বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ صُبَيْحٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ مَسْرُوقٍ فِي بَيْتٍ فِيهِ تَمَاثِيلُ مَرْيَمَ . فَقَالَ مَسْرُوقٌ هَذَا تَمَاثِيلُ كِسْرَى . فَقُلْتُ لاَ هَذَا تَمَاثِيلُ مَرْيَمَ . فَقَالَ مَسْرُوقٌ أَمَا إِنِّي سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَشَدُّ النَّاسِ عَذَابًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْمُصَوِّرُونَ " . قَالَ مُسْلِمٌ قَرَأْتُ عَلَى نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيِّ عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ إِنِّي رَجُلٌ أُصَوِّرُ هَذِهِ الصُّوَرَ فَأَفْتِنِي فِيهَا . فَقَالَ لَهُ ادْنُ مِنِّي . فَدَنَا مِنْهُ ثُمَّ قَالَ ادْنُ مِنِّي . فَدَنَا حَتَّى وَضَعَ يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ قَالَ أُنَبِّئُكَ بِمَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ يَجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسًا فَتُعَذِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ " . وَقَالَ إِنْ كُنْتَ لاَ بُدَّ فَاعِلاً فَاصْنَعِ الشَّجَرَ وَمَا لاَ نَفْسَ لَهُ .
নাসর ইবনু আলী আল জাহযামী (রহঃ) ... মুসলিম ইবনু সুবায়হ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মাসরুক (রহঃ) এর সাথে একটি ঘরে ছিলাম। সেখানে মারইয়াম (আলাইহিস সালাম) এর প্রতিকৃত ছিল। মাসরুক (রহঃ) বললেন, এটি (পারস্য সম্রাট) কিসরার প্রতিকৃতি। আমি বললাম, না, এটি মারইয়াম (আলাইহিস সালাম) এর প্রতিকৃতি। তখন মাসরুক (রহঃ) বললেন, শুন! আমি আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন কঠিনতর আযাব ভোগকারী হবে ছবি অঙ্কনকারীরা।
[ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেন] আমি নাসর ইবনু আলী আন-জাহযামী (রহঃ) কে (এ হাদীসের পাঠ) পড়ে শুনিয়েছি। সাঈদ ইবনু আবূল হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর কাছে এসে বলল, আমি এসব ছবি একে থাকি; তাই এ বিযয় আপনি আমাকে ফাতওয়া দিন। তিনি বললেন, তুমি আমার নিকটে এস। সে তার কাছে এলে তিনি বললেন আরো কাছে এস। সে আরো কাছে এলে তিনি তার মাথায় হাত রেখে বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যা শুনেছি, তা তোমাকে বলে দিচ্ছি।
আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি প্রত্যেক ছবি অঙ্কনকারী জাহান্নামের অধিকারী। তার অংকিত প্রতিটি ছবিতে প্রাণ দেয়া হবে, তখন সেগুলি জাহান্নামে তাকে আযাব দিতে থাকবে। তিনি আরও বললেন, তোমাকে একান্তই যদি (তা) করতে হয়, তা হলে গাছ (পালা) এবং যার প্রাণ নেই, সে সবের (ছবি) তৈরি কর।
(মুসলিম শরীফ ৫৩৫৯.৫৪৩৩.ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৩৫৯, ইসলামিক সেন্টার ৫৩৭৭)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে কাহারো যদি ছবি আঁকিয়ে উপার্জন করতে হয় তাহলে সে গাছের ছবি আঁকবে বা এমন ছবি আঁকবে যাতে কোনো প্রাণীর ছবি নেই।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ইনকাম হালাল।
সমস্যা নেই।
আরো জানুনঃ-
(০২)
হ্যাঁ আপনার ইনকাম হালাল হবে।
তবে এভাবে আগের মূল্য মুছে ফেলা ঠিক হবেনা।
এমনিতেই ক্রেতাদের জানাতে হবে যে বাজার মূল্য বেড়ে গিয়েছে।
প্যাকেটের গায়ে যেটা লেখা আছে,সেটা আগের মূল্য।
(ক্রেতা এই বিষয়টি জানতে চাইলে তাকে বিষয়টি জানিয়ে বিক্রয় করতে হবে।)
(০৩)
হ্যাঁ উক্ত ফ্রিজ নেয়া জায়েজ হবে।
(০৪)
হালাল যেকোনো পন্য আপনি বিক্রয় করতে পারবেন।
প্রশ্নে উল্লেখিত ড্রিংকস এ হারাম মিশ্রণ আছে বলে কেউ দাবী করেনি,তাই এসব ড্রিংকস বিক্রয় করা যাবে।
,
(০৫)
ব্যবসা করার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে মহিলা কাস্টমারদের দিকে তাকানো জায়েজ হবেনা।
অনিচ্ছায় নজর চলে গেলে সাথে সাথে নজর ফিরিয়ে নিতে হবে।
চক্ষু নত রেখে তাদের সাথে কথা বলা জায়েজ হবে।
তবে অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত কথা বলা জায়েজ হবেনা।
নাজায়েজ কোনো কথা বলাও জায়েজ হবেনা।