ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
وَنَضَعُ الْمَوَازِينَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا ۖ وَإِن كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ أَتَيْنَا بِهَا ۗ وَكَفَىٰ بِنَا حَاسِبِينَ
আমি কেয়ামতের দিন ন্যায়বিচারের মানদন্ড স্থাপন করব। সুতরাং কারও প্রতি জুলুম হবে না। যদি কোন আমল সরিষার দানা পরিমাণও হয়, আমি তা উপস্থিত করব এবং হিসাব গ্রহণের জন্যে আমিই যথেষ্ট। (সূরা আম্বিয়া-৪৭)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَلَنَسْأَلَنَّ الَّذِينَ أُرْسِلَ إِلَيْهِمْ وَلَنَسْأَلَنَّ الْمُرْسَلِينَ
অতএব, আমি অবশ্যই তাদেরকে জিজ্ঞেস করব যাদের কাছে রসূল প্রেরিত হয়েছিল এবং আমি অবশ্যই তাদেরকে জিজ্ঞেস করব রসূলগণকে।(সূরা আ'রাফ-৬)
ইবনে কাছির রাহ বলেন,;
আল্লাহ তা'আলা নবী রাসূলগণকে দাওয়াত ও তাবলীগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।অর্থাৎ লোকজন তখন তাদের নবীদেরকে কি জবাব দিয়েছিল, সেই কথা আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে জিজ্ঞাস করবেন। নবীদের সামনেই এ সুওয়াল জওয়াব হবে।
ইমাম শাওকানী রাহ বলেন,
[وَلَنَسْأَلَنَّ الْمُرْسَلِين] أن السؤال للأنبياء الذين بعثهم الله : أي نسألهم عما أجاب به أممهم عليهم،ومن أطاع منهم ومن عصى.
নবী রাসূলগণকে জিজ্ঞাসা করা হবে তাদেরকে তাদের উম্মত কি জবাব দিয়েছিল।কে কে তাদের অনুসরণ করেছিল আর কে কে তাদের অনুসরণ করেনি।
মিকদাম ইবনু মা’দীকারিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে।
عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِلشَّهِيدِ عِنْدَ اللَّهِ سِتُّ خِصَالٍ يُغْفَرُ لَهُ فِي أَوَّلِ دَفْعَةٍ وَيَرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الْجَنَّةِ وَيُجَارُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَيَأْمَنُ مِنَ الْفَزَعِ الأَكْبَرِ وَيُوضَعُ عَلَى رَأْسِهِ تَاجُ الْوَقَارِ الْيَاقُوتَةُ مِنْهَا خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا وَيُزَوَّجُ اثْنَتَيْنِ وَسَبْعِينَ زَوْجَةً مِنَ الْحُورِ الْعِينِ وَيُشَفَّعُ فِي سَبْعِينَ مِنْ أَقَارِبِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শহীদের জন্য আল্লাহ্ তা’আলার নিকট ছয়টি পুরস্কার বা সুযোগ আছে। তার প্রথম রক্তবিন্দু পড়ার সাথে সাথে তাকে ক্ষমা করা হয়, তাকে তার জান্নাতের বাসস্থান দেখানো হয়, কবরের আযাব হতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়, সে কঠিন ভীতি হতে নিরাপদ থাকবে, তার মাথায় মর্মর পাথর খচিত মর্যাদার টুপি পরিয়ে দেওয়া হবে। এর এক একটি পাথর দুনিয়া ও তার মধ্যকার সবকিছু হতে উত্তম। তার সাথে টানা টানা আয়তলোচনা বাহাত্তরজন জান্নাতী হুরকে বিয়ে দেওয়া হবে এবং তার সত্তরজন নিকটাত্মীয়ের জন্য তার সুপারিশ কুবুল করা হবে।(তিরমিযি-১৬৬৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
নবী রাসূল, শহীদগণ এবং জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবাগণ কে কিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসা করা হবে না।তাদের আ'মলকে মিজানের পাল্লায় মাফ দেয়া হবে না।বরং তাদেরকে আ'মলের পরিমাপণ ব্যতিতও জান্নাতে দিয়ে দেয়া হবে।
(২)
জাহান্নামিরা সিরাত পার হতে পারবে না।বরং তারা সিরাত পার হতে গিয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। সিরাত পার হওয়ার পর দুই দলে মানুষ থাকবে, জান্নাতি এবং আ'রাফ বাসী( জান্নাত ও নয় জাহান্নামও নয়, বরং মধ্যবর্তী স্থান, অমুসলিমদের নাবালক সন্তান এবং যাদের নেকি ও বদি সমান সমান, তারাই এখানে থাকবে)