আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
311 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
edited by

                    বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 
আসসালামু আলাইকুম হুজুর
মুফতি ইমদাদুল হুজুরের কাছে আমার অনুরোধ দয়াকরে আমাকে সাহায্য করবেন

আজকেই প্রথম আমি প্রশ্ন করলাম 
মেহেরবানি করে সাহায্য করবেন অমি অনেক কষ্টে ও ভয়ে আছি।
নাম প্রকাশ করলাম না
দিনাজপুর জেলা
সূচনাঃ আমি একজন ছাএ (অনার্স) এ পড়ি।  গত রমজান  মাসে আমি বিয়ে করি প্রায় ৪ মাস হলো আমার বিয়ের।
আর বর্তমানে আমি আমার শশুর বাড়িতেই থাকি। । তো আমি যেদিন বিয়ে করি সেই দিন ছিলো
০৯/০৪/২০২২ তারিখ ঐ দিন রাতে আমার বিয়ে হয়
এবং বিয়ে করেই ঐ  রাতেই আমি দিনাজপুরের এক
ইউনিভার্সিটিতে কয়েকদিন থাকার জন্য  যাই। আমার
বউ তার বাবার বাড়িতেই ছিলো আর আমি বিয়ে করে
ঐ দিনই ইউনিভার্সিটিতে যাই। তো আমি যেদিন
ইউনিভার্সিটিতে যাই অর্থাৎ ০৯ তারিখ বিয়ের দিন
রাতেই সেই দিন কোন সমস্যা হয় নি কিন্তু পরের দিন
অর্থাৎ১০ কিংবা ১১ তারিখ আমার ঠিক মনে নাই
হঠাৎ করে কখন কিভাবে আমার মনে হতে লাগলো
আমি কি কিছু বলছিলাম নাকি একা একা বা মনে মনে
এরকম সন্দেহে পড়ে যাই আমি।   আর এটা হয়
ইউটিউবে বিবাহ বিচ্ছেদের মাসআলার  ভিডিও দেখার
পর থেকে অথবা অন্য কোথাও থেকে জানার পরে কিন্তু আমি মনে করতে পারি না কখন কিভাবে কি কারনে এসব বাজে চিন্তা আমার মাথায় ঢুকে। এমনকি   যেদিন থেকে এসব সন্দেহে পড়ে যাই সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত আমি কিছু মনে করতে পারি নাই ঠিক কি কারনে এসব আমার মনের ভিতর ঢুকলো। অথচ আমি বিয়েই করছি চার মাস হলো।  আর যে সময়ে ঐসব সন্দেহে পরি তখন আমার স্ত্রীর সাথেও আমার কোন ঝগরাও হয় নি হঠাৎ করেই বিয়ের এক/দুই দিন পর থেকে কি দেখার পরে না জানার পরে আমার মনে সন্দেহ শুরু হতে থাকে। শুধু এতটুকু মনে পড়ে ইউটিউবে ভিডিও দেখার পরে মনে সন্দেহ হতে শুরু করে যে কিছু মুখে উচ্চারন করছি কিনা। কিন্তু এই  বিষয়েও আমার সন্দেহ  আছে যে ইউটিউবে ভিডিও দেখার মাধ্যমে সন্দেহ শুরু হয়েছিলো কিনা। শুধু এতটুকু মনে পড়ে ইউটিউবে আহলে হাদিস এক শায়েখের বক্তব্য শুনেছিলাম তিনি বলেন মনে মনে বললেও নাকি পতিত হয় তখন থেকে আরো বেশি ভয় হতে থাকে আমার যে আমি মনে মনে কিছু বলছিলাম কিনা কিন্তু এটাতেও  আমার সন্দেহ হয় কিছু মনে করতে পারি না 
