আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
335 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম মুফতি সাহেব ।
আজকে ২মাস ধরে আমি তালাকের ফতুয়া নিচ্ছি আপনাদের কাছ থেকে এবং আরও দুইজন মুফতি সাহেব থেকে আমি তালাকের ফতুয়া নিচ্ছি ।আপনারা সবাই বলছেন আমার সহবাস,খালওয়াত কিছুই হয় নি  আর আমার ১তালাক বায়েন পতিত হইছে । আপনাদের সবার উক্তি এক , মাসয়ালা ও এক । আমি ও আপনাদের মাসয়ালা গ্রহন করলাম ।
মুফতি সাহেব মাঝে মাঝে অনেক খারাফ লাগে মনে হয় যেন সহবাস ,খালওয়াত হইছে । আবার মনে হয় এই গুলো কিছুই হয় নি ।আবার মাঝে মাঝে এই গুলো আমি ভুলে যাই । আবার মনে হয় মাসয়ালার জন্য কথাটা এই ভাবে বলা উচিত আবার মনে হয় আমি ঠিক আছি । আমি অনেক অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি । না পারছি কিছু করতে না পারছি ঠিক মতো কিছু । আমি ওয়াসা আক্রান্ত মনে হচ্ছে  । এই গুলো কি আমার ওয়াসা ? আমি কি আর প্রশ্ন করা কি উচিত এই সব নিয়ে ?নাকি মনের মাঝে দিধা দ্বন্দ থাকা সত্ত্বে ও এগিয়ে যেতাম ।বাকিটা কি আল্লাহর উপর ভরসা করে এগিয়ে যাওয়া যায় ? আমি ওকে কথা দিছি বিয়ে করবো । আমি বুঝতে পারি না কি করতাম । আপনি আমাকে সাহায্য করেন ।যা হইছে হইছে সব ভুলে যেতাম । প্রশ্ন কি আর ঘুরিয়ে করতাম ? নাকি বন্ধ রাখতাম এইবার ।যতটুকু পাইছি ততটুকু সন্তুষ্ট থাকতাম ? আল্লাহর উপর ভরসা করে এগিয়ে যাওয়া যাবে ?
একদিন আমি বলছি আমাকে যদি আল্লাহ একটা সুযোগ দেন আমার যদি ছেলে সন্তান হয় তাহলে কোরআনের হাফেজ করাবো আর মেয়ে হলে ইসলামিক শিক্ষা দিব । আমি ঔ রাতেই এই স্বপ্ন টা দেখছি । আবার যখন মাসয়ালা জানতে চাচ্ছি নামাজে বসে আল্লাহকে বলতাম আমাকে যেন খুশির খবর দেন নামায টা শেষ করেই ফোন ধরলাম আর দেখি আপনাদের নিউজ বিয়ে করতে পারবো এমন হইছে আমার সাথে । মুফতি সাহেব আমি একদম ভালো নাই ।আমাকে সাহায্য করেন ।
একদিন আমি আমার ছোট ভাই  বুঝাইলাম তালাক যে কতটা ভয়াবহ  তা বুঝাইতেছিলাম । আমি বলছি তুমি যদি কাউকে বলো যে সে আমাকে বিয়ে করলে  তিন তালাক তাহলে তাকে আর বিয়ে করতে পারবে না বা আমি যাকে বিয়ে করবো তাকে তিন তালাক বললেও  বিয়ে করতে পারবো না । এই কথার মাঝে আমি যাকে বিয়ে করবো আমার  স্ত্রী ওর কথা মনে আসলো ।কিন্তু ওকে এইসব বলার কোনো মানেই নাই এখানে শুধু মনে আসলো ও । আমি তো ছোট ভাইকে বুঝার জন্যই এই কথাটা বলছি আর কিছুই না ।
১।তালাকের এই মাসয়ালা ছোট ভাইকে বুঝাতে ক্ষেত্রে আমার কি কোন সমস্যা হবে ওকে বিয়ে করতে ?

