ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
দুধ পানের মুদ্দত বা সর্বোচ্ছ সময়সীমা দুই বৎসর।দুই বৎসর পর সন্তানকে দুধ পান করানো হারাম।
দুই বৎসর পর যদি কোনো শিশু কোনো মহিলার দুধ পান করে নেয়,তাহলে এদ্বারা দুধ সম্পর্ক প্রমাণিত হবে না।
আলাউদ্দিন হাসক্বাফী রাহ লিখেন,
هُوَ (حَوْلَانِ وَنِصْفٌ عِنْدَهُ وَحَوْلَانِ) فَقَطْ (عِنْدَهُمَا وَهُوَ الْأَصَحُّ) فَتْحٌ وَبِهِ يُفْتَى كَمَا فِي تَصْحِيحِ الْقُدُورِيِّ عَنْ الْعَوْنِ
শিশুর জন্য মায়ের দুধ পানের সর্বোচ্ছ সময়সীমা-ইমাম আবু-হানিফা রাহ এর মতে আড়াই বৎসর।আর সাহেবাইনের মাযহাব মতে দুই বৎসর।এই দ্বিতীয় মতটাই বিশুদ্ধতম মত।এবং এর উপরই ফাতাওয়া।
আরো বর্ণিত রয়েছে-(আহসানুল ফাতাওয়া-৫/১২৮) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 1490
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
এক ফুটা দুধ দুই বৎসর বয়সের ভিতর কোনো সন্তান পান করে নিলেই দুধ সম্পর্ক হয়ে যায়।পাঁচবার পান করার বা পাঁচদিন পান করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। এবং স্বামীর অনুমতি থাকা বা না থাকারও কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।
সুতরাং প্রশ্নের বিবরণমতে দুধ সম্পর্ক স্থাপন হয়ে গেছে। উক্ত বাচ্ছার জন্য তার দুধ মাতার সন্তান দুধ ভাই/বোন হিসেবে বিবেচিত হবে। পরস্পসর বিয়ে শাদি ঐ সন্তান এবং তার খালাতো ভাই/বোনদের সাথে জায়েয হবে না।তাদের মধ্যকার নন মাহরামের মত পর্দার বিধানও আসবে না।
(২)
ইমাম সাহেবের পূর্বে কোনো রুকুনে চলে গেলে, সেই রুকুনে গিয়ে ইমামের অপেক্ষা করতে হবে, যাতেকরে ইমাম সাহেব ঐ রুকুনে চলে আসেন। সুতরাং আপনি যদি ইমাম সাহেবের পূর্বে সিজদা থেকে উঠে গিয়ে থাকেন, এবং সেখানে এসে ইমাম সাহেব আপনাকে পান, ঠিকতেমনিভাবে সালামের বিষয়টা, তাহলে আপনার নামায ফাসিদ হবে না।