আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (25 points)
হুজুর প্রায় ৬-৭ বছর আগে আমার বন্ধু আমাকে গল্প করার সময় বলে যে, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ মনে করতেন  সুরা ফালাক ও সুরা নাস নাকি কুরআন শরীফের আয়াত নয়।   তারপর আমরা বিভিন্ন কথা বলি। আমার জানামতে তখন আমি নিয়মিত নামাজ পরতাম না। হুজুর আমার বন্ধু ওভাবে বলার পর আমার মনে সন্দেহ জাগে যে      সুরা ফালাক বা সুরা  নাস দিয়ে নামাজ পরলে নামাজ  আবার হবে না নাকি।   এ সন্দেহের কারনে নামাজে সুরা ফালাক বা নাস পরেছিলাম নাকি মনে নেই।  হুজুর এ সন্দেহের কারনে বা সন্দেহের কারনে নামাজে সুরা  ফালাক বা সুরা নাস না   পরলে কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে। হুজুর তখন  ঈমান ভংগের কারন জানতাম না।

২. পরবর্তী সময়ে    ঈমান ভংগের কারন জানার আগে থেকেই আমি সুরা  ফালাক বা সুরা নাস পরি।  সুরা ফালাক বা সুরা নাসের যে আমলগুলি আছে সেগুলো করার চেষ্টা করি  ।   হুজুর আমি বিবাহিত। বিবাহের আগে থেকেই পরতাম নাকি মনে নেই।  সুরা  ফালাক বা  সুরা নাস নিয়ে এ সন্দেহ বা সন্দেহের কারনে নামাজে সুরা ফালাক বা সুরা নাস না পরলে কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে। এটা কি অজ্ঞতার মধ্যে পরে।    হুজুর আমার বন্ধু  ওভাবে বলার পর আমার এরকম মনে হয়েছিল।

৩.  হুজুর ঈমান ভংগের  কারন জানার পর ও কেউ যদি কাউকে প্রশ্ন করে যে সুরা ফালাক বা সুরা নাস নাকি কুরআন শরীফের আয়াত নয়। এ প্রশ্ন করার দারা কি ঈমানের কোন  সমস্যা হবে।
৪.হুজুর কোন কোন বিষয়ে ওজর বিল জাহেলিয়াত গ্রহণ যোগ্য হবে না। যে গুলো জান্তেই হবে?

৫.  হুজুর       ঈমান ভংগের কারন জানার পর প্রতিদিন বিভিন্ন  প্রশ্ন মনে জাগতেছে।    আর মনে হচ্ছে ঈমান ভংগ হল      নাকি।   ঈমান ভংগ হলে তো বিবাহের সম্পর্ক থাকে না।     এই নিয়ে আমি খুব পেরেশানিতে আছি হুজুর।  এখন আমার মুল একটি প্রশ্ন হল  কেউ যদি ঈমাণ ভংগের কারন না জানার কারনে বা না জানার কারনে শিরকে আকবর, কুফরি, কুফরি কোন কথা, কুফরি কোন বিশ্বাস    বা কুফরি কোন সন্দেহ তাহলে কি তার ঈমান থাকবে। সে যদি বিবাহিত হয় তার বিবাহের সম্পর্ক কি থাকবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


ওযর বিল জাহালত গ্রহণযোগ্য। চায় এ'তেকাদি মাসাঈল সম্পর্কিত হোক বা ফেকহী শাখাপ্রশাখাগত মাসাঈল সম্পর্কিত হোক।

যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন,

 ( رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا )

হে আমাদের রব,আমাদের কে পাকরাও করবেন না,যদি আমি ভূলে যাই কিংবা অজ্ঞতা বশত কিছু করে ফেলি।
সূরা বাকারা-২৮৬

وقوله تعالى : (وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا) الأحزاب/ 5 .

। এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,

وقوله صلى الله عليه وسلم : ( إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ) رواه ابن ماجه (2043) 

নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ঐ জাহালত অযর হতে পারবে,যেক্ষেত্রে সে হুকুম সম্পর্কেই অজ্ঞ।

এই জন্য কেহ যদি ফরজ ওয়াজিব বিধান কে এই জন্য না পড়ে যে সে উক্ত বিধান ফরজ ওয়াজিব হওয়া সম্পর্কে  জানতোনা।

অথবা সে কোনো হারাম কাজ এই জন্য করেছে যে সে তাহার হারাম হওয়া সম্পর্কে  জানতোনা,তো তার এই অজ্ঞতার শরীয়তে গ্রহনযোগ্যতা আছে।

এর ভিত্তিতে তাকে তাকে শাস্তি  দেওয়া হবেনা। সে অজ্ঞতার কারনে মা'যুর।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এতে আপনার ঈমান ভেঙ্গে যাবেনা। 
তবে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমান চলে যায়নি। 

তবে বিষয়টি জানার পর আর এমন কথা বলা যাবেনা।
আর আগের কথা কাজের দরুন আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।

(০৩)
জানার জন্য শুধু প্রশ্ন করার দরুন ঈমান চলে যাবেনা।

(০৪)
মুসলিম রাষ্ট্রে ফরযে আইন পরিমান ইলম অর্জন করতেই হবে।
এক্ষেত্রে ওযর বিল জাহালত গ্রহনযোগ্য হবেনা।

(০৫)
না জানার কারনে এমনটি করলে জানা মাত্র তওবা করতে করতে হবে।
এই ছুরতে ঈমান চলে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...