আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (49 points)
edited by
১. সিগারেট, পান, সুপারি এগুলো খাওয়া কি হারাম না মাকরুহ?

২. হাদীসে বাদ্যযন্ত্র হারাম বলা আছে। কিন্তু অন্য এক হাদীসে ঢোলের মত একটি যন্ত্র সম্ভবত দফ বলে ওটা ঈদ উপলক্ষে নবীজী (স) অনুমতি দেন। ওটাকে অনেকে জায়েজ বলে। হানাফী মাযহাব এর মত এক্ষেত্রে কি?

৩. হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে পরে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত আল্লাহর দায়িত্বে থাকে। এখানে আল্লাহর দায়িত্ব দিয়ে কি বুঝানো হয়েছে?

৪. আচ্ছা নামাজে থাকা অবস্থায় ঘরে যদি কেউ আসে, আর কেউ না থাকে দরজা খুলতে, তবে নামাজ থেকে উঠে দরজা খুলার পর কি আবার যেখান থেকে দরজা খুলতে গিয়েছিলাম, সেখান থেকে নামাজ শুরু করা যাবে? নাকি নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে, আবার নতুন করে পড়তে হবে?

৫. ইসলাম শিক্ষায় ক্লাস ৩,৪ এ সূরার  বাংলা উচ্চারণ বইয়ে দেয়া আছে। উচ্চারণ গুলো পরীক্ষায় লেখতে দেয়। এই উচ্চারণ গুলো মুখস্থ করতে হয়। এখন এই উচ্চারণ গুলো তো শিখে আসলে না দুনিয়ার কোন লাভ হবে না আখিরাতে। উচ্চারণ শিখে তো নামাজে সহিহ উচ্চারণ করতে পারবে না। তাই আমি আমার ছাত্রকে বলেছিলাম, এই উচ্চারণ এভাবে লেখতে না দিয়ে স্যারকে মুখে পড়া দিলে ভালো হয়।
তখন বলি শুধুমাত্র পরীক্ষার জন্য এই " হাবিজাবি " মুখস্থ করতে হবে। এখন এই ক্ষেত্রে কুরআনের বাংলা উচ্চারণ কে 'হাবিজাবি' বলার জন্য ইমানের ক্ষতি হবে?

আসলে আমার নিয়ত কুরআনকে ছোট করা ছিল না কখনোই, এই বাংলা উচ্চারণ গুলো মুখস্থ করে কোন উপকার আসে না তাই বলেছিলাম

1 Answer

0 votes
by (713,640 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
শারিরিক ক্ষতিকর জিনিষ খাওয়া হারাম।দুর্গন্ধযুক্ত জিনিষ আহার করা মাকরুহে তানযিহি।হাদীসে বর্ণিত নিষিদ্ধ সুকর বা নেশার অর্থ হচ্ছে এমন জিনিষ যা খেলে ব্রেইন আউট বা স্বৃথী শক্তিতে পরিবর্তন ঘটে।শারিরিক ক্ষতি হবে না সেই পরিমাণ পান চুন-জর্দা সহ খাওয়ার অনুমতি রয়েছে।তবে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করা কতইনা উত্তম।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৮/৩৮০-৪০৮)
পান জর্দা সম্পর্কে আপনি যা লিখেছেন।এসবের মূলকথা হল,যা ফুকাহায়ে কেরাম বলে থাকেন।

সিগারেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/10970

(২)
দফ যার একদিন খোলা থাকবে, বর্তমান ঢোলের মত নয়, সেটা অনুমোদিত রয়েছে।

(৩)
এরকম কোনো হাদীস আমাদের জানা নেই।

(৪)
নামায সমাপ্ত করেই দরজা খুলবেন। হ্যা নফল নামায হলে, নামায ভঙ্গ করে খোলার রুখসত রয়েছে। পরবর্তীতে নতুনভাবে উক্ত নামাযকে পড়তে হবে।

(৫)
না, ঈমানের কোনো ক্ষতি হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (49 points)
জাযাকাল্লাহু খইরান
৩ নম্বর প্রশ্নের হাদীসটি "ফাজায়েল ও রাজায়েল আমল - আব্দুল হামিদ ফাইজী" এই বই থেকে পেয়েছি। ওইখানে হাদিসের রেফারন্স দেয়া - মুসলিম ৬৫৭, সহীহুল জামে ৬৩৪৩, তিরমিযী, ত্বাবারানি 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...