মুখ থেকে উচ্চারণ করছি কিনা কিন্তু আমার প্রবল
ধারনা আমি মুখ খুলি নি।কিন্তু তবুও একবার মনে
হচ্ছে মুখ খুলি নি মুখে কিছু উচ্চারণ করি নি আবার
মনে হচ্ছে কিছু কি বলছিলাম নাকি আবার একা একা
বা মনে মনে সন্দেহে পড়ে যাই কোন মতেই কিছু  মনে
করতে পারতিছি না। অথচ আমি বিয়েই করছি দুই দিন
আগে অর্থাৎ ০৯/০৪/২২ তারিখে আর সন্দেহ শুরু হয়
১০/৪/২২ কিংবা ১১/০৪/২২ তারিখে আমি ঠিক মনে
করতে পারতিছি না। তো এসব বাজে টেনসনে পড়ার
পর আমি ১২/৪/২২ তারিখে আমার শশুর বাড়িতে
চলে আসি ইউনিভার্সিটি থেকে এবং আমার স্ত্রীর সাথে
  থাকতে শুরু করি। কিন্তু ঐসব চিন্তা আমার মাথায়
সবসময় ঘুরতে থাকে আর আমি সবসময় ঐসব চিন্তা
নিয়ে ভয়ে থাকি। আর মনে হতে থাকে কিছু মুখে
উচ্চারণ করছিলাম নাকি মনে মনে কিছু বলছিলাম
নাকি এসব ভাবতে থাকি আর চিন্তিত হয়ে পড়ি। আর
এই চিন্তা করতে করতে নেটে সার্চ দেই  মনে মনে কিছু
বললে কিছু  হয় নাকি। তো জানতে পারি হয় না। অথচ আমি
কিছু মুখে উচ্চারণ করছিলাম কিনা বা মনে মনে
বলছিলাম কিনা দুইটা বিষয়েই আমার সন্দেহ আছে কোনমতেই কিছু মনে করতে পারি না । কখনো মনে হয়
করি নি আবার মনে হয় করছিলাম কিনা এরকম
সন্দেহে আটকে পড়ি। আর তারপর ওয়েবসাইট  থেকে
মাসআলা পড়ার পর থেকে আমার জীবন আরো
অতিষ্ঠ হয়ে পরে হুজুর। ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের
i fatawa আরো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে  কেনায়া/ শর্ত
/এসব যখন জানতে পারি তখন এগুলো নিয়ে কেনো
জানি সবসময় মনে এসব চিন্তা চলে আসে। আর শর্ত
সম্পর্কে যখন জানতে পারি তখন সব সময় আমার
মনে অহেতুক শর্ত চলে আসে এবং সেটা আমার সব
কাজের সাথেই চলে আসে মনে। কিন্তু আমি কখনো
মুখে উচ্চারণ করি না।
তবুও সন্দেহে পড়ে যাই যে মুখে উচ্চারণ করে
ফেললাম নাকি। কিন্তু আমি আসলেই উচ্চারণ করি না
মুখে তবুও সন্দেহ হয় কোনমতেই রেহাই পাই না হুজুর।
সত্যি বলতে আমি কেনায়া আর  শর্ত সম্পর্কে
জানতাম না কিন্তু ওয়েবসাইটে দেখে জানার পর থেকে
আমার মনে সবসময় শর্ত চলে আসে জানার আগে
আমার মনে এরকম হতো না জানার পরেই এরকম
হচ্ছে আমার সাথে। আর এখন বর্তমানে আমার এমন
অবস্থা আমি অন্যের সঙ্গে কথা বলতেও ভয় পাই মুখ
খুললেই মনে হয় বাজে কথা বের হয়ে যাবে মনেহয়
এরকম অসস্তি লাগে আর মুখ খুললে সন্দেহে পড়ে
যাই যে কিছু বলে ফেললাম নাকি। কিন্তু কিছু মনে
করতে পারি না যে আসলেই কিছু বলছিলাম কিনা।

