বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
অটোম্যান মুসলিম সাম্রাজ্য সম্পর্কে নিশ্চয় অবগত আছেন।
সেই বিশাল সাম্রাজ্যর কেন্দ্রবিন্দু তুর্কি ছিল।যেই সাম্রাজ্যর কাছে ইউরোপ-আফ্রিকা সহ সারা বিশ্ব মাথা নত করে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিলো।ইতিহাস তার সাক্ষী। পরবর্তীতে ব্রিটিশ কুটচালে অটোম্যান সাম্রাজ্য বিলুপ্তির ধারপ্রান্তে পৌছে।সেই সাম্রাজ্য কে খন্ড-বিখন্ড করার একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিলো ইসলাম এবং মুসলমানকে পরাভূত করা।
তুর্কি, সিরিয়া, ইরান, এবং ইরাক জুড়ে কুর্দি নামক জাতির বসবাস।যারা অনেকদিন যাবৎ কুর্দিস্তান নামক র্রাষ্ট কায়েম করার জন্য আন্দোলন করে আসছে।যার ইন্দনে রয়ে আমেরিকার সি,আই, ইসরাঈলের মোসাদ সহ বেশ কিছু অমুসলিম র্রাষ্টের গোয়েন্দা সংস্থা।এই আন্দোলন করানোর মূল উদ্যশ্যই হল অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে উদিয়মান একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র তুর্কিকে দুর্বল করা।মোটকথা মধ্যপ্রাচ্যর রাজনীতি কে অস্থিতিশীল করা।
কুর্দিরা অস্ত্র পেল কোথায়?
আই এস অস্ত্র পেল কোথায়?
সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গেলে আই এস, মোসাদের নামকে এড়ানো যাবে না।
যাইহোক কুর্দিদের অধিকাংশই সুন্নি মুসলিম।যাদেরকে বর্তমান তুর্কি , সিরিয়া, ইরান ইত্যাদি রাস্টের বিরোধী হিসেবে ধার করানো হয়েছে।ঐ সমস্ত রাষ্টকে দুর্বল করার নিমিত্তে।
সারা বিশ্বের সকল ইসলামি রাষ্ট এক খলিফার অধিনে থাকুক সেটাই ইসলাম কামনা করে।পৃথক পৃথক ইসলামি রাষ্ট্র হোক,অতঃপর এই সমস্ত অস্থিত্বহীন পৃথক পৃথক রাষ্টকে নিয়ে বিধর্মী রা হোলি খেলায় মেতে উঠুক সেটা কখনো ইসলাম চায় না।
তবে হ্যা,নিজ দেশের নাগরিকদের উপর যুলুম-অত্যাচারের ষ্টীমরোলার চালানো হোক সেটাকেও ইসলাম সমর্থন দেয় না।
আল্লাহ মুসলমানদের কে আবার এক খলিফার অধীনে নিয়ে আসুক।সকল মুসলমান নিরাপদে থাকুক।সেটাই আপাদত আমাদের কামনা করা উচিৎ।
২, আপনি যখন ক্লাসে ঢুকবেন,তখন যদি তারা ক্লাসের পড়ায় মনোযোগী থাকে অথবা শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন এমন অবস্থায় ক্লাসে আপনি ঢকেন তাহলে উচ্ছস্বরে সালাম দেয়ার প্রয়োজন নেই।
وَلَا يُسَلِّمُ عَلَى قَوْمٍ هُمْ فِي مُذَاكَرَةِ الْعِلْمِ
হিন্দিয়া 5/326
নতুবা উচ্ছস্বরে সবাইকে সালাম দেয়াই সুন্নাহ।
তাদের মধ্য থেকে যে কেউ একজন সালামের জবাব দিয়ে দিলে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।
লোকসমাগম যদি এত অধিক হয় যে উচ্ছস্বরে সালাম দিলেও সবার নিকট সালাম পৌছবে না,তাহলে এমতিবস্থায় স্বাভাবিক উচ্ছস্বরে সালাম দিলেই হবে।সুন্নাহ আদায় হয়ে যাবে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাহ পালন করতে কে কি বলল, কে কি ভাবছে সেটার পরোয়া না করাই একজন খাঠি মুসলমানের কাজ।
৩,
জ্বী, দেয়াটাই সুন্নাহ।
তবে না দিলে যে গোনাহ হবে বিষয়টা এমন নয়।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﺇِﺫَﺍ ﻟَﻘِﻲَ ﺃﺣَﺪُﻛُﻢْ ﺃﺧﺎﻩُ ﻓَﻠْﻴُﺴَﻠِّﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻪِ، ﻓﺈﻥْ ﺣﺎﻟَﺖْ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻤﺎ ﺷَﺠَﺮَﺓ ﺃﻭْ ﺟِﺪَﺍﺭٌ ﺃﻭْ ﺣَﺠَﺮٌ ﺛُﻢَّ ﻟَﻘِﻴَﻪُ ﻓَﻠْﻴُﺴَﻠِّﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ) ،
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যখন দু'জন মুসলমান ভাই পরস্পর সাক্ষাৎ ঘটবে,তখন যেন একজন অপরজনকে সালাম প্রদান করে।তারপর তাদের মধ্যকার কোনো গাছ বা দেয়াল অথবা পাথর দ্বারা আড়াল ঘটার পর আবার যদি তাদের মধ্যকার সাক্ষাৎ ঘটে, তবে যেন আবার একে অপরকে সালাম করে।সুনানে আবু-দাউদ-৫২০০
জেনে রাখা ভাল,সালাম করা সুন্নাতে কেফায়া।
এবং উক্ত হাদিস হঠাৎ সাক্ষাৎ ঘটার বেলায় প্রযোজ্য ।যদি কারো বারবার সাক্ষাৎ ঘটে এবং নিয়মিতই ঘটে থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় সালাম প্রধানের হুকুম প্রযোজ্য হবে না।
আহসানুল ফাতাওয়া-৮/১৩৪
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