আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (27 points)
reshown by
খুবই জরুরি কিছু কারণে উস্তাদ মুফতি ইমদাদুল হকের কাছ  থেকে উত্তর গুলো জানতে চাচ্ছি ( প্রধান কারণ এমনই একটি লেখা উনার ফতোয়াতে দেখেছিলাম, যেটা নিয়ে আমার খুবই কনফিউশান আছে)

আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ,

আমাদের বিয়ের সময় আমি,আমার স্বামী কেউ ১৮নং এর ব্যাপারে জানতাম না,আমাদের কারোর কাছে  অনুমতি না নিয়ে, আমাদের না জানিয়ে এই ঘরে টিক দেওয়া হয়েছে।
আমরা ২জনই বিয়ের অনেক পরে কাবিননামা পড়ে এইটা জানি যে ১৮ নং এ টিক দেওয়া, অথচ আমরা কেউ কিছু জানতাম না এতোদিন।

আমি গতোমাসে নিজের উপর এক তালাক নিয়েছিলাম,আর হুজুরদের থেকে জেনেছি আমার এক তালাক হয়েও গেছে।

যেরাতে এক তালাক নিয়েছি নিজের উপর, শুধু  ঐ রাতেই আমরা আলাদা বিছানায় ছিলাম।
এর পরদিন থেকেই আমার স্বামী খুব জোর করতে থাকে যে আমার সাথে থাকতে চায় সে।

আমি ঠিকভাবে ইদ্দত ও পালন করতে পারিনি।কারণ নিজের উপর এক তালাক নেওয়ার পরের দিনই ও আমার সাথে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে,
আমার সাথে থাকতে চায়।

নিজের উপর আমি এক তালাক নেয়ার প্রায় ২০-২৫ দিন পর আমার যখন পিরিয়ড শুরু হয়,
এই তালাক নেয়া থেকে পিরিয়ড শুরুর আগের সময়ে আমার নিজেেে রর  ইচ্ছায়, অনিচ্ছায় অনেক বার আমি আমার স্বামীর সাথে তার ওয়াইফের মতো থেকেছি,

এখন আমার প্রশ্ন হলো-

১.আমাকে কি আবার ইদ্দত পালন করতে হবে,যেহেতু আগেরবার তালাক নেওয়ার পরদিনই আমার স্বামী জোর করে  শারীরিক সম্পর্ক করেছে , ইদ্দত পালন করতে পারিনি আমি?

২.আমাকে আর আমার স্বামীকে কি এখন আবার বিয়ে করতে হবে একসাথে থাকতে হলে?

৩.আমরা কেউই চাই না আর এই ১৮নং অর্থাত নিজের উপর তালাক নেয়ার অধিকার আর আমার থাকুক,
কিছুতেই চাই না,
আগের বার ও আমাদের না জানিয়ে এইটাতে টিক দেওয়া হয়েছে।
এখন এইটা পরিবর্তন করবো কিভাবে?

1 Answer

0 votes
by (711,200 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(আপনার প্রশ্নের উত্তর,মনযোগ সহকারে পড়বেন)
যেহেতু স্বামী তালাকের অধিকার দেয়নি, শুধুমাত্র স্বাক্ষরের কারণে স্ত্রী দিয়ানাতান তথা আল্লাহর আদালতে স্ত্রী তালাকের কোনো অধিকার পাবে না। তবে কাযাআতান তথা দুনিয়ার সাধারণ নিয়ম হিসেবে তথা স্ত্রী যদি কখনো কোর্টে তালাকের অধিকার নিয়ে মামলা দায়ের করে, তাহলে কাযী বা বিচারক স্ত্রীকে তালাকের অধিকারীনী বলে সিদ্ধান্ত দিবেন।কেননা যেভাবেই হোক কাবিনননামায় তো তালাকের অধিকার দেয়া হয়েছে,এবং স্বামীর স্বাক্ষরও তাতে রয়েছে।

كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية،1/379, المحيط البرهانى،-4/486، تاتارخانية، -3/380)
ভাবার্থ- প্রত্যেক ঐ তালাকনামা যা স্বামী লিখেনি,স্বামী অস্বীকার করলে কোনো তালাকই পতিত হবে না।

সারমর্মঃ-
স্বামীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন ব্যতিত স্ত্রী কখনো তালাকের অধিকার পাবে না। স্বামীকে সরাসরি জিজ্ঞাসা না করে কাজী নিজ পক্ষ্য থেকে যদি ১৮ নং কলামে স্ত্রীকে অধিকার দিয়ে দেয়, তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার নিজের উপর তালাক গ্রহণের দ্বারা তালাক হবে না।কেননা স্বামী আপনাকে অধীকার দেয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...