আমি আমার  স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসি। আমি তো চাই না ঐসব হোক। তাহলে কেনো এরকম হচ্ছে আমার সাথে। আমি তো বিয়েই করেছি চার মাস হলো আর বিয়ের এক দুই দিন পর থেকেই আমার অহেতুক সন্দেহ হতে শুরু করে । আমার স্ত্রীর সাথে তো আমার কোন ঝগরাও তো হয় নি বিয়ের পর দুই এক দিনের মধ্যে। আর আমার সঠিক বিষয়টিও  মনেও পরে না কি কারনে সন্দেহ শুরু হয় আমার 

তারপর ওয়েবসাইটে ঘাটাঘাটি করে  শর্ত আর কেনায়া সম্পর্কে জানার পর থেকে আমার জীবন আরো অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। আমি তো বিয়েই করেছি চার মাস আগে। আর বিয়ের দুই এক দিন পর থেকেই আমার মনে নানান সন্দেহের সৃষ্টি হতে থাকে। কি কারনে এরকম হচ্ছে আমার সাথে। আমি তো চাই না ঐসব হোক। আমি এসবের মধ্যে থেকে বের হতে পারতিছি না দয়াকরে আমাকে উপায় বলে দিন হুজুর। 

শর্ত সম্পর্কে কিছু প্রশ্নঃ
শর্ত সম্পর্কে জানার পর থেকে এরকম হচ্ছে তার সাথে জানার আগে হতো না এরকম তার সাথে।
১। কোন ব্যক্তি তার  স্ত্রী সাথে লুডু খেলছিলো তো খেলতে খেলতে হঠাৎ ঐ ব্যক্তির মনে শর্ত চলে আসে যে সে যদি খেলায় জিততে না পারে তাহলে তার স্ত্রী ঐটা++++ হয়ে যাবে (দয়াকরে বুঝে নিবেন হুজুর আমি শব্দ টা লিখতে পারবো না খুব ভয় লাগে) মুখে কিছু উচচারণ করে না ঐ ব্যক্তি। এটা মনে মনে বলার পর তিনি ভয়ে ভালো করে খেলতে শুরু করে যাতে জিততে পারে আর কিছু যাতে পতিত না হয়। কিন্তু ঐ ব্যক্তি খেলায় হেরে যায়।   এখন প্রশ্ন হলো  খেলার সময় হঠাৎ  ঐ ব্যক্তির মনে শর্ত আসার কারনে এবং হেরে যাওয়ার কারনে কি কোন সমস্যা হবে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে।  আর এসব শর্ত তার মাসআলা জানার পর থেকে সব কাজের সাথেই সবসময় তার মনে আসে এসব । মাসআলা জানার আগে এরকম হতো না তার

২।আরো একদিন ঐ ব্যক্তি মোবাইলে গেম খেলছিলো আর তখন তিনি মনে মনে বলে ১০ বার এর মধ্যে ১০০ পয়েন্ট করতে না পারলে তার স্ত্রী ঐটা হয়ে যাবে +++। (দয়াকরে বুঝে নিবেন) কিন্তু তিনি ১০ বারের মধ্যে ১০০ পয়েন্ট করতে পারে না। এসব মনে মনে বলে ১০ বারের মধ্যে ১০০ পয়েন্ট করতে না পারার  কারনে কি কোন সমস্যা হবে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে।

শর্ত সম্পর্কে মাসআলা জানার পর থেকে এসব হচ্ছে তার সাথে

৩।ঐ ব্যক্তির এখন এমন অবস্থা হয়েছে শর্তের মাসআলা জানার পর থেকে। তিনি যদি কাউকে সালাম দেয় বা কিছু দেখিয়ে দেয় যে দেখেন ঐ জিনিস  টা। তখন সালাম দেয়ার বা কোন কথা বলার সাথে  সাথে তার মনে শর্ত চলে আসে। যেমনঃ তিনি যখন সালাম দেয় তখন মনে মনে বলে সালামের জবাব না দিলে তার স্ত্রী ঐটা++++  হয়ে যাবে । অনেক সময় দেখা যায় তার সালামের জবাব কেউ দেয় না। তখন তিনি অনেক ভয় পায়। কিন্তু তিনি শর্তের কথা টা মুখে উচ্চারণ করে না কখনো।
আর কিছু দেখিয়ে দিলে তার মনে শর্ত আসে যদি সে দেখিয়ে দেওয়া জিনিস টা অপর ব্যক্তি  না দেখে তাহলে তার স্ত্রী++++ ঐটা হয়ে যাবে । এটা তার মনে চলে আসে। এসবের কারনে কি কোন সমস্যা হবে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে। সে চায় না তার মনে এসব আসুক  শর্ত  সম্পর্কে জানার পর থেকে এরকম সব বাজে কর্মকান্ড শুরু হয় তার সাথে। কোনমতেই রেহাই পাচ্ছে না এসব থেকে।

