আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
280 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
‏السلام عليكم ورحمة الله وبركاته, কিছু গোনাহের কারনে ইবাদাত কবুল হয় না যেমন : হারাম উপার্জন ও ভক্ষন করলে , কোনো দাসী তার মনিবের কাছ থেকে পালিয়ে গেলে ইত্যাদি । প্রশ্ন হলো , ইবাদাত কবুল না হওয়া বলতে কি এরুপ বোঝায় যে হারাম ভক্ষনকৃত ব্যাক্তি যদি ফরজ সালাত আদায় করে তাহলে তার ফরজ দায়িত্ব আদায় হয়ে যাবে কিন্তুু কোনো সাওয়াব নেই , নাকি তার সালাতই হবে না বা সালাত না আদায় করার সমানই ?

জাযাকাল্লাহু খাইরন

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।
عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " أيها الناس، إن الله طيب لا يقبل إلا طيبا، وإن الله أمر المؤمنين بما أمر به المرسلين، فقال: {يا أيها الرسل كلوا من الطيبات واعملوا صالحا، إني بما تعملون عليم} [المؤمنون: ٥١] وقال: {يا أيها الذين آمنوا كلوا من طيبات ما رزقناكم} [البقرة: ١٧٢] ثم ذكر الرجل يطيل السفر أشعث أغبر، يمد يديه إلى السماء، يا رب، يا رب، ومطعمه حرام، ومشربه حرام، وملبسه حرام، وغذي بالحرام، فأنى يستجاب لذلك؟ "
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)
তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?” (সহীহ মুসলিম-১০১৫)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হারাম খেলে নামায কবুল হবে না বা ইবাদত কবুল হবে না বিষয়টা এমন না।তবে কেউ কেউ এমনটাও বলেছেন।বরং উদ্দেশ্য হল,হারাম খেলে ইবাদতের সওয়াব প্রাপ্ত হওয়া যাবে না।

ورجح الطيبي - رحمه الله - الوجه الأول، ولا منع من الجمع فيكون إشارة إلى أن عدم إجابة الدعوة إنما هو لكونه مصرا على تلبس الحرام والله - تعالى - أعلم بالمرام.
মর্মার্থ, ইমাম তিবী বলেন,উদ্দেশ্য হল,যারা প্রকাশ্যে বারংবার হারাম খানাতে লিপ্ত।তাদের দু'আ কবুল হবে না।


অর্থাৎ
ইবাদাত কবুল না হওয়া বলতে এরুপ বোঝায় যে, হারাম ভক্ষনকৃত ব্যাক্তি যদি ফরজ সালাত আদায় করে, তাহলে তার ফরজ দায়িত্ব আদায় হয়ে যাবে ঠিক।তবে উক্ত ইবাদতের সওয়াব সে নাও পেতে।
 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...