আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
338 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
closed by

'আবদুল্লহ ইবনে 'উমার(র)-র কানে অন্যের বাজানো গানের শব্দ আসলে তিনি কানে আঙ্গুল ঢুকান এবং বলেন, তিনি রসূল সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এমন করতে দেখেছেন। এটাকে আলবানি রহিমাহুল্লহ সহীহ হাদীস বলেছেন। কিন্তু ইমাম নববি রহিমাহুল্লহ দ'ঈফ বলেছেন। আমার কানে আঙ্গুল ঢুকানোকেই যুক্তিযুক্ত মনে হয়। কিন্তু এটা সহীহ কিনা তা কিভাবে বুঝবো? কেউ গান বাজালে মনে মনে ঘৃণা রেখে তা শুনলে গুনাহ হবে?

আমাদের দেশের জাতীয় সংগীত গাওয়া কি জায়েজ? এই গান গেয়েছে একজন হিন্দু ব্যক্তি, গেয়েছে বঙ্গমাতাকে উদ্দেশ্য করে (উইকিপিডিয়া)। এই গানে বাঁশি বাজানোর কথা আছে। আর এটি বাদ্যযন্ত্রের সাথে বাজানো হয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গাওয়া হলে বাধ্য হয়ে শুনতে হয়।

ইউটিউবে নাশিদ শীল্পিদের বিভিন্ন নাশিদ আছে যেগুলোতে তারা বাদ্যযন্ত্র ব্যাবহার না করলেও বাদ্যযন্ত্রের মতো বিভিন্ন আওয়াজ করে। এগুলো কি জায়েজ?

আবার আজকে একজনকে দেখলাম হারাম হিন্দি গানকে বাদ্যযন্ত্র ছাড়া কিন্তু বাদ্যযন্ত্রের মতো করে গাইতে। ওখানে মূল গানকে পরিবর্তন করে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থাৎ অর্থে খারাপ কিছু নেই, অর্থ ভালো। লিঙ্কটিতে দেখতে পারেন Tum Hi Ho (Muslim Version by Omar Esa) | Vocals Only এটা কি জায়েজ? তিনি এরকম আরেকটা নাশিদের কমেন্টে লিখেছেন I have NOT heard the original song (আমি আসল গানটি শুনিনি)

চোখের পর্দা করলেও অনেক গইরে মাহরাম মহিলা চোখে পরে যায় রাস্তায়। ভার্সিটিতেও মাঝে মাঝে চোখ চোলে যায়। এতে যদিও কোনো গুনাহ হবেনা জানি। কিন্তু এক্ষেত্রে সুন্নাত কী? রসূল সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের মতো কিভাবে চোখের পর্দা করা যায়?

closed

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
selected by
 
Best answer


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নাফি’ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন,
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْغُدَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ: سَمِعَ ابْنُ عُمَرَ، مِزْمَارًا قَالَ: فَوَضَعَ إِصْبَعَيْهِ عَلَى أُذُنَيْهِ، وَنَأَى عَنِ الطَّرِيقِ، وَقَالَ لِي: يَا نَافِعُ هَلْ تَسْمَعُ شَيْئًا؟ قَالَ: فَقُلْتُ: لَا، قَالَ: فَرَفَعَ إِصْبَعَيْهِ مِنْ أُذُنَيْهِ، وَقَالَ: كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَمِعَ مِثْلَ هَذَا فَصَنَعَ مِثْلَ هَذَا، قَالَ أَبُو عَلِيٍّ الْلُؤْلُؤِيُّ: سَمِعْت أَبَا دَاوُد يَقُولُ: هَذَا
حَدِيثٌ مُنْكَرٌ
একদা ইবনু উমার (রাঃ) বাদ্যযন্ত্রের শব্দ শুনতে পেয়ে উভয় কানে আঙ্গুল ঢুকিয়ে রাস্তা থেকে সরে গিয়ে আমাকে বললেন, হে নাফি’! তুমি কি কিছু শুনতে পাচ্ছো? বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, না। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি কান থেকে হাত তুলে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। তখন তিনি এ ধরণের শব্দ শুনে এরূপ করেছিলেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি মুনকার।( আবু দাউদ-৪৯২৪)

এই হাদিসটির মান সহীহ।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নটি অস্পষ্ট। ঠিক আপনি কি জানতে চান? সংক্ষেপে কমেন্টে উল্লেখ করবেন। জাযাকাল্লাহ।

যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সেই আলোকে বলছি,
ইউটিউবে নাশিদ শীল্পিদের বিভিন্ন নাশিদ আছে যেগুলোতে তারা বাদ্যযন্ত্র ব্যাবহার না করলেও বাদ্যযন্ত্রের মতো বিভিন্ন আওয়াজ হয়, এগুলোকে হারাম বলা না গেলেও না শুনাই উত্তম।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1898

সর্বদা মাঠির দিকে তাকিয়ে হাটবেন।প্রয়োজন ব্যতিত এদিক ওদিক তাকাবেন না।বিশেষ করে কোনো নারীর দিকে চোখ পড়ে গেলে, সাথে সাথেই ফিরিয়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...