৪। আরো একদিন তিনি তার স্ত্রীর সাথে রাস্তা দিয়ে হাটছিলো। তখন তিনি তার স্ত্রীকে i love you  বলে। এবং বলার সাথে সাথে তার মনে শর্ত চলে আসে। যে তার স্ত্রী যদি i love you এর জবাব না দেয় অর্থাৎ তার স্ত্রী যদি  i love You Too না বলে তাহলে তার স্ত্রী ঐটা হয়ে যাবে ++++। কিন্তু আসলেই  i love you এর কোন জবাব দেয় না চুপ করে থাকে। তখন ঐ ব্যক্তি ভয়ে তার স্ত্রীকে বলে চুপ করে আছো কেনো জবাব দেও জোর করতে থাকে তার স্ত্রীর সাথে জবাব দেওয়ার জন্য তবুও তার স্ত্রী চুপ করে থাকে কোন জবাব দেয় না। তখন ঐ ব্যক্তি পেরেশান হয়ে পরে ভয়ে। যে মনে মনে এসব বলার দ্বারা কিছু হয়ে গেলো নাকি। ( বি দ্রঃ তার স্ত্রী তার মনে মনে বলা শর্তের  একটা কথাও জানে না)

৫।আরো একদিন ঐ ব্যক্তি গোসল করতিছিলো তো গোসল করার সময় ঐ ব্যক্তি তার স্ত্রীকে গামছা নিয়ে আসতে বলে। যখন তার স্ত্রী গামছা আনতে গোসলখানা থেকে ঘরে আসে তখন ঐ ব্যক্তি মনে মনে বলে তার স্ত্রী গামছা নিয়ে আসার আগেই চার মগ পানি শরীরে ঢালবে। আর চার মগ পানি ঢালার আগেই তার স্ত্রী গামছা নিয়ে চলে আসলে সে ভাবে তার স্ত্রী ঐটা++++ হয়ে যাবে। তো ঐ ব্যক্তি চার মগ পানি ঢালার আগেই তার স্ত্রী গোসলখানায় চলে আসে তখন ঐ ব্যক্তি চমকে যায় এবং ভয় পেয়ে যায় কিছু হয়ে যাবে কিনা এটা চিন্তা করে। তারপর ঐ ব্যক্তি সন্দেহে পড়ে যায় যে শর্তের কথাটা তিনি মুখে উচ্চারন করে ফেললো কিনা এটা ভাবতে থাকে কিন্তু কিছু মনে করতে পারে না । কিন্তু হুজুর ঐ ব্যক্তি কখনো চায় না ঐসব হোক তিনি তার বউকে অনেক ভালোবাসে। কিন্তু শর্ত সম্পর্কে জানার পর থেকে তার সঙ্গে এসব হচ্ছে অটোমেটিক ভাবে। সে এসব থেকে মুক্তি চায় দয়াকরে এসব থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় বলে দিবেন হুজুর।

৬।ঐ ব্যক্তির সব কাজের সাথে শর্ত চলে আসে এবং মনে মনে বলে। তার এখন এমন অবস্থা অটোমেটিক কেনো জানি তার মনে এসব আসতিছে। আর ঐসব মনে মনে বলার পর সন্দেহে পড়ে যাচ্ছে যে মুখেও উচ্চারণ করে ফেললো কিনা কিন্তু মনে করতে পারে না উচ্চারণ করছে কিনা সবসময় সন্দেহে আটকে পড়ে। এরকম মুখে উচ্চারণ করছে কিনা সন্দেহ হলে কি কোন সমস্যা হবে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে দয়াকরে জানাবেন

