আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ,

প্রশ্নগুলোর উত্তর সময় করে দিয়েন উস্তাদ,অনেক পেরেশানিতে আছি।

আমাদের বিয়ের সময় আমি,আমার স্বামী কেউ ১৮নং এর ব্যাপারে জানতাম না,আমাদের কারোর কাছে  অনুমতি না নিয়ে, আমাদের না জানিয়ে এই ঘরে টিক দেওয়া হয়েছে।
আমরা ২জনই বিয়ের অনেক পরে কাবিননামা পড়ে এইটা জানি যে ১৮ নং এ টিক দেওয়া, অথচ আমরা কেউ কিছু জানতাম না এতোদিন।


আমি গতোমাসে নিজের উপর এক তালাক নিয়েছিলাম,আর হুজুরদের থেকে জেনেছি আমার এক তালাক হয়েও গেছে।

যেরাতে এক তালাক নিয়েছি নিজের উপর, শুধু  ঐ রাতেই আমরা আলাদা বিছানায় ছিলাম।
এর পরদিন থেকেই আমার স্বামী খুব জোর করতে থাকে যে আমার সাথে থাকতে চায় সে।

আমি ঠিকভাবে ইদ্দত ও পালন করতে পারিনি।কারণ নিজের উপর এক তালাক নেওয়ার পরের দিনই ও আমার সাথে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে,
আমার সাথে থাকতে চায়।

নিজের উপর আমি এক তালাক নেয়ার প্রায় ২০-২৫ দিন পর আমার যখন পিরিয়ড শুরু হয়,
এই তালাক নেয়া থেকে পিরিয়ড শুরুর আগের সময়ে আমার নিজেেে রর  ইচ্ছায়, অনিচ্ছায় অনেক বার আমি আমার স্বামীর সাথে তার ওয়াইফের মতো থেকেছি,

এখন আমার প্রশ্ন হলো-

১.আমাকে কি আবার ইদ্দত পালন করতে হবে,যেহেতু আগেরবার তালাক নেওয়ার পরদিনই আমার স্বামী জোর করে  শারীরিক সম্পর্ক করেছে , ইদ্দত পালন করতে পারিনি আমি?

২.আমাকে আর আমার স্বামীকে কি এখন আবার বিয়ে করতে হবে একসাথে থাকতে হলে?

৩.আমরা কেউই চাই না আর এই ১৮নং অর্থাত নিজের উপর তালাক নেয়ার অধিকার আর আমার থাকুক,
কিছুতেই চাই না,
আগের বার ও আমাদের না জানিয়ে এইটাতে টিক দেওয়া হয়েছে।
এখন এইটা পরিবর্তন করবো কিভাবে?

1 Answer

0 votes
by (560,580 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/35074/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
তালাক খুবই মারাত্মক একটি বিষয়। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★শরীয়তের বিধান হলো স্বামী যদি জেনে শুনে নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দেয়, অথবা সেখানে কাজী সাহেব বা অন্য কেহ হ্যাঁ লিখে দেয়,আর স্বামী তাহা জেনে শুনে নিচে স্বাক্ষর দেয়,আর এই নিকাহ নামা বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার পরে যদি লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবে। 

তবে যদি এমনটি না হয়,স্বামী যদি না জেনেই নিচে সাইন করে,সে যদি তালাকের ক্ষমতা প্রদানের এই বিষয় সম্পর্কে স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা,অথবা এই নিকাহ নামা যদি বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার আগে লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবেনা।
 
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى الطلاق بالكتابة-1/379، المحيط البرهانى، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-4/486، تاتارخانية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-3/380)
সারমর্মঃ
প্রত্যেক ঐ লেখা,যেটা নিজ হাত দিয়ে লিখেনি,নিজের মন সেদিকে ঝুকেওনি,তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
যদি সে এটা স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা।    

সুতরাং  যদি স্বামীর দস্তখত করার সময় জানা থাকে যে, কাজী স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দিয়েছে মর্মে উপরে লিখে দিয়েছে, একথা জানার পরও যদি স্বামী উক্ত কাগজের নিচে সাইন করে, তাহলে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দেয়া হয়েছে বলে সাব্যস্ত হবে। সেই হিসেবে স্ত্রী যদি পরবর্তীতে নিজের উপর তালাক পতিত করে থাকে, তাহলে তালাক পতিত হয়ে যায়।

আরো জানুনঃ 
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি তালাকের ক্ষমতাই পাননি।
সুতরাং আপনার উপর কোনো তালাক পতিত হয়নি। তাই আপনাদের চিন্তিত হওয়ার কোনো কারন নেই। 
যখন তালাকই হয়নি,তাই আপনাকে কোনো ইদ্দত পালন করতে হবেনা।
আপনি এখনো স্বামীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্কে আছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...