আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
Nn
আমি যখন মেছ থাকতাম তখন মেছ বাজার করতে হয়তো।
মেছ সামনে একটা  দোকান আছে। সেই দোকানেই আমাদের মেছ বাজার করা হত।   মেছ বাজারে প্রতিদিন ২ জন করে বাজারে করতে যাইতে হতো। মেছের বাজার শেষ  এ দোকান ওয়ালা খুশি হয়ে শশা ২ টা করে দিত যে যেদিন বাজারে যেত তাকে দিত।
উনি যে খুশি হয়ে আমাদের শশা দিতেন উইটা কি ঘুষ?  নাকি হাদিয়া? আমরা হাদিয়া   হিসেবে নিতাম ।

1 Answer

0 votes
by (680,960 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


নিঃস্বার্থভাবে, বিনিময় ছাড়া, চাওয়া ব্যতীত ও সতস্ফুর্তভাবে নিজেদের মধ্যে যে আদান প্রদান হয় তাই হাদিয়া। 

আল্লাহর রাসূল সা. বলেন, তোমরা পরস্পর হাদিয়ার আদান-প্রদান করো, তাহলে মহাব্বত বৃদ্ধি পাবে। (ইমাম বুখারী রচিত আদাবুল মুফরাদ, হা/৫৯৪) 

আল্লাহ তায়ালা বলেন, তারা যদি খুশি হয়ে তোমাদেরকে দিয়ে দেয়, তাহলে তোমরা তা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ করো। (সূরা নিসা আ/৪) 

আল্লাহ তাআলা এখানে খুশি হয়ে দিলে তা ভোগ করার জন্য বলেছেন। এটিই হাদিয়া। 

পরস্পর মুহাব্বত সৃষ্টি হয় হাসাদ দূর হয় হাদিয়ার মাধ্যমে। 

হাদিয়া বৈধ হওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত রয়েছে। (ক) যা হাদিয়া দিবে ঐ জিনিস হালাল হতে হবে। হারাম জিনিস হাদিয়া দেয়া যাবে না। (খ) হাদিয়া সম্পূর্ণ নিজের সম্মতিতে দিতে হবে। 

হাদিয়ার বিপরীতেই হলো ঘুষ।

হাদিয়ার ক্ষেত্রে যদি শর্তগুলো না থাকে। তবে তা হারাম হয়ে যাবে। 
ঘুষ হারাম। সরকারী বা বেসরকারী কোন কর্মকর্তা জনগণের টাকায় বেতনভাতা গ্রহণ করে থাকেন তখন তাদের কাজের জন্য জনগণ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া ঘুষ।

সুতরাং শর্তগুলো যদি থাকে তবে উভয়ের জন্য হালাল আর যদি শর্তগুলো না থাকে তবে উভয়ের জন্য হারাম। যদি দাতা বাধ্য হয় জীবন সঙ্কট মুহুর্ত বা ক্ষতি হয় তবে তখন ঐ হাদিয়া দাতার জন্য জায়েজ হবে আর গ্রহীতার জন্য হারাম হবে। হাদিয়ার ওপর পিঠে আমরা দেখতে পাই ঘুষ।

ঘুষ কাকে বলে? এতে রাসূল সা. এর অন্য হাদীস দ্বারা আরো স্পষ্ট হয়। 

আসাদ গোত্রের এক ব্যক্তিকে রাসূল সা. যাকাতের কাজে নিয়োগ দেন। তার নাম ছিল ইবনুল লুতাবিয়্যাহ। কাজ থেকে ফেরার পর বলল এ হচ্ছে যাকাতের সম্পদ আর এগুলো আমাকে হাদিয়া দেওয়া হয়েছে। তখন রাসূল সা. মিম্বারে ওপর দাঁড়িয়ে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তণের পর বললেন, আমার প্রেরিত কর্মচারীর কী হল, সে বলে এটা যাকাতের সম্পদ আর এটা আমি হাদিয়াস্বরূপ পেয়েছি। সে তার বাপ-মার ঘরে বসে দেখতে পারে না তাকে হাদিয়া দেওয়া হয় কিনা? আল্লাহর কসম করে বলছি তোমাদের কেউ খেয়ানত করলে তা নিজের কাঁধে নিয়েই কেয়ামতের ময়দানে উপস্থিত হবে। উট, গরু, বা ছাগল যাই হোক সেগুলো আওয়াজ করতে থাকবে। এরপর রাসূল সা. উভয় হাত উত্তোলন করে দু’বার বললেন, হে আল্লাহ! আমি পৌঁছে দিয়েছি। হাত উত্তলনের কারণে রাসূল সা. এর বগলের শুভ্রতা আমরা দেখতে পেলাম। (বুখারী হা/৬৫৭৮, ৮৮৩)

আমাদের সামনে স্পষ্ট হলো। সরকারী বা বেসরকারী কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী তার দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়মিত বেতন/ভাতা পাওয়া সত্ত্বেও যদি বাড়তি কিছু অবৈধ পন্থায় গ্রহণ করে তাহলে তা ঘুষ হবে।
(কিছু তথ্য সংগৃহীত।)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু উক্ত দোকানদার সন্তুষ্টি চিত্তেই আপনাদের সেটি দিয়েছে,আর আপনারাও তাহা হাদিয়া হিসেবেই নিয়েছেন,তাই তাহা হাদিয়া বলে গন্য হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...