 points)
শায়খ
নামাজে আয়াতের মাঝখানে কোনো কারণে থামতে হলে যদি মিলাইয়া না পড়ি এবং তারপর থেকে যদি আবার শুরু করি তাহলে কি তিলাওয়াত শুদ্ধ হয়ে হবে?

যেমন: সূরা আসর এ "অতা ওয়া সৌবিল হাক্কি" পড়ে থেমে যাই কোনো কারণে "ওতা ওয়া সৌবিল হাক্ক" না পড়ে তারপর শুধু "ওতা ওয়া সওবিস সবর" পড়ি তাহলে কি কোনো সমস্যা হবে সালাতে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/35959/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,

«لاَ تَنْثُرُوهُ نَثْرَ الدَّقْل وَلاَ تَهُذُّوهُ كَهَذِّ الشِّعْرِ ، قِفُوا عِنْدَ عَجَائِبِهِ ، وَحَرِّكُوا بِهِ الْقُلُوبَ ، وَلاَ يَكُونُ هَمُّ أَحَدِكُمْ آخِرَ السُّورَةِ» .

‘তোমরা একে (কুরআন) নষ্ট খেজুরের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ো না কিংবা কবিতার মতো গতিময় ছন্দেও পড়ো না। বরং এর যেখানে বিস্ময়ের কথা আছে সেখানে থামো এবং তা দিয়ে হৃদয়কে আন্দোলিত করো। আর সূরার সমাপ্তিতে পৌঁছা যেন তোমাদের কারো লক্ষ্য না হয়।’
ইবন আবি শাইবাহ, মুসান্নাফ: ২/২৫৬, নং ৮৭৩৩।

★সুতরাং কুরআন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে আয়াতের মাঝখানে থেমে থেমে, আগের শব্দ না মিলিয়ে তিলাওয়াত করা উত্তম নয়।

যদি ইচ্ছা করে এমন স্থানে ওয়াকফ করে যা অর্থের বিকৃতি ঘটায় তাহলে তা হারাম।

উদাহরণস্বরূপ:
আল্লাহ তাআলা বলেন,
والله لاَ يَسْتَحْيِي مِنَ الحق
“আর আল্লাহ লজ্জা করেন না হকের ব্যাপারে।”(সূরা আহযাব: ৫৩)

কেউ যদি খারাপ উদ্দেশ্যে لاَ يَسْتَحْيِي “আল্লাহ লজ্জা করেন না” বলে থেমে যায় তাহলে তারা হারাম হবে। কারণ তা আয়াতের মূল উদ্দেশ্যকে বিকৃতি ঘটায়।

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,

والله لاَ يَهْدِي القوم الفاسقين

“আর আল্লাহ হেদায়েত দেন না ফাসিক সম্প্রদায়কে।(সূরা সফ: ৫)

এখানে কেউ যদি والله لاَ يَهْدِي “আর আল্লাহ হেদায়েত দেন না…”এতটুকু পড়ে থেমে যায় তাহলে তা হারাম হবে। কারণ তা আয়াতের মূল উদ্দেশ্যকে পরিবর্তন করে দেয়।

শায়েখ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলিল বলেনঃ
কেউ যদি জেনে-বুঝে আয়াতের অর্থ বিকৃত করার উদ্দেশ্যে এভাবে পড়ে তাহলে সে মুসলিম থাকবে না।
কেউ যদি জেনে-বুঝে আয়াতের অর্থ বিকৃত করার উদ্দেশ্যে এভাবে পড়ে তাহলে সে মুসলিম থাকবে না। কারণ সে কুরআনের বিকৃতি ঘটিয়েছে। কিন্তু নি:শ্বাস শেষ হওয়ার কারণে যদি উক্ত স্থানে থামা হয় তাহলে উক্ত শব্দটি অথবা কিছু আগে থেকে পুনরায় ফিরিয়ে পড়লে আর কোন সমস্যা থাবে না ইনশাআল্লাহ।
অথবা যেখানে থামার চিহ্ন ছিল সেখানে না থেমে এক শ্বাসে পড়া চালিয়ে যাওয়া হয় তাহলে তাতেও গুনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ।
,
অনুরূপভাবে আরবি ভাষা না জানার কারণে (অর্থ না জানার কারণে) কোথাও ওয়াকফ করা হলে তার পর থেকে পড়া চালিয়ে গেলে (আগের শব্দকে পুনরাবৃত্তি না করে) তাতেও গুনাহ হবে না। কারণ মূলত: ইচ্ছা করে আয়াতের অর্থ বিকৃত করা তার উদ্দেশ্য নয়।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
নামাজে হোক বা নামাজের বাহিরে হোক,কুরআন শরিফ তিলাওয়াত করতে গিয়ে যেখানে ওয়াকফ নেই,সেখানে থেমে গেলে আপনি আগের শব্দ দিয়ে মিলিয়ে পড়বেন।
এটিই  আপনার জন্য উচিত হবে।
কেননা ব্যাতিক্রম করতে গেলে অর্থ বিকৃত সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।   

তবে ফুকাহায়ে কেরামগন বলেছেন যে,আরবি ভাষা না জানার কারণে (অর্থ না জানার কারণে) কোথাও ওয়াকফ করা হলে তার পর থেকে পড়া চালিয়ে গেলে (আগের শব্দকে পুনরাবৃত্তি না করে) তাতেও গুনাহ হবে না।

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত নির্দিষ্ট এই উদাহরণ এর ক্ষেত্রে সালাতের কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 140 views
...