আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)
edited by
১. কেউ একজনকে উদ্দেশ্য করে সালাম দিল, কিন্তু ঐখানে আরো অনেকে উপস্থিত ছিল, তাহলে কি তাদেরও সালামের জবাব দিতে হবে যদিও সালাম যে দিয়েছে সে ঐখানে উপস্থিত নির্দিষ্ট একজনকে সালাম দেয়া উদ্দেশ্য ছিল?

২. নন মাহরাম বালেগ কোন মেয়েকে যদি কোন ছেলে পড়ায় সেক্ষেত্রে ইনকাম হালাল হবে?

৩. কোন কারণে জামাতে যাওয়ার জন্য দেরি হয়ে গেল যে নামাজ শুরু হওয়ার প্রায় ৭/৮ মিনিট পরে মসজিদে পৌঁছাব, জামাতে গেলে সর্বোচ্চ এক রাকাত পাবো, এজন্য কেউ যদি আর জামাতে না অংশ নিয়ে ঘরেই নামাজ পড়ে ফেলে যে মাত্র এক রাকাত পাবো, এরজন্য আর মসজিদ না যেয়ে ঘরেই পড়ি। এতে কি গুনাহ হবে?

৪. শিশুদের বদনজর থেকে রক্ষার জন্য কুরআন সুন্নাহ থেকে কি আমল করতে নির্দেশ দিয়েছে?
এক্ষেত্রে কালো টিপ দেয়া কি শিরক হবে?

৫. ফরজ নামাজের শেষ বৈঠকে দোয়া মাসুরার পর কুরআন - সুন্নাহ থেকে বিভিন্ন দোয়া পড়া যাবে?

সালাতে সিজদাতে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়া যাবে?

৬. কোন ব্যবসার মূলধন যদি সম্পূর্ণ হারাম টাকা হয়, তাহলে যত লাভ হবে ওই ব্যবসায় সব কি হারাম হবে?

1 Answer

0 votes
by (569,520 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: يُجْزِئُ عَنِ الْجَمَاعَةِ إِذَا مَرُّوا أَنْ يُسَلِّمَ أَحَدُهُمْ وَيُجْزِئُ عَنِ الْجُلُوسِ أَنْ يَرُدَّ أَحَدُهُمْ.

‘আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন একদল লোক যেতে থাকে এবং তাদের মধ্য থেকে কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে বা দলকে সালাম দেয়, তবে এ সালাম গোটা দলের পক্ষ হতে যথেষ্ট হবে। এমনিভাবে কোন মাজলিস হতে কোন এক ব্যক্তি যদি সালামের জবাব দেয়, তবে তার এ জবাবই গোটা মাজলিসের পক্ষ হতে যথেষ্ট।

(সহীহ : আবূ দাঊদ ৫২১০, ইরওয়া ৭৭৮, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ১১৪৮, ১৪১২; সহীহুল জামি‘ ৮০২৩, আবূ ইয়া‘লা ৪৪১, শু‘আবুল ঈমান ৮৯২২, ‘বায়হাক্বী’র কুবরা ১৮৪০৪।)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় আছেঃ-
সালাম দেয়া সুন্নাত ও মুস্তাহাব ওয়াজিব নয়। এটা সুন্নাতে কিফায়াহ্। সে কারণে একটা দলের তরফ থেকে একজন সালাম দিলে যথেষ্ট হবে। আর যদি প্রত্যেকেই সালাম দেয় তাহলে সেটা হবে সর্বোত্তম। তেমনিভাবে সালামের জবাব দেয়া সর্বসম্মতিক্রমে ফরযে কিফায়াহ্। তবে সবাই যদি সালামের জবাব দেয় তাহলে সেটা হবে সর্বাধিক উত্তম।

(عَنِ الْجُلُوسِ) এখানে উপবিষ্ট বলতে যাদেরকে সালাম দেয়া হয় তাদেরকে বুঝানো হয়েছে। তারা যে অবস্থায় থাক না কেন। এখানে অধিকাংশ অবস্থার দিকে লক্ষ্য করে جلوس শব্দের সাথে খাস করা হয়েছে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ একত্রিত হলে বসে থাকে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৫২০১)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মজলিসের একজন জবাব দিলেই যথেষ্ট হবে।
সকলের জবাব দেয়া জরুরী নয়।
,
যদি সেই নির্দিষ্ট ব্যাক্তি জবাব দেয়,তাহলে আর কাহারো জন্য জবাব দেয়া জরুরী নয়।

যদি সেই নির্দিষ্ট ব্যাক্তির আগেই অন্য কেহ সালামের জবাব দেয়,তাহলে ঐ নির্দিষ্ট ব্যাক্তির জন্যে জবাব দেয়া জরুরী হবেনা।

একজনের জবাবই সকলের জন্য যথেষ্ট হবে।
তবে সকলেই জবাব দিলে সকলেই সালামের জবাব প্রদানের ছওয়াব হবে।
তাই এটিই উত্তম হবে।

(০২)
এক্ষেত্রে শরীয়তের সমস্ত শর্ত মানতে হবে।
নতুবা ইনকাম হারাম হবে।

(০৩)
হ্যাঁ, গুনাহ হবে।

(০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,

عن عائشة رضي الله عنها قالت : " كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يأمرني أن أسترقي من العين "

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে চোখলাগা হতে (মুক্ত হওয়ার জন্য) ঝাড়ফুঁক করার আদেশ করতেন।(সহীহ মুসলিম-২১৯৫)

عن ابن عباس رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : " العين حق ولو كان شيء سابق القدر لسبقته العين ، وإذا استغسلتم فاغسلوا "

ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ভাগ্যকে কোন জিনিস অতিক্রম করতে সমর্থ হলে কু-দৃষ্টিই তা অতিক্রম করতে পারত। যদি এ প্রসঙ্গে কেউ তোমাদেরকে গোসল করাতে চায় তাহলে তোমরা তাতে সম্মত হও।(মুসলিম-২১৮৮)

নিম্নোক্ত দোয়া পড়ে শিশুর শরীরে ফুক দিতে পারেনঃ-
‘বিসমিল্লাহি আরকিকা, মিন কুল্লি শাইয়িন ইয়ু’যিকা, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন ও ওয়া হাসিদিন আল্লাহু ইয়াশফিকা।’ 

দোয়াটির অর্থ হলো, আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি ওই সব বস্তু থেকে, যা আপনাকে কষ্ট দেয়। আর হিংসুক ও কুদৃষ্টিকারীর কুদৃষ্টি থেকে আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দান করুন। (মুসনাদে আহমদ ও তাফসিরে মুনির)

আরো জানুনঃ- 

★শিশুর কপালে কালো টিপ দেয়া জায়েজ হবেনা।
এগুলো কুঃসংস্কার।

(০৫)
বিষয়টি ব্যাখ্যা সাপেক্ষ।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...