বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
أخبرنا جعفر بن عون أنا إسماعيل بن مسلم، عن الحسن عن عثمان بن أبي العاص، قال: وقت النفساء أربعين يوما، فإن طهرت وإلا فلا تجاوزه حتى تصلي.
‘‘উসমান ইবনে আবুল আস রাযিআল্লাহু আনহু বলেন, নেফাসগ্রস্ত মহিলাদের সময়সীমা চল্লিশ দিন। তবে যদি এর আগেই পবিত্র হয়ে যায়, (তাহলে পবিত্রতার বিধান শুরু হয়ে যাবে।) অন্যথায় চল্লিশ দিন পর নামায শুরু করতে বিলম্ব করবে না।’’
(মুসনাদে দারেমী ৫/১৮৫ (১০৩৭) ও ইবনুল মুনযির রচিত আল আওসাতে ২/৩৭৬ (৮২৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
হায়েজের ন্যায় নেফাসের ক্ষেত্রেও নামাজের শেষ ওয়াক্ত ধর্তব্য।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার যখন বাচ্চা হয়েছিলো,তখন যদি আসলেই জোহরের ওয়াক্ত বিদ্যমান থাকে,তাহলে উক্ত জোহরের নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা।
আরো জানুনঃ-
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَقَّتَ لِلنُّفَسَاءِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، إِلَّا أَنْ تَرَى الطُّهْرَ قَبْلَ ذَلِكَ
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নেফাসওয়ালী মহিলাদের মেয়াদ সাব্যস্ত করেছেন চল্লিশ দিন। তবে যদি এর আগে পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে ভিন্ন কথা। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৪৯, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৮৩১১, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৮৫২, সুনানে কুবরালিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৬১৯]
★সুতরাং আপনার যদি নেফাস চলমান থাকে,তাহলে আপনি ৭ ই আগষ্ট জোহর থেকে নামাজ আদায় করবেন।
(জুন মাসের ২৮ তারিখের জোহর থেকে নেফাস শুরু হয়েছে,তো এই দিন আর ৭ ই আগষ্ট এর জোহরের আগ পর্যন্ত ওয়াক্ত হিসেব করে এক দিন হয়। সেই হিসেবে আপনি ৭ ই আগষ্ট জোহর থেকে নামাজ আদায় করবেন। আর যদি বাচ্চা হওয়ার সময় আসরের ওয়াক্ত চলে আসে,তাহলে আপনি ৭ ই আগষ্ট আসর থেকে নামাজ আদায় করবেন, এক্ষেত্রে ২৮ ই জুনের জোহরের কাজা আদায় করতে হবে। )
আর যদি এর আগেই আপনার নেফাস বন্ধ হয়,তাহলে যেই ওয়াক্তে বন্ধ হলো,সেই ওয়াক্ত থেকেই নামাজ আদায় করতে হবে।
(০৩)
আপনার এইবার নেফাসের ক্ষেত্রে যদি ৪০ দিনের আগেই রক্ত আসা বন্ধ হয়,তাহলে যেই ওয়াক্তে বন্ধ হলো,সেই ওয়াক্ত থেকেই নামাজ আদায় করতে হবে।
আর যদি ৪০ দিন পরেও রক্ত আসা চলমান থাকে,তাহলে ৪১ তম দিন থেকে নামাজ আদায় করতে হবে।
(০৪)
১৫ দিন ব্যবধান ধরবেন।
(০৫)
এভাবে নিয়মিত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজ ত্যাগ করলে আপনি গুনাহগার হবেন।
সময় বের করে আপনাকে যেইভাবেই হোক আসর বাদ দিয়ে বাকি নামাজ গুলোর যে কয় রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজ আছে,সেগুলো আদায় করতে হবে।
তবে ওযর বশত কোনো এক বা দুই সময় এই সুন্নাত ছেড়ে দিলে সমস্যা হবেনা।
তবে নিয়মিত ত্যাগ করা যাবেনা।
(০৬)
এগুলোকে পাক কাপড়ের সাথে রাখবেননা।
আলাদা রাখবেন।
পাক কাপড়ের সাথে রেখে পাক কাপড় ভিজে গেলে সেটাও নাপাক হয়ে যাবে।
(প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এভাবে তিনবার কাপড় ধোয়া হলে নাপাক কাপড়টি পাক হবে।)
(০৭)
যদি তিনবার ভালোভাবে ধোয়ার পরে না উঠে,সেক্ষেত্রে এটি সমস্যা হবেনা।
নতুবা নাপাকই থাকবে।