বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: يُجْزِئُ عَنِ الْجَمَاعَةِ إِذَا مَرُّوا أَنْ يُسَلِّمَ أَحَدُهُمْ وَيُجْزِئُ عَنِ الْجُلُوسِ أَنْ يَرُدَّ أَحَدُهُمْ.
‘আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন একদল লোক যেতে থাকে এবং তাদের মধ্য থেকে কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে বা দলকে সালাম দেয়, তবে এ সালাম গোটা দলের পক্ষ হতে যথেষ্ট হবে। এমনিভাবে কোন মাজলিস হতে কোন এক ব্যক্তি যদি সালামের জবাব দেয়, তবে তার এ জবাবই গোটা মাজলিসের পক্ষ হতে যথেষ্ট।
(সহীহ : আবূ দাঊদ ৫২১০, ইরওয়া ৭৭৮, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ১১৪৮, ১৪১২; সহীহুল জামি‘ ৮০২৩, আবূ ইয়া‘লা ৪৪১, শু‘আবুল ঈমান ৮৯২২, ‘বায়হাক্বী’র কুবরা ১৮৪০৪।)
এই হাদীসের ব্যাখ্যায় আছেঃ-
সালাম দেয়া সুন্নাত ও মুস্তাহাব ওয়াজিব নয়। এটা সুন্নাতে কিফায়াহ্। সে কারণে একটা দলের তরফ থেকে একজন সালাম দিলে যথেষ্ট হবে। আর যদি প্রত্যেকেই সালাম দেয় তাহলে সেটা হবে সর্বোত্তম। তেমনিভাবে সালামের জবাব দেয়া সর্বসম্মতিক্রমে ফরযে কিফায়াহ্। তবে সবাই যদি সালামের জবাব দেয় তাহলে সেটা হবে সর্বাধিক উত্তম।
(عَنِ الْجُلُوسِ) এখানে উপবিষ্ট বলতে যাদেরকে সালাম দেয়া হয় তাদেরকে বুঝানো হয়েছে। তারা যে অবস্থায় থাক না কেন। এখানে অধিকাংশ অবস্থার দিকে লক্ষ্য করে جلوس শব্দের সাথে খাস করা হয়েছে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ একত্রিত হলে বসে থাকে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৫২০১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মজলিসের একজন জবাব দিলেই যথেষ্ট হবে।
সকলের জবাব দেয়া জরুরী নয়।
,
যদি সেই নির্দিষ্ট ব্যাক্তি জবাব দেয়,তাহলে আর কাহারো জন্য জবাব দেয়া জরুরী নয়।
যদি সেই নির্দিষ্ট ব্যাক্তির আগেই অন্য কেহ সালামের জবাব দেয়,তাহলে ঐ নির্দিষ্ট ব্যাক্তির জন্যে জবাব দেয়া জরুরী হবেনা।
একজনের জবাবই সকলের জন্য যথেষ্ট হবে।
তবে সকলেই জবাব দিলে সকলেই সালামের জবাব প্রদানের ছওয়াব হবে।
তাই এটিই উত্তম হবে।
(০২)
এক্ষেত্রে শরীয়তের সমস্ত শর্ত মানতে হবে।
নতুবা ইনকাম হারাম হবে।
(০৩)
হ্যাঁ, গুনাহ হবে।
(০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عائشة رضي الله عنها قالت : " كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يأمرني أن أسترقي من العين "
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে চোখলাগা হতে (মুক্ত হওয়ার জন্য) ঝাড়ফুঁক করার আদেশ করতেন।(সহীহ মুসলিম-২১৯৫)
عن ابن عباس رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : " العين حق ولو كان شيء سابق القدر لسبقته العين ، وإذا استغسلتم فاغسلوا "
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ভাগ্যকে কোন জিনিস অতিক্রম করতে সমর্থ হলে কু-দৃষ্টিই তা অতিক্রম করতে পারত। যদি এ প্রসঙ্গে কেউ তোমাদেরকে গোসল করাতে চায় তাহলে তোমরা তাতে সম্মত হও।(মুসলিম-২১৮৮)
নিম্নোক্ত দোয়া পড়ে শিশুর শরীরে ফুক দিতে পারেনঃ-
‘বিসমিল্লাহি আরকিকা, মিন কুল্লি শাইয়িন ইয়ু’যিকা, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন ও ওয়া হাসিদিন আল্লাহু ইয়াশফিকা।’
দোয়াটির অর্থ হলো, আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি ওই সব বস্তু থেকে, যা আপনাকে কষ্ট দেয়। আর হিংসুক ও কুদৃষ্টিকারীর কুদৃষ্টি থেকে আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দান করুন। (মুসনাদে আহমদ ও তাফসিরে মুনির)
আরো জানুনঃ-
★শিশুর কপালে কালো টিপ দেয়া জায়েজ হবেনা।
এগুলো কুঃসংস্কার।
(০৫)
বিষয়টি ব্যাখ্যা সাপেক্ষ।
বিস্তারিত জানুনঃ-