হাদীস শরীফে এসেছেঃ
، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ مِنْ أَحَبِّكُمْ إِلَىَّ وَأَقْرَبِكُمْ مِنِّي مَجْلِسًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَحَاسِنَكُمْ أَخْلاَقًا
জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমাদের মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় ও কিয়ামাতের দিন আমার সবচেয়ে কাছে আসন হবে তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সবচেয়ে উত্তম চরিত্রের অধিকারী"
(তিরমিজি ২০১৮)
عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ كُنَّا جُلُوسًا مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو يُحَدِّثُنَا إِذْ قَالَ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاحِشًا وَلاَ مُتَفَحِّشًا، وَإِنَّهُ كَانَ يَقُولُ " إِنَّ خِيَارَكُمْ أَحَاسِنُكُمْ أَخْلاَقًا ".
মাসরূক (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার আমরা ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। তিনি আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করছিলেন। তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বভাবগতভাবে অশালীন ছিলেন না এবং তিনি ইচ্ছা করে কাউকে অশালীন কথা বলতেন না। তিনি বলতেনঃ তোমাদের মধ্যে যার স্বভাব-চরিত্র উত্তম, সেই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম। [বুখারী ৬০৩৫.৩৫৫৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯৬)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত হবেন।
তাদের উদ্যোগে বাসায় বাসায় যে তালিম হয়,আপনার আশেপাশে হলে সেখানে মাঝে মাঝে তালিমে যাবেন।
,
নিম্নবর্ণিত মাধ্যমগুলো অবলম্বন করলে উত্তম আখলাক নিজের মধ্যে আসবে,ইনশাআল্লাহ।
,
সচ্চরিত্রের মর্যাদা জানা এবং দুনিয়া ও আখেরাতে এর উত্তম প্রতিদান সম্পর্কে অবহিত হওয়া।
অসদাচরণের মন্দ দিকগুলো জানা এবং এর শাস্তি ও কুফল সম্পর্কে অবহিত হওয়া।
সলফে সালেহীন ও নেককারদের জীবনী ও ঘটনা পড়া।
রাগ থেকে দূরে থাকা, ধৈর্য অর্জন করা, তাড়াহুড়ার বদলে নিজেকে ধীরস্থিরতায় অভ্যস্ত করে তোলা।
সচ্চরিত্রবান লোকদের সাথে উঠাবসা করা এবং কু-চরিত্রের অধিকারী লোকদেরকে এড়িয়ে চলা।
সচ্চরিত্র অর্জনে আত্ম-অনুশীলন করা, এটাকে অভ্যাসে পরিণত করা।
,
সর্বশেষ আল্লাহ্ তাআলার কাছে সচ্চরিত্র চেয়ে ও সাহায্য চেয়ে দোয়া করার মাধ্যম গ্রহণ করা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ حسَّنَت خَلقي فأحسِنْ خُلقي»
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি দোয়া ছিল: “হে আল্লাহ্ আপনি আমার অবয়বকে সুন্দর করেছেন; সুতরাং আমার চরিত্রকেও সুন্দর করুন।”
(মুসনাদে আহমাদ ৩৮২৩,২৪৩৯২. সহীহ আত্ তারগীব ২৬৫৭, ইরওয়া ৭৪, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৫১৮১, শু‘আবুল ঈমান ৮৫৪২।)