আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (39 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর
আজকে আমি একটা অন্যয় করে ফেলেছি । রাতের বেলায়, ঘুমানোর আগে বিবি আমার ছেলেকে নানা প্রশ্ন করে থাকে। আমার ছেলে মাদরাসায় পরে। একের পর এক প্রশ্ন করায় আমি বিরক্ত হয়েছিলাম। অনেক রাত হয়েছে এজন্য। হটাত আমার বিবি আমার ছেলেকে বলে মাদরাসায় তুমি কম্বল গায় দেও না। আমার ছেলে বলে না।   কথা প্রসঙ্গে  আমার বিবি আমার ছেলেকে বলে তোমার হুজুররা কি গায় দেয় ? আমি এগুলো শুনে বিরক্ত হয়ে বলি - আমার যতদূর মনে পরে এই  বাক্য বলি - "হুজুররা আবার কি গায় দেয়। বাল দেয়।"
আমি অনুতপ্ত , আমি লজ্জিত। আমি আল্লাহর কাছে মাফ চাই।
এতে কি আমার ঈমানে সমস্যা হয়েছে? আমি জানতাম আলেমরে গালি দেয়া কুফরি কাজ।

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


মুমিন অশ্লীল কথাও বলে না, গালিও দেয় না। এ স্বভাব মুমিনের সাথে যায় না। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-

لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ، وَلَا اللَّعَّانِ، وَلَا بِالْفَاحِشِ، وَلَا بِالْبَذِيءِ.

মুমিন (অন্যের) দোষ চর্চাকারী হয় না, লানতকারী, অশ্লীল ও গালিগালাজকারী হয় না (বাজে কথা বলে না)। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯৭৭

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-

أَرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ كَانَ مُنَافِقًا خَالِصًا، وَمَنْ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْهُنَّ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنَ النِّفَاقِ حَتَّى يَدَعَهَا: إِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ، وَإِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ، وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ.

চারটি (মন্দ) স্বভাব আছে, এগুলো যার মাঝে থাকবে সে খালেছ মুনাফিক বলে গণ্য হবে। আর যার মাঝে এই চার স্বভাবের কোনো একটি থাকল, তার মাঝে মুনাফেকির একটি স্বভাব থাকল; যতক্ষণ না সে তা বর্জন করে। 
১. আমানত রাখলে খেয়ানত করে। 
২. কথা বলে তো মিথ্যা বলে। 
৩. প্রতুশ্রুতি দিলে ভঙ্গ করে।
 ৪. তর্কের সময় গালাগালি করে। 
(সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৪)

কাউকে গালি দেয়াই জায়েজ নেই।
আলেমকে গালি দেয়া আরো মারাত্মক গুনাহ।

যদি আলেমকে আলেম হওয়ার কারণে গালি দেয় তাহলে একদল ফুকাহায়ে কেরামের বক্তব্য হল, এ কারণে উক্ত ব্যক্তির ঈমান চলে যাবে। তাকে নতুন করে আবার ঈমান আনতে হবে।

সর্বোপরি একজন মুসলমানের জন্য আবশ্যক হল, অন্য কোনো মুসলমানকে গালি দেওয়া থেকে বিরত থাকা।

ফাতওয়া হিন্দিয়া ২/২৭০; মাজমাউল আনহুর ২/৫০৯

কিন্তু ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে কেউ যদি কোনো আলেমকে গালি দেয় তাহলে এ কারণে তার ঈমানের কোনো ক্ষতি হবে না। তবে গালি দেওয়া হারাম হওয়ার কারণে তাকে তওবা করতে হবে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।
এখানে আলেমকে গালি দেয়া হয়নি।

তবে মুমিনের এটি শান নয় যে সে গালি গালাজ করবে,তাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। 

আপনি যেহেতু আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন,সুতরাং আর কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 148 views
0 votes
1 answer 34 views
0 votes
1 answer 72 views
0 votes
1 answer 150 views
...