আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ ওয়া বারকাতুহু
আমি একটা টিউশনি করাতাম। এক মাসে ৩০০০/- বেতন ছিল। প্রায় অর্ধেক মাস পর একদিন পড়ানো অবস্থায় বাচ্চার মা আর নানী আমাকে হুট করে বলে, তুমি চলে যাও। আমার যতদূর মনে পড়ে বাচ্চার নানী আমাকে বলেছিল, তুমি আর আসিওনা।
সেদিন বের হওয়ার পর দরজাটা এমন জোরে লাগিয়ে দেয় এবং তাদের ব্যবহারে মনে কষ্ট পেয়ে আমি চলে আসি। প্রথমে ভেবেছিলাম, বাচ্চা দুস্টামি করে তাই তাকে ভয় লাগানোর জন্য এমন কথা বলেছে আমায়। কিন্তু তারা আমাকে পরে আর কিছু জানায়নি। তাই আমি আর পড়াতে যাইনি।
বাচ্চার বাবা এসব জানতনা। কয়েকদিন পর যখন জানতে পারে, বাচ্চার মা আর নানীর ব্যবহারের জন্য তিনি লজ্জিত হোন। আমি পুরো মাস না পড়ানো সত্বেও এক মাস পর আমার মায়ের কাছে এসে আমার পুরো বেতন দিয়ে যায়।
উল্লেখ্য তিনি আমার গুরুজন আর নন মাহরাম হওয়ায় বেতন নিয়ে কখনো কথা বলিনি। উনার সাথে তেমন কোনো কথাই বলিনি। এমন কি আমার অর্ধেক মাসের বেতনও চায়তে যাইনি৷
বাচ্চার বাবা নিজে থেকেই পুরো বেতন দিয়ে গেছেন। এখন কি আমার বাকি অর্ধেক মাসের বেতন নিজের জন্য খরচ করাটা হালাল হবে???

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আল্লাহর রাসূল সা. বলেন, তোমরা পরস্পর হাদিয়ার আদান-প্রদান করো, তাহলে মহাব্বত বৃদ্ধি পাবে। (ইমাম বুখারী রচিত আদাবুল মুফরাদ, হা/৫৯৪) 

আল্লাহ তায়ালা বলেন, তারা যদি খুশি হয়ে তোমাদেরকে দিয়ে দেয়, তাহলে তোমরা তা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ করো। (সূরা নিসা আয়াত নং ০৪) 

 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

مَنْ أَتَى إِلَيْكُمْ مَعْرُوفًا فَكَافِئُوهُ، فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فَادْعُوا لَهُ، حَتَّى يَعْلَمَ أَنْ قَدْ كَافَأْتُمُوهُ.

তোমাদের প্রতি যে ব্যক্তি কোনো ভালো আচরণ করে তোমরা তার প্রতিদান দাও। যদি দেয়ার মতো কিছু না পাও তাহলে তার জন্যে দুআ করো, যাতে সে বুঝতে পরে- তোমরা তার প্রতিদান দিয়েছ। -আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদীস ২১৬

 

হাদিস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلمإِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ سَأَلَ عَنْهُ أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ فَإِنْ قِيلَ صَدَقَةٌ. قَالَ لأَصْحَابِهِ كُلُوا. وَلَمْ يَأْكُلْ، وَإِنْ قِيلَ هَدِيَّةٌ. ضَرَبَ بِيَدِهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَ مَعَهُمْ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কোন খাবার আনা হলে তিনি জানতে চাইতেন, এটা হাদিয়া, না সাদকা? যদি বলা হতো, সাদকা তা হলে সাহাবীদের তিনি বলতেন, তোমরা খাও। কিন্তু তিনি খেতেন না। আর যদি বলা হল হাদিয়া। তাহলে তিনিও হাত বাড়াতেন এবং তাদের সাথে খাওয়ায় শরীক হতেন। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৬]

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

তিনি যেহেতু নিজের থেকেই পুরো বেতন দিয়ে গিয়েছেন তাই অতিরিক্ত টাকাটা হাদিয়া হিসেবে ধরা হবে। আর হাদিয়া নিতে কোনো সমস্যা নেই। বরং হাদিয়া দেওয়া-নেওয়া সু্ন্নাহ। তাই আপনি বাকি অর্ধেক মাসের বেতন নিজের জন্য খরচ করতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...