৭।একদিন আমি  হাটের বাজার থেকে গুড়ের জিলাপি নিয়ে আসি খাওয়ার জন্য। তো জিলাপি বাসায় (এখানে বাসায় বলতে আমার শশুর বাড়ির কথা  বলতিছি কারন বিয়ের পর থেকে আমি আমার শশুর বাড়িতেই থাকি আমার পরিবার মেনে না নেওয়ার কারনে) এনে এক জায়গায় রাখি তো কিছুখন পর আসে দেখি জিলাপি গুলো ঈদুর সামান্য একটু খেয়েছে। তো ঐসব দেখে আমার আর রুচি হয় নি জিলাপি খাওয়ার তবুও যেই দিকের জিলাপি গুলো ভালো ছিলো সেগুলো খাই আর কয়েকটা রেখে দেই ইদুর খাওয়া জিলাপি আর কয়েকটা ভালো। এবং ঐ জিলাপি গুলো বেরেনচির উপরেই রাখা ছিলো তো রাতে যখন আমি ঘুমানোর জন্য বিছানায় শুয়ে পরি তখন ঐ জিলাপি গুলোর দিকে চোখ পরে আর আমার মনে শর্ত চলে আসে। কিন্তু আমি সন্দেহে পড়ে যাই আমি মুখে কিছু উচ্চারন করছিলাম কিনা। তখন আমি জিলাপি গুলো বাহিরে ছুরে ফেলে দেই। এবং ভাবতে থাকি কিছু মুখে উচ্চারন করছিলাম কিনা। কিন্তু কিছু মনে করতে পারি না। অথচ আমি চুপ করেই ছিলাম কোন কথার শব্দও আমার কানে আসে নি। তবুও মারত্বক সন্দেহে আটকে পরি। তখন আমি আবার বাহিরে ছুরে ফেলে দেওয়া জিলাপি গুলোর কাছে যাই এবং আবার একটা টিউবওয়েল পানি জমে থাকা ছোট গর্তে ফেলে দেই। এরকম অদ্ভুত সব শর্ত হঠাৎ করেই আমার মনে চলে আসে। কিন্তু আমি সন্দেহে পড়ে যাই কিছু মনে করতে পারি না । এরকম হওয়ার জন্য কি কোন সমস্যা হবে হুজুর

উপরে বর্নিত  ১/ ২/ ৩/ ৪/ ৫/ ৬ /৭প্রশ্নের মতো আরো নানান ধরনের অদ্ভুত সব শর্ত আসতে থাকে তার মনে নামাজ পড়া থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া হাটা চলা যত কাজ আছে সবসময় তার শর্ত চলে আসে মনে।কিন্তু তিনি শর্তের কথাগুলো মুখে উচ্চারন করে না। কিন্তু উচ্চারন করে না জানার পরও সন্দেহে পরে যায়। কোনমতেই কিছু মনে করতে পারে না  

কেনায়া বাক্য নিয়ে কিছু প্রশ্নঃ
এক ব্যক্তি কেনায়া বাক্য সম্পর্কে জানতো না তো জানার পর থেকে তার সাথে অদ্ভুত সব কর্মকান্ড শুরু হয়।
৮।ঐ ব্যক্তি যখন কেনায়া সম্পর্কে জানতে পারে তখন থেকে সে যার সাথেই কথা বলে তখনি সন্দেহে পড়ে যায় যে সে নিয়ত করে ফেললো কিনা। এবং সে অনেক ভয় পেয়ে যায় এবং পেরেশান হয়ে পড়ে।

৯।ঐ ব্যক্তি যখন তার স্ত্রীর সাথে কথা বলে সে অনেক সাবধানে কথা বলে। তবুও মাঝে মধ্যে এমনকিছু কথা স্ত্রীর সাথে বলতে হয় যেগুলো কেনায়া বাক্য যেমনঃ কোন ব্যক্তির স্ত্রী তার স্বামীর কাছে অনুমতি চাচ্ছে কোথাও যাওয়ার  তখন তার স্বামী যদি বলে (যাও)  আর এটা বলার সময় যদি ঐ ব্যক্তির মনে হতে থাকে নিয়ত করে ফেললো মনে হয়  তার অনিচ্ছায় এসব হচ্ছে কেনায়া সম্পর্কে জানার পর থেকে  সে চায় না ঐসব হোক কিন্তু হঠাৎ করেই এসব ভাবনা চলে আসে তার মনে কোনমতে আটকাতে পারে না । তাহলে কি কোন সমস্যা হবে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে

