আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
131 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (130 points)
reshown by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

১,(এই প্রশ্নটি আবার করছি হয়ত বুঝাতে পারিনি)


স্ত্রী অনেক বার একটা কথা প্রায় প্রায় বলে যে অমুক কথা তুমি কাউকে বললে বা কেউ জেনে গেলে আমি যেদিকে মন চায় চলে যাব।বা আমি আর থাকবনা।এইকথা গুলা তালাকের নিয়তে বলে কিনা জানিনা। যদি স্ত্রী তালাকের নিয়তে বলে এবং আমার থেকে সম্মতি চায় যে সেই কথা কাউকে বলব না,বললে যেদিকে মন চাবে চলে যাবে।কিন্তু আমি তার কথাউ রাজী হই কিন্তু নিযে মনে মনে নিয়ত রাখি যে আমি এই কথা কাউকে বল্লেও তালাক হবেনা বা কেউ জেনে গেলেও না। তাহলে পরবর্তীতে সেই কথা কাউকে বললে বা জেনে গেলে তালাক হবে কি?

২,আমার ভাই এক অসহায় অসুস্থ কে টাকা দিতে আমাকে কছু টাকা দয়েছিলেন,কোনো কারণে আমার নিজের দোষে দিতে তা অই অসুস্থ লোক কে দিতে পারিনি।এখন আমি যদি ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে উক্ত টাকা অন্য কাউকে দেই তাহলে কি আমি গুনাহ মুক্ত হব? না অই অসুস্থ ব্যক্তিকেই দিতে হবে।উল্লেখ্য হয়ত অই অসুস্থ লোকের প্রয়োজন মিটে গেছে।আর তাকে খুযে পাওয়া কঠিন।

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
স্ত্রী যদি অনেক বার একটা কথা প্রায় প্রায় বলে যে  অমুক কথা তুমি কাউকে বললে বা কেউ জেনে গেলে আমি যেদিকে মন চায় চলে যাব।বা আমি আর থাকবনা।এবং স্বামী  অনুমতি চায়, সম্মতি চায় যে সেই কথা কাউকে বলব না,বললে যেদিকে মন চাবে চলে যাবে।

তাহলে পরবর্তীতে সেই কথা স্বামী কাউকে বললে বা কেউ জেনে গেলে তালাক হবে না।

(২)
ওয়াদার করার পর পূর্ণ করা জরুরী।তবে কোনো কারণে পূর্ণ করতে না পারলে কোনো গোনাহ হবে না।এবং কাযা হিসেবে অন্য কাউকে দিতেও হবে না।

উলামায়ে কেরাম এ কথার উপর একমত যে,যদি কোনো মানুষ কারো সাথে এমন কোনো বিষয়ের ওয়াদা করে যা নিষিদ্ধ নয়,তাহলে তার জন্য উচিৎ হল সেই ওয়াদাকে পূর্ণ করা। ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব না মুস্তাহাব? এ সম্পর্কে অবশ্যই মতপার্থক্য রয়েছে।ইমাম শা'ফেয়ী ও ইমাম আবু হানিফা এবং জুমহুর উলামায়ে কেরামের মতে ওয়াদাকে পূর্ণ করা মুস্তাহাব।যদি সে ওয়াদাকে ভঙ্গ করে ফেলে তাহলে যেন সে উত্তমতাকে পরিত্যাগ করল,এবং শক্ত মাকরুহে তানযিহি সম্ভলিত কাজে লিপ্ত হল।কিন্তু সে আবার গোনাহগার হবে না। অন্যদিকে এক দল উলামায়ে কেরামের মতে ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব। ইমাম আবু বকর ইবনুল আরাবি মালিকি রাহ বলেন,যারা উক্ত মাযহাবের প্রবক্তা তাদের মধ্যে এটা উমর ইবনে আব্দুল আযিয রাহ শীর্ষে রয়েছেন।তিনি আরো বলেন,মালিকি মাযহাবের উলামাগণ তৃতীয় আরেকটি মাযহাবকে বর্ণনা করেছেন। সেটা হল যে,যদি কেউ কাউকে বলে, তুমি বিয়ে করবে বলে ওয়াদা করো তোমাকে এই পরিমাণ মাল দেয়া হবে।অথবা তুমি ওয়াদা করো আমাকে গালি দেবে না তোমাকে এই পরিমাণ মাল দেয়া হবে ইত্যাদি বাক্য। তাহলে এমতাবস্থায় ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব হবে।আর যদি স্বাভাবিক ওয়াদা হয়ে থাকে তাহলে ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব না।যারা ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব বলেন না তারা বলেন, যে ওয়াদা হলো হেবার সমার্থক। আর জুমহুর উলামায়ে কেরামের মতে হেবা কবজা ব্যতীত পরিপূর্ণ হয় না।তবে ইমাম মালিক রাহ এর মতে ওয়াদা কবজার পূর্বেও ওয়াজিব হয়ে যায়।(আল-আযকার-৩১৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/663


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 132 views
...