ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হাকীম ইবনু মু‘আবিয়াহ আল-কুশাইরী (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত।
وعَنْ مُعَاوِيَةَ الْقُشَيْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : " قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ زَوْجَةِ أَحَدِنَا عَلَيْهِ ؟ قَالَ : ( أَنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طَعِمْتَ ، وَتَكْسُوَهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ ، وَلَا تَضْرِبْ الْوَجْهَ ، وَلَا تُقَبِّحْ ، وَلَا تَهْجُرْ إِلَّا فِي الْبَيْتِ)
তিনি বলেন, একদা আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো উপর তার স্ত্রীর কি হক রয়েছে? তিনি বললেনঃ তুমি যখন আহার করবে তাকেও আহার করাবে। তুমি পোশাক পরিধান করলে তাকেও পোশাক দিবে। তার মুখমন্ডলে মারবে না, তাকে গালমন্দ করবে না এবং পৃথক রাখতে হলে ঘরের মধ্যেই রাখবে।(আবু দাউদ-২১৪২,ইবনে মা'জা-১৮৫০)
স্বামী তার স্ত্রীর ভরণপোষণ আদায় না করলে এবং স্ত্রীকে সঙ্গ না দিলে,স্ত্রী যদি কাযী সাহেবের নিকট বিচার দায়ের করে,তাহলে কাযী সাহেব উক্ত বিবাহকে ভঙ্গ করে দেয়ার অধিকার রাখেন।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল-৩/১০০)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
স্ত্রীকে ভরণপোষণ না দেয়ার জন্য স্বামীকে কাল কিয়ামতের দিন অবশ্যই আদালতের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। তবে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের জন্য স্ত্রীর সাথে প্রতারণা হয়নি।কেননা আল্লাহ পুরুষকে সমতা রক্ষার শর্তে চারটি পর্যন্ত বিয়ের অনুমোদন দিয়েছে।এক্ষেত্রে স্ত্রীর অনুমতির কোনো প্রয়োজনিয়তাকে অনুভব করেনি। সুতরাং স্বামী স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে বিয়ে করতে পারবে।
হ্যা, আপনি স্বামীকে বলতে পারেন, সতিনের ঘর আপনার জন্য কষ্টাদায়ক। এবং এটাও বলতে পারেন যে, আপনি সকল প্রয়োজন পূর্ণ করবেন,একাধিক বিয়ের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।
সকল নারীদেরই স্বভাব এটা যে,তারা সতিনের ঘরকে পছন্দ করেননা।সেই জন্য তাদের গোনাহ হবে না। এবং কান্না করলেও তাদের গোনাহ হবে না। আপনি শর্তও দিতে পারেন।এতেও আপনার গোনাহ হবে না।