জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ফজরের সুন্নত কোন কারণে পড়তে না পারলে তার কাযা আদায় করবে সুর্য উদিত হবার পর। আগে আদায় করা জায়েজ নয়।
ফজরের ফরয পড়ার পর সূর্য উদিত হয়ে কিছুটা উঁচু হওয়া পর্যন্ত কোন নামায পড়তে রাসূল সাঃ নিষেধ করেছেন। তাই সে সময় নামায পড়া যাবে না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ حَفْصَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ لاَ يُصَلِّى إِلاَّ رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ وفى رواية إلا ركعتي الفجر
অনুবাদ-হযরত হাফসা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ফজর উদিত হবার পর ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত ছাড়া অন্য কোন নামায পড়তেন না।
{সহীহ মুসলিম হাদীস নং-১৭১১,সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-১৫৮৭,মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৪২২৫,সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৪২২৭,সুনানে বায়হাকী,হাদীস নং-৯৭৯,আল মু’জামুল কাবীর হাদীস নং-৩৮৫}
فى صحيح البخارى– أبا سعيد الخدري يقول : سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول لا صلاة بعد الصبح حتى ترتفع الشمس ولا صلاة بعد العصر حتى تغيب الشمس ( صحيح البخارى- كتاب مواقيت الصلاة، باب لا يتحرى الصلاة قبل غروب الشمس، رقم-1139)
অনুবাদ-হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ বলেন-আমি নবীজি সাঃ কে বলতে শুনেছি যে, ফজরের নামাযের পর সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত কোন নামায নেই, এবং আসরের পর সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত কোন নামায নেই। (সহীহ বুখারী-১/৮২, হাদীস নং-১১৩৯)
وفى صحيح المسلم- قال عمرو بن عبسة السلمى ………… فقلت يا نبى الله……أخبرنى عن الصلاة قال « صل صلاة الصبح ثم أقصر عن الصلاة حتى تطلع الشمس حتى ترتفع فإنها تطلع حين تطلع بين قرنى شيطان وحينئذ يسجد لها الكفار (صحيح مسلم- صلاة المسافربن، باب إسلام عمرو بن عبسة،رقم-1967)
অনুবাদ-আমর বিন আবাসা আস সুলামী রাঃ বলেন-আমি বললাম-হে আল্লাহর নবী! আপনি আমাকে নামায সম্পর্কে শিক্ষা দিন, রাসুলুল্লাহ সাঃ বললেন-ফজরের নামায আদায় করবে। তারপর সূর্য পূর্বাকাশে উঁচু হওয়া পর্যন্ত নামায পড়া থেকে বিরত থাকবে। কেননা সূর্য শয়তানের দুই শিংয়ের মধ্যখানে উদিত হয়, এবং সে সময় কাফেররা সূর্যকে সিজদা করে। (সহীহ মুসলিম-১/২৭৬, হাদীস নং-১৯৬৭)
★★ফজরের সুন্নত কোন কারণে পড়তে না পারলে তার কাযা সুর্য উদিত হবার পর আদায় করতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
فى موطا مالك- وحدثني عن مالك أنه بلغه أن عبدالله بن
عمرفاتته ركعتاالفجرفقضاهمابعدأنطلعت الشمس( موطا مالك النداءللصلاة،باب ماجاءفي ركعتي الفجر،رقم-422
অনুবাদ-হযরত ইমাম মালেক রহ: বলেন, আমি জেনেছি যে, আবদুল্লাহ বিন ওমর রা: এর ফজরের দুই রাকাআত ছুটে গিয়েছিল। তিনি তা সূর্যোদয়ের পর আদায় করেন। (মুয়াত্তা মালিক-৪৫)
وفى جامع الترمذى- عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من لم يصل ركعتي الفجرفليصلهمابعدماتطلع الشمس (جامع الترمذى-أبواب الصلاةعن رسول الله صلى الله عليه وسلم، باب ماجاءفي إعادتهمابعدطلوع الشمس،رقم-423)
অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেন-যে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত (সময়মতো) পড়ল না সে যেন সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করে। ( জামে তিরমিজী-১/৯৬)
ولم تقض سنة الفجر إلا بفوتہا مع الفرض إلی الزوال (حاشیة الطحطاوي علی المراقي: ۴۵۳)
সারমর্মঃ-
ফজরের সুন্নাতের কাজা আদায় করতে হবেনা,কিন্তু ফজরের ফরজের সাথেই যদি তাহা ছুটে যায়,সেক্ষেত্রে সূর্য ঢলে যাওয়ার আগেই তার কাজা আদায় করা যাবে।
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত আলেমদের অভিমত ছহীহ।
{তবে কিছু ওলামায়ে কিরামদের মত হলো -ফজরের সুন্নতের কাযা সূর্যোদয়ের আগে পড়া জায়েজ।
তারা বলেন যে ফরয নামায আদায় করার পরপর সুন্নতের কাযা আদায় করে নিতে হবে।
তাদের অনুসারীগন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।}
আরো জানুন