আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
280 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় শায়েখ,

আমি বেশ কিছু দিন খুব খারাপ সময় পার করছি।
বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে কোন মাসালা পড়ার পর থেকে এমন হয়েছে এটা আমার মাথায় সব সময় ঘুর পাক খেতে থাকে।

হঠাৎ একদিন তালাকের মাসালা পড়তে পড়তে আমার মুখ দিয়ে বের হয়ে যায় যে,  যা তোকে তালাক দিয়ে দিলাম।
পরে আমি মনে করতে পারছিলাম না যে এটা আমি মনে মনে বললাম না জিভ্বা নাড়িয়ে হালকা উচু স্বরে বললাম, আমি মনে করতে পারছিলাম না।

আবার একদিন অটোমেটিক আমার মুখ দিয়ে বের হয়ে যায় যে, আমি তোমাকে তালাক দিয়ে দিলাম। পরে আমার মনে হলো এ আমি কি বললাম।

এসব ব্যাপারে আমার স্ত্রী কিছুই জানে না।
তাছাড়া স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটির সময় আমি বলে ফেলেছি যে, তোমার প্রয়োজন নেই।তারপর কথা বলা শেষে আমি কথাটি বারবার উচ্চারন করতে থাকি এবং বোঝার চেষ্টা করতে থাকি যে আমি এটা কি নিয়তে বললাম!
এবং একা একা একদিন বলেছি যে তুমি অন্য কোথাও বিয়ে করো।
আমাদের বিবাহ কি হালাল আছে হুজুর?
আমি খুবই মানসিক পেরেশানির ভিতরে আছি।
আপনার উওর কামনা করি।

1 Answer

0 votes
by (585,120 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তালাকের ওয়াসওয়াসা দ্বারা তালাক হয় না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারি দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে কোনো তালাকই হবে না।আমি সম্পূর্ণ প্রশ্নটিকে তিনবার পড়েছি। যেহেতু ঠোট নাড়িয়ে আপনি বলেছেন কি না? তা নিশ্চিত নয়। নিশ্চিত হওয়া ব্যতিত তালাক হবে না।

"স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটির সময় আমি বলে ফেলেছি যে, তোমার প্রয়োজন নেই।তারপর কথা বলা শেষে আমি কথাটি বারবার উচ্চারন করতে থাকি এবং বোঝার চেষ্টা করতে থাকি যে আমি এটা কি নিয়তে বললাম!
এবং একা একা একদিন বলেছি যে তুমি অন্য কোথাও বিয়ে করো।"

এগুলো যেহেতু কেনায়া তালাকের বাক্য, সুতরাং নিয়ত ছাড়া তালাক হবে না।যেহেতু আপনার তালাকের কোনো নিয়ত ছিলনা, তাই তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (585,120 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...