বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
নামাজ ত্যাগ অনেক মারাত্মক গুনাহ।
হাদীস
শরীফে এসেছে-
عَنْ
أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ
" وَلاَ تَتْرُكْ صَلاَةً مَكْتُوبَةً مُتَعَمِّدًا فَمَنْ تَرَكَهَا مُتَعَمِّدًا
فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ وَلاَ تَشْرَبِ الْخَمْرَ فَإِنَّهَا مِفْتَاحُ
كُلِّ شَرٍّ "
.
আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার প্রিয় বন্ধু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে এই উপদেশ তুমি স্বেচ্ছায় ফরয নামায ত্যাগ করো না। যে
ব্যক্তি স্বেচ্ছায় তা ত্যাগ করে তারথেকে (আল্লাহর ) যিম্মদারি উঠে যায়। তুমি
মদ্যপান করো না। কেননা তা সর্বপ্রকার অনিষ্টের চাবিকাঠি। (সুনানে ইবনে মাজাহ ৪০৩৪)
অধিক
কাযা নামাজ তারতীবকে রহিত করে দেয়। ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে আছে-
… حتي ترك صلاة شهر ثم قضي ثلاثين فجر ثم ثلاثين ظهرا ثم هكذا صح
মর্মার্থ:
কারোর যদি এক মাসের নামাজ কাযা হয়ে যায়। অত:পর সে ত্রিশ দিনের ফজরের নামাজ কাযা
করে তারপর জহর…তাহলে তা সহীহ আছে। ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/১৮৩
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/25597/
https://ifatwa.info/5512/?show=5512#q5512 নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
বালিগ হওয়ার পর যার জীবনে ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কা'যা হয়নি,সেই ব্যক্তিই
সাহেবে তারতীব। সুতরাং কেউ যদি টানা কয়েক বছর নামায না পড়ে তাকে এবং পরবর্তীতে
নিয়মিত নামায পড়া শুরু করে, এবং তখন ১/২
ওয়াক্ত নামায কা'যা হয়,তাহলে ঐ
ব্যক্তি সাহেবে তারতীব হবে না। কেননা ঐ ব্যক্তির অধীনে বা জিম্মায় অসংখ্যাত নামায কা'যা রয়েছে। তাই ঐ ব্যক্তিকে সাহেবে তারতীব বলা
যাবে না। সাহেবে তারতীব হওয়ার জন্য ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কাযা হতে পারবে না বা
জিম্মায় থাকতে পারবে না।
যদি কারো অনেক নামায কা'যা থাকে,এবং ঐ ব্যক্তি কা'যা আদায় করতে করতে ছয় ওয়াক্তের কম নামায তার
জিম্মায় বাকী থাকে, তাহলে কি সে
সাহেবে তারতীব হবে?
এ সম্পর্কে দু ধরণের বক্তব্য পাওয়া যায়, বিশুদ্ধ কথা
হল,ঐ ব্যক্তিও সাহেবে তারতীব হিসেবে গণ্য হবে।
সাহেবে তারতীব ব্যক্তির জন্য তারতীব রক্ষা করা ওয়াজিব। অর্থাৎ প্রথমে কাযা
নামায গুলো ধারাবাহিক আদায় করতে হবে। তারপর ওয়াক্তের নামায আদায় করতে হবে। উল্টো
করলে ওয়াজিব তরকের গোনাহ হবে।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
১. উক্ত ব্যক্তি যদি সাহেবে তারতীব হয়
তাহলে আগে আসরের নামাজ কাযা করবে। তারপর মাগরীবের জামাতে শরীক হবে। আর যদি সাহেবে
তারতীব না হয় তাহলে সে মাগরীবের জামাতে শরীক হয়ে যাবে। তারপর তার সুবিধা মত আসরের
নামাজ কাযা করে নিবে।
২. নামাজের মধ্যে আগের কাযা নামজের কথা মনে পড়লে আদায়কৃত নামাজ ভেঙ্গে ফেলে ঐ
আগের ওয়াক্তের কাযা নামাজ আগে আদায় করা ওয়াজিব। এই হুকুম সাহেবে তারতীবের জন্য।
সবার জন্য নয়।
উল্লেখ্য যে, সাহেবে তারতীব ব্যক্তি নামাজ আদায়ের
ক্ষেত্রে (ফজর, জহর, আসর, মাগরীব, ঈশা এই ধারাবাহিকতা) নামাজের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী নামাজ
আদায় ও কাযা আদায় করা ওয়াজিব।