বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হাররার যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিলো।
এই যুদ্ধ সংক্রান্ত হাদীস শরীফে ইশারা এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمٰنِ الأَحْوَلُ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْمَدِينَةُ حَرَمٌ مِنْ كَذَا إِلَى كَذَا لاَ يُقْطَعُ شَجَرُهَا وَلاَ يُحْدَثُ فِيهَا حَدَثٌ مَنْ أَحْدَثَ حَدَثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মদিনা এখান হতে ওখান পর্যন্ত হারাম (রূপে গণ্য)। সুতরাং তার গাছ কাটা যাবে না এবং এখানে কোন ধরনের অঘটন ঘটানো যাবে না। যদি কেউ এখানে কোন অঘটন ঘটায় তাহলে তার প্রতি আল্লাহ্র এবং ফেরেশতাদের ও সকল মানুষের লা’নত (অভিশাপ)। (বুখারী শরীফ ১৮৬৭.৭৩০৬, মুসলিম ১৫/৮৫, হাঃ ১৩৬৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭৪৩ )
عَن سعيد بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ: لَمَّا كَانَ أَيَّامُ الْحَرَّةِ لَمْ يُؤَذَّنْ فِي مَسْجِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثًا وَلَمْ يُقَمْ وَلَمْ يَبْرَحْ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ الْمَسْجِدَ وَكَانَ لَا يَعْرِفُ وَقْتَ الصَّلَاةِ إِلَّا بِهَمْهَمَةٍ يَسْمَعُهَا مِنْ قَبْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
সা'ঈদ ইবনু 'আবদুল আযীয (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাররাহ’র ফিতনার সময় তিন দিন তিন রাত নবী (সা.) -এর মাসজিদে সালাতের আযানও হয়নি এবং ইকামাতও দেয়া হয়নি। সে সময় (প্রসিদ্ধ তাবিঈ) সা'ঈদ ইবনুল মুসাইয়াব (রহিমাহুল্লাহ) মসজিদে নাবাবীর ভিতরে আটকা পড়েছিলেন এবং তিনি সালাতের সময় ঠিক করতেন কেবলমাত্র নবী (সা.) -এর কবরের ভিতর হতে নির্গত একটি গুনগুন শব্দ দ্বারা, যা তিনি শুনতে পেতেন।
(মিশকাতুল মাসাবিহ ৫৯৫১)
وَعَن ابْن الْمسيب قَالَ: وَقَعَتِ الْفِتْنَةُ الْأُولَى - يَعْنِي مَقْتَلَ عُثْمَانَ - فَلَمْ يَبْقَ مِنْ أَصْحَابٍ بَدْرٍ أَحَدٌ ثُمَّ وَقَعَتِ الْفِتْنَةُ الثَّانِيَةُ - يَعْنِي الْحَرَّةَ - فَلَمْ يَبْقَ مِنْ أَصْحَابِ الْحُدَيْبِيَةِ أَحَدٌ ثُمَّ وَقَعَتِ الْفِتْنَةُ الثَّالِثَةُ فَلَمْ تَرْتَفِعْ وَبِالنَّاسِ طَبَاخٌ.
ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহ.) বর্ণিত। তিনি বলেন, ইসলামের প্রথম ফিতনাহ্ হলো ‘উসমান (রাঃ)-এর হত্যা। এরপর বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন সাহাবীও অবশিষ্ট ছিলেন না। দ্বিতীয় ফিতনাহ্ হলো ‘হাররা’র রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, অতঃপর হুদায়বিয়ায় অংশগ্রহণকারী একজন সাহাবীও অবশিষ্ট রইলেন না। আর তৃতীয় ফিতনাহ্ সংঘটিত হওয়ার পর তা কখনো শেষ হয়নি, যতদিন মানুষের মধ্যে জ্ঞান ও সৎ গুণাবলি বিদ্যমান ছিল। (তখন সাহাবী ও তাবি'ঈদের কেউই অবশিষ্ট থাকেননি)।
(বুখারী ৪০২৪.মেশকাত ৫৪০৯)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
৬৩ হিজরীর ২৮ যুলহিজ্জা, ৬৮৩ সালের ২৭ শে আগস্ট রোজ বুধবার। ইয়াযিদের বাহিনী মদীনাবাসীর উপর আক্রমণ করে। ২৭,০০০ সৈন্যের আক্রমণের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ছিলেন মাত্র ২,০০০ সাহাবী-তাবে’ঈ।
এটিকে হাররার যুদ্ধ বলে।
অসংখ্য তাবেয়ী,নিরিহ সাহাবাকে এই যুদ্ধে শহীদ করে দেয়া হয়েছিলো।
যুদ্ধটিতে গনহত্যা হয়েছিলো, গণধর্ষণ করার ঘটনাও কিছু ইতিহাসের কিতাবে আছে,তবে এই (গণধর্ষণ)
বিষয়টি সম্পর্কে অনেক ইতিহাসের গ্রন্থে মিথ্যাও বলা হয়েছে।