১০।ঐ ব্যক্তির এখন এমন অবস্থা হয়েছে সে তার স্ত্রীর সাথে  যে কোন কথা বললেও তার মনে হয় সে ঐটা++++ দেওয়ার নিয়তেই  কথা বলতিছে এরকম মনে হতে থাকে তার। এটা তার যেকোন কথা বলার সময় হঠাৎ নিয়তের কথা মনে চলে আসে। এবং তার মনে হতে থাকে ঐ নিয়তেই বলতিছে। এসব তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হয়। কেনায়া সম্পর্কে জানার পর থেকে। আগে এরকম হতো না তার। এরকম হওয়ার দ্বারা কোন সমস্যা হবে নাকি তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে জানাবেন দয়াকরে।

 

১১।প্রশ্নগুলো কয়েকদিন ধরে লিখা হয়েছে একটু একটু করে তো মাঝে মধ্যে ইডিট করে নতুন কিছু এড করা হয়ছে পরে যুক্ত করার কারনে কি কোন সমস্যা হবে হুজুর ।


১২। হুজুর আমি চুপ করে মুখ বন্ধ করে থাকা অবস্থাতেও  একটু অন্য মনষ্ক হয়ে পরলেই সন্দেহে পড়ে যাই যে কিছু বলে ফেললাম নাকি অথচ আমার মুখ বন্ধই থাকে তবুও প্রচন্ড সন্দেহে পরে যাই আমি কিছু মনে করতে পারি না।


১৩। ১থেকে শুরু করে যত প্রশ্ন করা হয়েছে এসব মাসআলা ওয়েবসাইটে পড়ে শর্ত আর কেনায়া সম্পর্কে জানার পর থেকে শুরু হয়েছে এসব আগে হতো না তার সাথে। আর এখন সে মারাত্মক ভাবে এসবে আক্রান্ত সবসময়  প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। কোনমতেই মন থেকে এসব দূর হচ্ছে না

১৪।হুজুর দয়াকরে সবগুলে একটু ভালোকরে পড়ে উত্তর  পয়েন্ট আকারে দিয়েন কেনো এরকম হচ্ছে মাসআলা জানার পর থেকে আগে তো এরকম হতো না। মানসিক অসুস্থতায়  আজ চার মাস ধরে ভুগছি। আমাকে সাহায্য করবেন দয়াকরে। আর প্রশ্নগুলো অন্যের দিকে ইংগিত করে করলাম। এভাবে প্রশ্ন করার কারনে কি কোন সমস্যা হবে ।

১৫। আপনাদের ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারি ওয়াস ওয়াসা সম্পর্কে আমার এসব কি ওয়াস ওয়াসা। আমি তো শর্ত কেনায়া সম্পর্কে জানার আগে স্বাভাবিক ছিলাম কিন্তু জানার পর থেকে এরকম হচ্ছে আমার সাথে।

১৬।এসব প্রশ্ন করার কারনে কি কোন সমস্যা হবে হুজুর আমি তো অন্যের  দিকে ইংগিত করে বলেছি। 

১৭। সবসময় এসব চিন্তা মনে আসা কি ওয়াস ওয়াসা। আর বর্তমানে  মাঝে মাঝে এমন মনে হয় কেউ যেন জোর করতিছে বা চাপ দিচ্ছে মুখ থেকে বের করার জন্য। আমি অনেক কষ্টে মুখ বন্ধ করে থাকি হুজুর মুখ একটু নরলেই মনে হয় কিছু বলে ফেললাম নাকি সন্দেহে পড়ে যাই। এরকম হওয়ার জন্য কি কোন সমস্যা হবে হুজুর 

