বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ لِلّٰہِ یَسۡجُدُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ مِنۡ دَآبَّۃٍ وَّ الۡمَلٰٓئِکَۃُ وَ ہُمۡ لَا یَسۡتَکۡبِرُوۡنَ ﴿۴۹﴾
‘আসমান ও যমীনে যত প্রাণী আছে, সবই আল্লাহকে সিজদা করে এবং ফেরেশতাগণ। আর তারা অহংকার করে না’ (নাহল ৪৯)।
তিনি আরো ইরশাদ করেন,
تُسَبِّحُ لَہُ السَّمٰوٰتُ السَّبۡعُ وَ الۡاَرۡضُ وَ مَنۡ فِیۡہِنَّ ؕ وَ اِنۡ مِّنۡ شَیۡءٍ اِلَّا یُسَبِّحُ بِحَمۡدِہٖ وَ لٰکِنۡ لَّا تَفۡقَہُوۡنَ تَسۡبِیۡحَہُمۡ ؕ اِنَّہٗ کَانَ حَلِیۡمًا غَفُوۡرًا ﴿۴۴﴾
সাত আসমান ও যমীন এবং এ দু’য়ের মধ্যবর্তী সবকিছু তাঁরই পবিত্রতা ঘোষণা করে। আর এমন কিছু নেই যা তার প্রশংসাসহ মহিমা ঘোষণা করে না। কিন্তু তাদের পবিত্রতা বর্ণনা তোমরা বুঝতে পারো না। নিশ্চয়ই তিনি অতীব সহনশীল ও ক্ষমাপরায়ণ (সুরা ইসরা ৪৪)।
তিনি আরো বলেন,
وَ مِنۡ اٰیٰتِہٖ خَلۡقُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ مَا بَثَّ فِیۡہِمَا مِنۡ دَآبَّۃٍ ؕ وَ ہُوَ عَلٰی جَمۡعِہِمۡ اِذَا یَشَآءُ قَدِیۡرٌ ﴿۲۹﴾
তাঁর নিদর্শন সমূহের অন্যতম হ’ল নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের মধ্যে যে সকল জীবজন্তু তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন। আর তিনি যখনই ইচ্ছা এগুলিকে (ক্বিয়ামতের দিন) জমা করতে সক্ষম’ (সুরা শূরা ২৯)।
উক্ত আয়াতগুলো থেকে অনুমিত হয় যে, আসমানে ফেরেশতা ছাড়াও অন্য সৃষ্টি রয়েছে।
পৃথিবী ছাড়াও অন্যত্র জীবনের অস্তিত্ব থাকা অসম্ভব নয়।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এলিয়েনের অস্তিত্ব সম্পর্কে অনেকেই মত ও প্রমান পেশ করেছেন।
এটি যদি বাস্তবে সঠিক হয়,তাতে কোনো সমস্যা নেই।
কেননা পৃথিবী ছাড়াও অন্যত্র জীবনের অস্তিত্ব থাকা অসম্ভব নয়।
(০২)
এতে ঈমান চলে যাবেনা।
(০৩)
এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।
(০৪)
এতে কাফের হবেনা।
তবে এই ব্যাপারে হাদীসে কঠিন ধমক থাকার কারনে না জেনে কাহারো ব্যাপারে এমনটি বলা যাবেনা।
(০৫)
এই কথা বলার ফলে কেউ কাফের হয়ে যায়না।
(০৬)
এতে কেউ কাফের হবেনা।
(০৭)
এটি যদি হিন্দুদের সাদৃশ্য রাখে,এমন পোশাক হয়,যাহা সাধারণত মুসলিম গন পরিধান করেনা,তাহলে সাদৃশ্য হবেনা।
নতুবা গুনাহ হবে।
(০৮)
ক, জায়েজ নেই।
খ, ঈমান চলে যাবেনা।
(০৯)
হ্যাঁ অনুকরণ করা যাবে।
তবে কোনো কাজ সম্পর্কে ইসলামী স্কলারগন অনুকরণ করতে নিষেধ করলে সেগুলোর অনুকরণ করা যাবেনা।
(১০)
এভাবে সমাজ পরিবর্তন এর নিয়তে আলোচনা করা যাবে।
(১১)
এভাবে আলোচনা, প্রতিবাদ জায়েজ আছে।
(১২)
ক, আপনি বলবেন যে এটা আমি মুফতী সাহেব থেকে জেনেছি।
খ, যেটা সঠিক জানেন,সেটি সেভাবেই আমল করতে পারবেন।
বাকি বিষয় গুলোর জন্য আহকামে জিন্দেগী পড়ে আমল করতে পারেন।
অতিরিক্ত কোনো প্রশ্ন করবেননা,যাহা সেখানে (সেই গ্রন্থে) আছে,তাহা মেনে চলার চেষ্টা করবেন।
গ, মুসলমান বলতেই তো সকলেই জানে যে সর্ব প্রথম মানুষ আদম আঃ কে আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন,তার থেকে পরবর্তীতে এভাবে নারী পুরুষ এর মিলনের মাধ্যমে বীর্য থেকে আল্লাহ তায়ালা অন্যান্য মানুষদেরকে সৃষ্টি করেছেন।
সুতরাং এটি জানার পরেও কেউ বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করলে তার ঈমান চলে যাবে।
(১৩)
এতে সে কাফের হবেনা।
(১৪)
এতে ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবেনা।
(১৫)
এতে সে কাফের হয়ে যাবেনা।
(১৬)
এ ঘটনায় সে কাফের হয়ে যাবেনা।
(১৭)
এ কথায় শিরক হয়না।
(১৮)
এতে শিরক হবেনা।