বিবাহবার্ষিকী পালন করা, এটা আমাদের ইসলামী কোনো সংস্কৃতি নয়। এটা এসেছে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর থেকে। এটা আমরা গ্রহণ করতে পারি না।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন-
“তোমরা (মুসলমানগণ) কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ-অনুকরণ করো না।” ( সূরা আহযাব : পবিত্র আয়াত ৪৮)
আমাদের কাছে প্রতিটি দিনই খুশির দিন। যাঁরা স্বামী-স্ত্রী আছেন, তাঁদের প্রতিটি দিনই হবে খুশির দিন
প্রতিদিনই স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে,স্ত্রী তার স্বামীকে নিয়ে খুশি, প্রতিদিনই আমাদের জন্য খুশির দিন। আমরা এ জাতীয় কোনো সংস্কৃতি গ্রহণ করতে পারি না।
,
আমাদের স্ত্রীরা সব সময় স্বামীর জন্য খুশির কারণ, স্বামীরা সব সময় স্ত্রীদের জন্য খুশির কারণ। এটা কোনো সুনির্দিষ্ট দিনে নয়। এ জন্য বিয়ের দিন, এ জাতীয় জিনিসগুলো পালন করা ইসলাম অনুমোদন করে না।
,
বিবাহবার্ষিকী পালন একটি বিজাতীয় সংস্কৃতি। আর ইসলামি শরিয়তে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عن ابن عمر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من تشبه بقوم فهو منهم
‘যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪০৩১]
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে বা এনিভার্সি উপলক্ষে স্বামী স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হতে বা উপহার দিতে পারবেনা।
এটি নাজায়েজ হবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত লুডু খেলায় জুয়া না থাকলে এবং এক ইবাদত করার পর আরেক ইবাদত করার জন্য নিজ মন ও শরীরকে তৈরী করার স্বার্থে যদি লুডু খেলা হয় তাহলে স্ত্রীর সাথে এভাবে লুডু খেলার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে ।
তবে ছবি দেখা যাবেনা, ফোনে /কম্পিউটারে হলে বাদ্য-বাজনা অফ রাখতে হবে,নতুবা এহেন ছুরতেও জায়েজ হবেনা।