আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
219 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম।

স্বামী ২য় বিয়ে করেছিলেন গোপনে। প্রথমার প্রতি টাকা পয়সা ও শারীরিক সম্পর্ক কোনদিক দিয়ে ন্যায়বিচার করেননি। পরবর্তীতে ২য় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে ও অন্যত্র বিয়ে হয়েছে ২য় স্ত্রীর।২য় স্ত্রীর সেই সংসার ও টিকেনি।

১. প্রথমা স্ত্রী তার স্বামীকে ক্ষমা করেছেন কিন্তু তিনি তার সাথে হওয়া অন্যায় ও ধোঁকা মেনে নিতে পারছেন না। প্রতিনিয়ত মনে হয় এবং কান্না করেন। এতে কি তার গুণাহ হবে?
২. যেহেতু ২য় স্ত্রী এখন আবার আমার স্বামীর জন্য বৈধ তাই আমি কি আমার স্বামীকে এ ধরণের শর্ত দিতে পারব মেনে তিনি আর কখনো তাকে বিয়ে না করেন? আর যদি তিনি শর্ত ভেঙে বিয়ে করেন তাইলে কি স্বামী গোনাহগার হবেন?

৩. কোন স্ত্রীই তো চায়না স্বামীকে ভাগ করতে। তাই প্রথমার যে মনে কষ্ট হয় পূর্ব কথা মনে করে এতে কি তিনি গোনাহগার হবে?এবং স্বামী যেন অন্য বিয়ে না করেন এজন্য কি তিনি দুয়া করতে পারবেন এবং স্বামী কে অনুরোধ করতে পারবেন?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হাকীম ইবনু মু‘আবিয়াহ আল-কুশাইরী (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত।
وعَنْ مُعَاوِيَةَ الْقُشَيْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : " قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ زَوْجَةِ أَحَدِنَا عَلَيْهِ ؟ قَالَ : ( أَنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طَعِمْتَ ، وَتَكْسُوَهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ ، وَلَا تَضْرِبْ الْوَجْهَ ، وَلَا تُقَبِّحْ ، وَلَا تَهْجُرْ إِلَّا فِي الْبَيْتِ) 
 তিনি বলেন, একদা আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো উপর তার স্ত্রীর কি হক রয়েছে? তিনি বললেনঃ তুমি যখন আহার করবে তাকেও আহার করাবে। তুমি পোশাক পরিধান করলে তাকেও পোশাক দিবে। তার মুখমন্ডলে মারবে না, তাকে গালমন্দ করবে না এবং পৃথক রাখতে হলে ঘরের মধ্যেই রাখবে।(আবু দাউদ-২১৪২,ইবনে মা'জা-১৮৫০)

স্বামী তার স্ত্রীর ভরণপোষণ আদায় না করলে এবং স্ত্রীকে সঙ্গ না দিলে,স্ত্রী যদি কাযী সাহেবের নিকট বিচার দায়ের করে,তাহলে কাযী সাহেব উক্ত বিবাহকে ভঙ্গ করে দেয়ার অধিকার রাখেন।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল-৩/১০০)


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
স্ত্রীকে ভরণপোষণ না দেয়ার জন্য স্বামীকে কাল কিয়ামতের দিন অবশ্যই আদালতের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। তবে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের জন্য স্ত্রীর সাথে প্রতারণা হয়নি।কেননা আল্লাহ পুরুষকে সমতা রক্ষার শর্তে চারটি পর্যন্ত বিয়ের অনুমোদন দিয়েছে।এক্ষেত্রে স্ত্রীর অনুমতির কোনো প্রয়োজনিয়তাকে অনুভব করেনি। সুতরাং স্বামী স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে বিয়ে করতে পারবে।

হ্যা, আপনি স্বামীকে বলতে পারেন, সতিনের ঘর আপনার জন্য কষ্টাদায়ক। এবং এটাও বলতে পারেন যে, আপনি সকল প্রয়োজন পূর্ণ করবেন,একাধিক বিয়ের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। 

সকল নারীদেরই স্বভাব এটা যে,তারা সতিনের ঘরকে পছন্দ করেননা।সেই জন্য তাদের গোনাহ হবে না। এবং কান্না করলেও তাদের গোনাহ হবে না। আপনি শর্তও দিতে পারেন।এতেও আপনার গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
আপনি কি করেন? 
কতটি ফাতাওয়া এই পর্যন্ত লিখেছেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...