ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কেউ যদি অন্য জনের কোনো কুফরি লেখা কপি করে, তৃতীয় ব্যক্তিকে পাঠায়। (কিন্তু এটা বলেনি যে লেখাটা আরেকজনের কপি থেকে পেস্ট করে দিয়েছে),তবে যাকে দিয়েছে সেই তৃতীয় ব্যক্তি বুঝেছে নিয়েছে যে, কথাটি প্রেরকের নিজের না। বরং অন্যের থেকে কপি করে নেয়া,কেবল তাকে দেখানোর জন্য কপি করে দিয়েছে। এই কপি পেস্ট করার ফলে সে ব্যক্তি কাফের হবে না।
২.কেউ যদি এরকম বলে মজা করে "নিজের দুধ খাওয়াতে হয় এইটাতে ভালোবাসা বাড়ে ...আর হাজবেন্ড খেতে না চাইলে জোর করে খাওয়াবা!" এটা কুফরী হবে না।তবে এটা অশ্লীল কথা। স্বামীর জন্য স্ত্রীর দুধ খাওয়া হারাম।
২. কোনো মানুষ কুফর হবার পদ্ধতি মাসআালা মাসায়েল এইগুলো জান না। সে যদি কোনো কুফরি করে,তাহলে তাকে কাফের বলা যায়।(যেমন, নিজেকে কাফের দাবী করলে কাফের হবে, বা অন্তরে বিশ্বাস রেখে কুফরী কথা বললেও কাফের হবে, ইত্যাদি)
এখানে উযর বিল জাহালত গ্রহণযোগ্য হবে না।
৩. মাসআলা /মাসায়েল জানার পর এমন মানুষের যদি আগের কোনো ঘটনা মনে পরে যে তা কুফরী ছিলো সেই ঘটনার জন্য তাকে ঈমান দোহড়াতে হবে। এবং বিয়েও দোহড়াতে হবে।
কোন কোন কথা ঈমান বিধ্বংসী, তা একজন আলেমের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।
৪. লোকেরা মজা করে বিভিন্ন কথা বলে, যেমন তোমার একটা প্রেম করা উচিত, বা তোমার উচিত ওকে পরীক্ষায় দেখানো, বা তোমার ওই বাকি টাকা মেরে দেওয়া দরকার। এই টাইপের কথা বলা গোনাহ,তবে সে কাফের হবে না।
৫.কেউ যদি মনে করে যে নিজের দুধ খাওয়া জায়েয, তাহলে এটা গোনাহের কাজ হলেও এজন্য সে কাফির হবে না।