বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আপনার বর্ণনাকৃত
- ফাযায়েলে আমলের ১০০১ নম্বর পৃষ্টায় হযরত আনাস রা. এর বর্ননায় একটি হাদিস এসেছে যেখানে বলা হয়েছে-রাসূল স. বলেছেন- " তোমরা সৎ কাজের আদেশ করো যদিও তোমরা সৎকাজের পাবন্দী না করতে পারো এবং মন্দকাজে অন্যদেরকে বাধা প্রদান করবে যদিও নিজেরা মন্দকাজ থেকে পুরোপুরি বাচতে না পারো। "
- বুখারি ৩২৬৭, ৭০৯৮ এবং মুসলিম ২৯৮৯, আহমদ ২১২৭৭, ২১২৮৭, ২১২৯৩, ২১৩১২- হাদিস গুলোতে ভিন্ন কথা আছে-আবু যায়দ উসামাহ ইবনে যায়দ ইবনে হারেসাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে আনা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। সেখানে তার নাড়ি-ভুঁড়ি বের হয়ে যাবে এবং সে তার চারিপাশে এমনভাবে ঘুরতে থাকবে, যেমন গাধা তার চাকির চারিপাশে ঘুরতে থাকে। তখন জাহান্নামীরা তার কাছে একত্রিত হয়ে তাকে বলবে, ওহে অমুক! তোমার এ অবস্থা কেন? তুমি না (আমাদেরকে) সৎ কাজের আদেশ, আর অসৎ কাজে বাধা দান করতে?’ সে বলবে, অবশ্যই। আমি (তোমাদেরকে) সৎকাজের আদেশ দিতাম; কিন্তু আমি তা নিজে করতাম না এবং অসৎ কাজে বাধা দান করতাম; অথচ আমি নিজেই তা করতাম
সমাধান
হাদীস উভয়টিই আ’মল যোগ্য।কোনোটিই জাল বা মাওযু নয।
প্রথম হাদীসে বলা হয়েছে,যারা উযরের কারণে আমল করতে অক্ষম।
আর দ্বীতিয় হাদীসে বলা হয়েছে যারা অক্ষম নয়।বরং সৎ কাজের আদেশ প্রদান করার পর নিজে আমল করতে যারা অক্ষম নয়,তাদেরকে কিয়ামতের দিন শাস্তি দেয়া হবে।কিন্ত কেউ আ’মল করতে অক্ষম হলে তাকে শাস্তি দেয়া হবে না।