আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১.হুজুর প্রায় ৬-৭ বছর আগে    আমার বন্ধু আমাকে গল্প করার সময় বলে যে,  আব্দুল্লাহ  ইবনে মাসউদ রাঃ বলেছেন যে, সুরা ফালাক বা সুরা নাস নাকি কুরআন শরীফের আয়াত নয়।  তারপর আমরা বিভিন্ন কথা বলি।  আমার বন্ধু ওভাবে বলার পর আমার মনে সন্দেহ জাগে যে,  সুরা ফালাক বা সুরা নাস  পরলে নামাজ আবার হবে না নাকি?   এ সন্দেহের কারনে নামাজে সুরা ফালাক বা সুরা  নাস পরেছিলাম না নাকি আমার সঠিক মনে নেই।   হুজুর এ সন্দেহের কারনে   বা নামাজে এ সন্দেহের কারনে সুরা ফালাক বা সুরা নাস না পরলে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

২. মাঝে অইরকম মনে হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীসময়ে আমি নামাজে  সুরা ফালাক বা  সুরা নাস পরি। সুরা ফালাক বা সুরা নাসের যে আমলগুলো আছে সেগুলো করার চেষ্টা করি।   হুজুর আমি ঈমান ভংগের কারন জানার আগে থেকেই সুরা ফালাক বা সুরা  নাস পরতাম। এবং আমল করতাম। হুজুর ঈমান ভংগের কারন জানার পর আমার এই কথাটা মনে পরেছে। হুজুর আমি বিবাহিত। সুরা ফালাক বা নাস নিয়ে এ সন্দেহের কারনে বা সন্দেহের কারনে নামাজে যদি না পড়ি  তাহলে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? বিবাহের কোন সমস্যা হবে? আর এটা কি অজ্ঞতার মধ্যে পরে।

৩.হুজুর ঈমান ভংগের কারন জানার পরও কেউ যদি কাউকে জিজ্ঞেস করে যে,  সুরা ফালাক বা সুরা নাস নাকি কুরআন শরীফের আয়াত নয়। এই প্রশ্ন করার দারা ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৪. হুজুর আমি একটা পাপ থেকে তওবা   করার সময় মনে মনে বলি যে অই পাপ আমি আর করব না। কিন্তু  তারপর পর বলি যে আল্লাহ যেন অই পাপ আর না করায়। তারপর বলি ইনশাআল্লাহ অই পাপ আর করব না। (আস্তাগফিরুল্লাহ)। এ কথা বলার পর আমার মনে হয় যে,  এগুলো কথা বলা যাবে না। এগুলো তো কুফরি কথা।    কারন আল্লাহ তায়ালা তো পাপ করতে নিষেধ করছেন।  হুজুর আমি সাথে সাথেই ইস্তিগফার পড়ি।       একটি ভিডিও তে আমি দেখেছিলাম যে,  আমারা অনেকেই বলে থাকি যে,  আল্লাহর হুকুমে গাছের  এক্টি পাতাও নড়েনা। এ কথা টি ভুল। এটি কুফরি কথা। কথাটি হবে আল্লাহর  বিনা ইচ্ছায় গাছের এক্টি পাতাও নড়ে না। হুজুর আমার এ কথা বলার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইবনে মাসউদ রাযি থেকে যে বর্ণনা পাওয়া যায়, যে তিনি না কি সূরা নাস এবং সূরায়ে ফালাককে কুরআনের অংশ হিসেবে মনে করতেন না।এটা বিশুদ্ধ নয়। বরং এটাই বিশুদ্ধ যে, তিনিও এই দুনু সূরাকে কুরআনের অংশ মনে করতে।

قال ابن حزم في المحلى :  كل ما روي عن ابن مسعود أن المعوذتين وأم القرآن لم تكن في مصحفه فكذب موضوع لا يصح، وإنما صحت عنه قراءة عاصم عن زر بن حبيش عن ابن مسعود ، وفيها أم القرآن والمعوذتان. انتهى.
وقد جنح ابن حجر في الفتح والزرقاني في مناهل العرفان لثبوت ذلك عن ابن مسعود وقال إنه يحتمل التأويل بأنه قال ذلك قبل ثبوت قرآنيتهما عنده، فلما ثبت ذلك عنده وافق جمهور الصحب فيهما وكان يقرئ بهما.

قال الزرقاني في مناهل العرفان في علوم القرآن: يحتمل أن إنكار ابن مسعود لقرآنية المعوذتين والفاتحة على فرض صحته كان قبل علمه بذلك، فلما تبين له قرآنيتهما بعد تم التواتر وانعقد الإجماع على قرآنيتهما كان في مقدمة من آمن بأنهما من القرآن. قال بعضهم: يحتمل أن ابن مسعود لم يسمع المعوذتين من النبي صلى الله عليه وسلم ولم تتواترا عنده فتوقف في أمرهما. وإنما لم ينكر ذلك عليه لأنه كان بصدد البحث والنظر والواجب عليه التثبت في هذا الأمر. اهـ. قال الزرقاني : ولعل هذا الجواب هو الذي تستريح إليه النفس لأن قراءة عاصم عن ابن مسعود ثبت فيها المعوذتان والفاتحة وهي صحيحة ونقلها عن ابن مسعود صحيح، وكذلك إنكار ابن مسعود للمعوذتين جاء من طريق صححه ابن حجر. إذا فليحمل هذا الإنكار على أولى حالات ابن مسعود جمعا بين الروايتين. اهـ


قال الشوكاني في التحفة: وقد كان عبد الله بن مسعود رضي الله عنه لا يثبت هاتين السورتين في مصحفه كما روى عبد الله بن أحمد في مسنده، والطبراني عن عبد الرحمن بن يزيد يعني النخعي قال: كان عبد الله بن مسعود يحك المعوذتين من مصاحفه ويقول إنهما ليستا من كتاب الله تعالى. ورجال إسناد عبد الله بن أحمد رجال الصحيح، ورجال إسناد الطبراني ثقات. وهكذا أخرج البزار في مسنده أن ابن مسعود كان يحك المعوذتين من المصحف ويقول إنما أمر النبي صلى الله عليه وسلم أن يتعوذ بهما وكان عبد الله لا يقرأ بهما. ورجال إسناده ثقات. وهكذا أخرج الطبراني بإسناد رجاله ثقات قال البزار: لم يتابع عبد الله بن مسعود أحد من الصحاب، وقد صح عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قرأ بهما في الصلاة وأثبتتا في المصحف. انتهى.


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সুতরাং এই আলোকে আপনার প্রশ্নের জবাব বুঝে নিতে পারবেন।প্রয়োজনে কমেন্ট করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (28 points)
হুজুর আমি সুরা ফালাক বা সুরা নাস তো পড়ি।  কিন্তু আমার বন্ধু ওভাবে বলার কারনে আমার মনে সন্দেহ জেগেছিল যে সুরা ফালাক বা সুরা নাস দিয়ে নামাজ পরলে নামাজ আবার হবে না নাকি। হুজুর পরবর্তীতে আমি সুরা ফালাক বা সুরা নাস নামাজে পরি। সেগুলোর আমলও করার চেষ্টা করি।     কিন্তু এ সন্দেহের কারনে বা সন্দেহের কারনে নামাজে সুরা ফালাক বা সুরা নাস না পরলে কি ঈমানের কোন সমস্যা   হবে?  হুজুর আমি বিবাহিত। বিবাহের কোন সমস্যা হবে কি?                                                              

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...