১৮। আমি একদিন 4এবং5 এর বাচ্চা দুইজনকে প্রাইভেট পড়াচ্ছিলাম তো পড়ানোর সময় একজনকে অংক কারানোর সময় তার অংক বইয়ে দাগিয়ে দেই অংকো কারার জন্য  তখন দাগানোর সময় ১ ২ ৩ ৪ এরকম লিখা ছিলো তো সেগুরোর উপর টিক দিয়ে তাকে বলি অংক কারার জন্য আর টিক দেওয়ার সময়ে যখন আমি কলম দিয়ে দাগাচ্ছিলাম তখন হঠাৎ করে ৩ এর উপর টিক দিতেই আমার মনে খারাপ কথা চলে আসে কিন্তু আমি মুখে কিছু উচ্চারন করি নি। এরকম হওয়ার দারা কি কোন সমস্যা হবে হুজুর 

১৯।আমার এখন এমন অবস্থা হয়েছে আমি টাকা গুনতে ধরলেও মনে ঐসব কথা চলে আসে। এরকম হওয়ার জন্য কি কোন সমস্যা হবে  হুজুর। আমাকে সাহায্য করিয়েন হুজুর দয়াকরে। 

 

২০।যেভাবে প্রশ্ন করা হয়েছে এভাবে যদি কেউ নিজের দিকে ইংগিত করে এই প্রশ্নগুলো করে তাহলে কি কোন সমস্যা হবে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে। 

২১। এসব থেকে বেঁচে থাকার কি কোন আমল আছে। নিজে না চাওয়া সত্যেও কেনো এসব মনে আসে। দয়াকরে জানাবেন হুজুর প্রশ্ন অনেকবার  ইডিট করে অনেক প্রশ্ন এড করা হয়েছে এতে কি কোন সমস্যা হবে হুজুর বৈবাহিক সম্পর্কে 

২২।মাসআলা জানার অথবা কাউকে জানানোর জন্য লিখার সময় বা বলার সময়  কেনায়া বাক্য বা সরাসরি মূল  বাক্য বলা বা লিখার সময় যদি কারো মনে তার  স্ত্রীর কথা মনে পড়ে অর্থাৎ তার যদি মনে হতে থাকে   স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লিখে ফেললো মনে হয় বা বলে ফেললো মনে হয় এরকম হওয়ার জন্য   কি কোন সমস্যা হবে। 

 

২৩। আমি এখন অন্যের সাথে কথা বলতেও ভয় পাই মুখ খুললেই মনে হয় বাজে কথা বের হবে মনে হয়।  এবং আমার স্ত্রীর সাথে কথা বলার সময় খুব ভয় লাগে আর যে কোন কথা বলতে গেলেই মনে হয় নিয়ত করে ফেললাম মনে হয়। সবসময়  এসব আমার মনে আসতে থাকে। এসবের কারনে কি কোন সমস্যা হবে  দয়াকরে সাহায্য করবেন  হুজুর আমি মারাত্মক সমস্যায় পড়ে আছি 

২৪।আমি এখন কিছু লিখতেও ভয় লাগে লিখার সময়েও মনে ঐসব চলে আসে বিশেষ করে সংখ্যা লিখার সময়। কাউকে পড়াশোনা করানোর সময়বা অন্য কোন কারনে সংখ্যা লিখার সময় ঐসব মনে আসলে কি কোন সমস্যা হবে হুজুর দয়াকরে বলবেন। আমি অনেক বিপদে পরে আছি কেনো এরকম হচ্ছে আমার সাথে। মাসআলা জানার আগে তো এতকিছু মনে আসতো না।

বিদ্রঃ আমি যেই মাসআলাই আপনাদের ও অন্য ওয়েবসাইটে পড়ছি পড়ার পর ঐটা নিয়েই সন্দেহে পরে গেছি এবং ঐ বিষয় টাই আমার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে । মাসআলা জানার আগে এরকম হয় নি। আর বিভিন্ন সময় ঐসব বিষয় নিয়ে হঠাৎ হঠাৎ করে সন্দেহে আক্রান্ত হয়েছি। 