২। মনের মধ্যে প্রশ্ন আসে কথাটা এই ভাবে বলা উচিত বা এই ভাবে বললে ভালো হতো ।  আজকে ২মাস ধরে করতেছি প্রশ্ন । আর কি প্রশ্ন করা উচিত আমার  ?
৩।মনের মধ্যে দিধা দ্বন্ধ আসলেও আল্লাহর  উপর ভরসা করে আগানো যাবে কিনা ?
৪। কথা গুলো আর মনে করা উচিত কিনা যা হইছে হইছে এমন মনে করতাম ?

৫।আমি কি ওয়াসা ওয়াসা আক্রান্ত ?

৬। আল্লাহ না চাইলে কেউ এক পা ও নড়তে পারে না ।আর আল্লাহ না  চাইলে বিয়ে ও না । আমি যদি পরিবার নিয়ে ওকে পুনরায় বিয়ে করি তাহলে কি এইটা ভাবা যায় কিনা  বিয়ে যেহেতু পূর্ব নির্দারিত আর আল্লাহ নিশ্চয় হারাম জিনিস দিবেন না এত বড় একটা রহমতের মাঝে  । যদি আমাদের বিয়ে হয় পরিবার মিলে তাহলে কি আমি ভাবতে পারি হালাল দেখেই আল্লাহ ওকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিছে এই ভরসা রাখতে পারি ? আর বিয়ে যেহেতু পূর্ব নির্দারিত ।

৭।আমি কি এই খানেই বন্ধ হয়ে যেতাম আর আগাতাম না এই সব মাসয়ালা নিয়ে ? কোন ভাবেই আর প্রশ্ন করতাম না ? মনে আসলেও না ?
দয়া করে সাহায্য করবেন আমাকে  ।

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   

★শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি তার স্ত্রীকে তালাকের মাসয়ালা বুঝানোর জন্য তালাকের বাক্য ব্যবহার করে,এতে স্বামীর উদ্দেশ্য শুধু স্ত্রীকে তালাকের মাসয়ালা বুঝানো,তালাক দেওয়া উদ্দেশ্য  না হয়,তাহলে তালাক পতিত হবেনা।

আল আশবাহ ওয়ান নাযায়ের গ্রন্থে আছেঃ 

لو کرر مسائل الطلاق بحضرتہا، یقول في کل مرة أنتِ طالق لم یقع (الأشباہ والنظائر: ۱/۴۵)
সারমর্মঃ 
কেহ যদি স্ত্রীর সামনে তালাকের মাসয়ালা বারবার বলে,(মাসায়েল বুঝাতে গিয়ে/মাসয়ালা বুঝানোর স্বার্থে প্রত্যেকবার "তুমি তালাক" বলে,তাহলে তালাক পতিত হবেনা।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাকের এই মাসয়ালা ছোট ভাইকে বুঝানোর ক্ষেত্রে আপনার জন্য কোনো সমস্যা হবেনা।
আপনি নিঃসন্দেহে সেই আগের স্ত্রীকে বিবাহ করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।
,
(০২)
এ সংক্রান্ত আর কোনো প্রশ্ন করা আপনার উচিত নয়।
ওয়াসওয়াসা রোগ থেকে বাঁচার লক্ষ্যে আপনার জন্য উচিত হলো তালাক সংক্রান্ত মাসয়ালা না পড়া।
এড়িয়ে চলা।
,
(০৩)
হ্যাঁ, আল্লাহর উপর ভরসা করে আপনি এগিয়ে চলুন।
আল্লাহ আপনার সহায় হবেন,ইনশাআল্লাহ্।

(০৪)
আপনার জন্য সেই কথা গুলি আর মনে করা উচিত নয়।

(০৫)
হ্যাঁ। 

(০৬)
হ্যাঁ, আপনি এমনটি ভাবতে পারেন।
সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে পূর্ব নির্ধারিত।
,
(০৭)
হ্যাঁ, এখানেই বন্ধ হয়ে যান। 
এ সংক্রান্ত আর কোনো প্রশ্ন করা আপনার উচিত নয়।
আবারো বলছি যে,ওয়াসওয়াসা রোগ থেকে বাঁচার লক্ষ্যে আপনার জন্য উচিত হলো তালাক সংক্রান্ত মাসয়ালা না পড়া।
এড়িয়ে চলা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
আলহামদুলিল্লাহ্ । আল্লাহ্ আপনার সহায় হোক ,আমার জন্য দোয়া রাখবেন ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...