আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
248 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম,

আমাদের কলেজের একটি মসজিদ আছে। কলেজ থেকে ইমাম সাহেবের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৪০০০ টাকা। এই সামান্য বেতনের কারনে দীর্ঘদিন কোন ভালো ইমাম সাহেব নেওয়া যাচ্ছিলো না। ফলে মসজিদে ঠিকমতো নামাজই হতোনা। তবে এখন কয়েকজন ভাই ফিকির করে একজন দ্বীন দরদী মুফতি সাহেবকে নিয়ে আসছেন। সমস্যা হলো মুফতি সাহেব ফতোয়া দিয়েছেন যে, মসজিদের বাইরে(রাস্তার পাশে) যে দান বাক্স থাকে সেখান থেকে ইমাম সাহেবের হাদিয়া দেওয়া যাবে না। সেখানে মানুষ নাকি মসজিদের নিয়ত করে দান করে। তাই সেই টাকা ইমাম সাহেবের হাদিয়া হিসেবে দেওয়া যাবে না। এমতাবস্থায় ইমাম সাহেবের বেতন দেওয়াটা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেহেতু মসজিদটাতে কোন মহল্লা নেই। প্রশ্ন হলো দান বাক্সের টাকা থেকে সত্যিই কি ইমাম সাহেবের বেতন দেওয়া যায় না?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


ইমাম ও ইমামতি ইসলাম ধর্মের এবং মুসলিম সমাজের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং বহুল প্রয়োজনীয় বিষয়। কেননা পাঁচ ওয়াক্ত নামায সম্পাদন করা ইসলামের দ্বিতীয় রোকন এবং ইসলামের স্পষ্ট প্রতীক যা মহান আল্লাহ জামাআতবদ্ধভাবে আদায় করার আদেশ করেছেন। 

আর সেই আদেশ ইমাম ব্যতীত বাস্তবায়িত হয় না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমাম ও মুয়াযযিনের ব্যাপারে বলেছেন,
ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺿﺎﻣﻦ ﻭﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﻣﺆﺗﻤﻦ، ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺃﺭﺷﺪ ﺍﻷﺋﻤﺔ ﻭﺍﻏﻔﺮ ﻟﻠﻤﺆﺫﻧﻴﻦ
‘ইমাম হচ্ছে দায়িত্বশীল আর মুয়াজ্জিন আমানতদার, হে আল্লাহ! ইমামদের সঠিক পথ দেখান এবং মুয়াজ্জিনদেরকে ক্ষমা করুন’। (তিরিমিযী ২০৭)

প্রকাশ থাকে যে, ইমামতির জন্য সৌজন্য সহকারে ইমামকে বেতন, ভাতা বা বিনিময় দেওয়া মুক্তাদীদের কর্তব্য। 

মসজিদের দানবক্সে মুসল্লীরা যে টাকা দিয়ে থাকে তা সাধারণত মসজিদের কল্যাণকর কাজে ব্যয় করার জন্যই দিয়ে থাকে। কাজেই সে টাকা মসজিদ সংশ্লিষ্ট যেকোনো কল্যাণকর ও প্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করা যাবে।
ইমাম সাহেব ও মুয়াজ্জিন সাহেবের বেতনও যেহেতু মসজিদের প্রয়োজনসমূহের অন্তর্ভুক্ত, তাই দানবাক্সের টাকা দিয়ে ইমাম সাহেব ও মুয়াজ্জিন সাহেবের বেতন দেওয়া যাবে।

ويبدأ من غلته بعمارته ثم ما هو أقرب لعمارته كإمام ومدرس مدرسة يعطون بقدر كفايتهم (الدر المختار مع الشامى، كتاب الوقف، مطلق يبدأ من غلة الوقف بعمارته-6/599، هندية-2/368، البحر الرائق-5/356
সারমর্মঃ
মসজিদের ফসল দিয়ে মসজিদ নির্মানের কাজ করা যাবে,অতঃপর প্রয়োজন মাফিক ইমাম,শিক্ষকের বেতন দেয়া যাবে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যেহেতু দান বক্সে মুসল্লীগণ দান করে থাকেন মসজিদের প্রয়োজনে সেই টাকা ব্যয় করার জন্য। আর ইমাম মুয়াজ্জিনের বেতন সেই জরুরুতের অন্তর্ভূক্ত। তাই মসজিদের দানবাক্সের টাকা দিয়ে ইমাম মুয়াজ্জিনের বেতন দেয়া জায়েজ আছে।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দান বাক্সের টাকা থেকে ইমাম সাহেবের বেতন দেওয়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 238 views
...