আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম।

শায়েখ,
১। স্ত্রীকে যদি বাসা থেকে বের হও বলা হয় তাহলে কি তালাক হয়ে যায়?

২। স্ত্রীর সাথে কথা বলার সময় রেগে গিয়ে মনে মনে বলি তোমাকে তালাক দিলাম।
এতে কি স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে?

৩। তোমাকে তালাক দিলাম বা ছেড়ে দিলাম না বলে  এমনকি কোন প্রকার কেনায়া বাক্য ব্যবহার না করে নিয়ত করে যে কোন শব্দের মাধ্যমে কি তালাক দেয়া যায়?

৪।আগে কোন কারনে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে কি হয়নি যা আমার মনে নেই এই সন্দেহে ঘর সংসার কি কর বৈধ?

৫।আমি তোমাকে তালাক দিলাম  একথা মনে আসার পর যদি মুখ দিয়ে 'আমি' বের হয়ে যায় তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে?

৬। কেনায়া শব্দ কোন নিয়তে বলা নিয়ে যদি সন্দেহ থাকে তাহলে কি তালাক পতিত হয়?
৭। কেনায়া হলে পরে ফিরিয়ে নিতে কি করতে হবে?
----------------

------------------

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।
তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।
যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী))(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

'গার্জিয়ানকে ডাকো, তোর আর সাথে সংসার করবো না'
এরকম কথাবার্তা কেনায়া তালাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরা এমন কথা স্বামী তালাকের নিয়তে বললে তালাকে বায়েন বায়েন পতিত হবে।এক তালাকের নিয়ত থাকলে এক তালাক,আর তিন তালাকের নিয়ত থাকলে তিন তালাক পতিত হবে।আর ভয়প্রদর্শনের নিয়তে বললে অবশ্যই তালাক পতিত হবে না(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৯/৪৫১)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১। স্ত্রীকে যদি বাসা থেকে বের হও বলা হয়, তাহলে  তালাকের নিয়ত থাকলে তালাক হবে নতুবা তালাক হবে না।

২। স্ত্রীর সাথে কথা বলার সময় রেগে গিয়ে যদি মনে মনে বলা হয়, তোমাকে তালাক দিলাম। এতে বরে স্ত্রী তালাক হবে না।

৩। তোমাকে তালাক দিলাম বা ছেড়ে দিলাম না বলে  এমনকি কোন প্রকার কেনায়া বাক্য ব্যবহার না করে নিয়ত করে যে কোন শব্দের মাধ্যমে কি তালাক দেয়া যাবে না। তালাক নির্দিষ্ট কিছু শব্দের দ্বারাই হয়। তালাক/ছেড়ে দিলাম/ডিভোর্স শব্দ নিয়ত ছাড়াই তালাক হয়।অর্থাৎ তালাকের ক্ষেত্রে যে সব শব্দ প্রকাশ্য তালাক বুঝায়, সেই সব শব্দ দ্বারা তালাক হবে,এক্ষেত্রে নিয়তের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। আর কেনায়া শব্দের জন্য নিয়ত শর্ত।

৪।আগে কোন কারনে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে কি হয়নি যা আমার মনে নেই, এই সন্দেহে ঘর সংসার করা যাবে,বৈধ রয়েছে।

৫।'আমি তোমাকে তালাক দিলাম' একথা মনে আসার পর যদি মুখ দিয়ে 'আমি' বের হয়ে যাই বলা হয়, তাহলে এতেকরে তালাক হবে না।

৬। কেনায়া শব্দ কোন নিয়তে বলা নিয়ে যদি সন্দেহ থাকে, তাহলেও তালাক পতিত হবে না।

৭। কেনায়া হলে পরে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা নাই।

আপনার প্রশ্ন থেকে বুঝা যাচ্ছে, তালাক সম্পর্কে আপনি নতুন পরিচিত হচ্ছেন, তাই আপনার প্রতি পরামর্শ হল, আপনি বাংলা ফাতাওয়ায়ে আলমগিরী প্রথম খন্ড ক্রয় করে নিবেন।জাযাকাল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...