হুজুর এতগুলো প্রশ্ন করার কারনে কিছু মনে করবেন না আমি সত্যি অনেক অসহায় হয়ে পড়ছি । আমার মনে কেনো এসব আসে কি দোষ আমার আমি তো চাই না ঐসব হোক তবুও কেনো এরকম হচ্ছে আমার সাথে বিয়ে করার দুই এক দিন পর থেকে হঠাৎ কি কারনে আমার সন্দেহ শুরু হয় জানি না কিন্তু এসব নিয়ে মনে ভয় ঢুকার কারনে মনে মনে বললে কিছু হয় কিনা জানার জন্য ওয়েবসাইটে মাসআলা জানার পর থেকে এরকম হচ্ছে আমার সাথে এবং তারপর থেকে  বর্তমানে আমি এসবে চূড়ান্ত ভাবে আক্রান্ত কিভাবে এসব থেকে রেহাই পাবো হুজুর দয়াকরে সাহায্য করবেন আমাকে । আমার কোনকিছুতে মন বসে না এখন খুব ভয়ে থাকি সবসময়।আমি তো চাই না ঐসব হোক কিন্তু কেনো এরকম হচ্ছে আমার সাথে 
আমার সাথে কেনো এরকম  হচ্ছে হুজুর আমার অবস্থা আসলেই অনেক খারাপ সবসময় এসব আমার মনে ঘুরপাক খেতে থাকে কোনমতেই রেহাই পাই না হুজুর। 

দয়াকরে আমাকে এসব থেকে বেঁচে থাকার উপায় বলে দিন আমি সাহায্য ভিক্ষা চাচ্ছি আপনার কাছে।মাসআলা জানার পর থেকে এরকম হচ্ছে আমার সাথে কেনো এরকম হচ্ছে আমার সাথে আমি এসব থেকে কিভাবে রেহাই পাবো হুজুর দয়াকরে সাহায্য করবেন 

যতটুকু পারছি বুঝিয়ে লেখার চেষ্টা করছি দয়াকরে একটু ভালো করে পড়ে বুঝে নিয়েন হুজুর। হয়তো একটু এলোমেলো ভাবে লিখছি এটার জন্য আমাকে মাপ করে দিয়েন হুজুর। আমাকে দয়াকরে সাহায্য করবেন দোহাই লাগে আপনার হাতজোর করতিছি আপনাকে আমাকে এসব থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় বলে দিন। 

1 Answer

0 votes
by (706,240 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তালাকের ওয়াসওয়াসা দ্বারা তালাক হয় না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যতগুলি প্রশ্ন করেছেন,সবগুলো একটি মূলনীতি দ্বারা বুঝে নেওয়া সম্ভব। অর্থাৎ এগুলো ওয়াসওয়াসা।শয়তান মনের মধ্যে এগুলো ঢুকিয়ে দিয়ে জীবনকে অশান্ত করতে চায়, সুতরাং আপনার প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী কোনোটা দ্বারাই তালাক হবে না। নিচে দেখুন, যেখানে বাস্তবে মুখ নাড়িয়ে উচ্ছারণ করে তালাক দেয়ার পরও তালাক হয়না, সেখানে কিভাবে মনের মধ্যে তালাক আসলে তালাক হতে পারে।

সুতরাং এসব চিন্তা পরিহার করুন।নামায রোযা ও আয় রোজগারের প্রতি মনোনিবেশ করুন।আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক।আমীন।

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সর্বসম্মতিক্রমে তালাকের জন্য নিজের ইচ্ছা বা দৃঢ় মনোভাব থাকা শর্ত। অর্থাৎ এমন শব্দ উচ্ছারণ করা শর্ত যাতে নিজের ইচ্ছার কথা প্রতিফলিত হয়।যদি তালাকের নিয়ত না থাকে, তাহলে তালাক পতিত হবে না।
অন্তরের প্ররোচিকা বা অন্তরের প্ররোচিকা দ্বারা তালাক হবে না।কেননা এখানেতো তালাক শব্দের অর্থকে উদ্দেশ্য নেয়া হচ্ছে না।বরং শিক্ষা বা কাহিনি বর্ণনার উদ্দেশ্যে তালাক শব্দ উচ্ছারণ করা হয়েছে। (আল ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহু-৭/৩৬৮)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (706,240 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...