আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in পবিত্রতা (Purity) by (38 points)
আসসালামু আলাইকুম,
(প্রশ্ন: ১)
মুহতারাম শাইখ, মাগরিবের আগপর্যন্ত কারো হায়েজের টাইম শেষ। সে ফজরের পর স্রাবের বং সাদা দেখে দেখে ফরজ গোসল করে যোহরের পর থেকে সালাত পড়া শুরু করল। মাঝখানে তার কোন লাল লাল স্রাব দেখা গেল না। এখন মাগরিবের পরে যেয়ে অর্থাৎ ইস্তিহাজার সময়ে যেয়ে আবারো লাল লাল স্রাব দেখা গেলে তখন কি পুনরায় ফরজ গোসল করা লাগবে? সেটা তো হায়েজের সময়ে হয়নি, ইস্তিহাজার সময়ে হয়েছে। তাহলে কি তার পুনরায় ফরজ গোসল করা লাগবে?

(প্রশ্ন:২) নবজাতক বাচ্চাকে গোসল করানোর পূর্বে তেল মাখানো হয়। এখন বাচ্চাদের তো সবসময়ই প্রস্রাবের কাঁথা পাল্টানো হয়, কিন্তু শরীর তো পানি দিয়ে ধোঁয়া হয়না।
(ক) এক্ষেত্রে তেল মাখানো হলে তো ওই শরীরের নাপাকীও তেলে মেখে তৈলাক্ত হয়ে গেল তাইনা শাইখ? (খ) আর এই অবস্থায় বড় গামলাতে গোসল করানো হলে ওই পানিও তো নাপাক হয়ে যাবে তাইনা? আমি কি ঠিক বলেছি শাইখ? (গ) আর ওই পানি থেকে যখন বাচ্চাকে গোসল শেষ করিয়ে উঠানো হয় তখনও কি বাচ্চার শরীর নাপাক থাকবে? এবং (ঘ) আমার তেলতেলে হাতও নিপাক হয়ে থাকবে শাইখ? এই বিষয়টা আমি বুঝিনা শাইখ, একটু কষ্ট করে বুঝিয়ে দিলে উপকৃত হতাম। এটা নিয়ে ওয়াসওয়াসায় থাকি, হয়ত সঠিকটা না জানার কারনে। ওই তৈলাক্ত হাত কি পানিতে ধুলেই নাপাকী চলে যাবেনা? নাকি নাপাকী যাওয়ার জন্য পানিতে হাত ধোঁয়ার পরেও আবার তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে শাইখ?

(প্রশ্ন: ৩)

শাইখ, শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পড়ার সময়ে তো চোখের দৃষ্টি কোলের দিকে রাখতে হয়। তাহলে ২য় রাকাতে আত্তাহিয়াতু পড়ার সময়েও দৃষ্টি কোলের দিকে রাখতে হবে নাকি সিজদার দিকে?

যখন কিয়াম করতে হয় তখন চোখের দৃষ্টি পায়ের পাতার দিকে রাখতে হয়?  নাকি সিজদার দিকে?

1 Answer

0 votes
by (708,320 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)

اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474

প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনার হায়েয যদি ১০ দিনের ভিতর বন্ধ হয়, তারপর আবার আবার শুরু হয়, তাহলে আপনাকে অবশ্যই আবার ফরয গোসল করতে হবে। কিন্তু যদি ১০ দিনের পর হায়েয বন্ধ হয়, তারপর আবার শুরু হয়, তাহলে আর ফরয গোসল করতে হবে না।

(২)
নবজাতক বাচ্চাকে গোসল করানোর পূর্বে তেল মাখানো হয়। বাচ্চাদের তো সবসময়ই প্রস্রাবের কাঁথা পাল্টানো হয়, কিন্তু শরীর তো পানি দিয়ে ধোঁয়া হয় না।তাই শরীর নাপাকই থাকবে।

(ক)
এক্ষেত্রে তেল মাখানো হলে তো ওই শরীরের নাপাকীও তেলে মেখে তৈলাক্ত হয়ে যাবে।

(খ)
আর এই অবস্থায় বড় গামলাতে গোসল করানো হলে ওই পানিও নাপাক হয়ে যাবে। এজন্য প্রথমে দুইবার শরীরকে ধৌত করে তৃতীয়বার বড় গামলাতে সন্তানকে ধৌত করাতে হবে।

(গ)
যদি তিনবার ধৌত করা না হয়, তাহলে ঐ পানি থেকে যখন বাচ্চাকে গোসল শেষ করিয়ে উঠানো হয় তখনও  বাচ্চার শরীর নাপাক থাকে।

(ঘ)
আপনার হাতকে যদি তিনবার ধৌত করেন, তাহলে আপনার তেলতেলে হাত নাপাক হবে না। হাতে তৈলাক্ত ভাব থাকার পরও হাতকে পাকপবিত্র মনে করা হবে।তবে তিনবার ধৌত করা না হলে, হাত অপবিত্র থাকবে।

(৩)
প্রথম বৈঠক হোক বা দ্বিতীয় বৈঠক, সর্বদা কোলের দিকেই দৃষ্টি দিতে হবে।আর কিয়াম অবস্থায় সিজদার স্থানের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (38 points)
শাইখ, উত্তর দিবেন একটু কষ্ট করে ইনশা আল্লাহ 
by (708,320 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।
by (38 points)
শাইখ, (৩) 
ক)যখন আমরা সিজদাতে যেয়ে ‘সুবহানাল্লাহ রাব্বিয়াল আ'লা ’ পড়ে আল্লাহু আকবার বলে উঠব তখন উঠা অবস্থায় তো চোখে দৃষ্টি সিজদার দিকেই থাকবে তাইনা? এবং উঠে যখন বসে দুয়া পড়ব ‘ আল্লাহুম্মাগফিরলি অর্থাৎ দুই সিজদার মধ্যবর্তী যে দুয়া গুলো (নফল সালাতে) আছে সেগুলো পড়ার সময়ও চোখের দৃষ্টি কোলের কাছে রাখব তাইনা? অর্থাৎ বসা অবস্থায় সবসময়ই দৃষ্টি কোলের কাছেই রাখব?

খ) তাহলে যখন বসে নামাজ পড়তে হয় এবং শুয়ে নামাজ পড়তে হয় তখন চোখের দৃষ্টি কিভাবে রাখতে হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...