আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
১.স্বামী সরকারি চাকরি করার কারণে বিয়ের পর ডকুমেন্ট হিসেবে বিয়ের কাবিননামা চাকরিতে জমা দিতে হয়।বিয়ের সময় কাবিনামায়।স্বামী তার স্ত্রীকে কোনো তালাকের অধিকার দেয়নি তবে যখন চাকরিতে কাবিননামা জমা দেন তখন তখন তারা বল ১৮ নং কলামে অধিকার দিতে হবে।নতুবা কবিন গ্রহনযোগ্য হবে না আর কাবিন গ্রহণযোগ্য না হলে বিয়ে পরবর্তী কোনো সুযোগ সুবিধা পাবেনা তাই একান্ত বাধ্য হয়ে তালাকের অধিকার দেয়ার অনিচ্ছা সত্ত্বেও ১৮ নং কলামে হ্যা লেখেন।তবে পরে অবশ্য বলেছেন যে তিনি তার স্ত্রীকে কোনো তালাকের অধিকার দেয়নি।তিনি সালাফদের অনুসরণ করেন (তবে স্ত্রী হানাফি)তাই তাদের থেকে ফতোয়া নেন তারা বলেন যে এতে অধিকার দেয়া হবে না কারণ এটা তিনি বাধ্য হয়ে দিয়েছে। স্ত্রী অধিকার পাবেননা।

বিবরণমতে উক্ত স্ত্রী কি তালাকের অধিকার পাবে??পেলেও কয় তালাকের অধিকার পাবে??যদিও স্বামী অধিকার দিতে চায়নি আর পরে বলেছেন যে তিনি কোনো অধিকার দেননি স্ত্রীকে বাধ্য হয়ে হ্যাহ্যা লিখছেন।

২.মনে করেন কোনো মহিলা তালাকের অধিকার পেয়েছে।কিন্তু সে প্রায় সময় তালাক নিয়ে চিন্তায় থাকে।দৈনন্দিন জীবনে যে সব কথা বলতে হয় সে গুলো অন্য প্রসঙ্গে বলতে গেলেও তালাকের নিয়তের কথা স্মরণ হয়।যেমনঃকোনো প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বললো ওটাতো শেষ আমিও শেষ,আবার কোনো দ্বীনি কোনো বৈঠকের ব্যাপারে কাউকে বৈঠক উল্লেখ না করে বা উল্লেখ করে শুধু বললো "আসরের পর শেষ হয়ে যাবে,আবার কোথাও যাওয়ার ক্ষেত্রে পযাপ্ত সু্যোগ থাকায় বললো আমি স্বাধীন ইত্যাদি ইত্যাদি" এগুলো বলার সময় তার মনে তালাকের নিয়ত চলে আসে না চাইতেও এগুলো বলার কারণে কি তালাক হবে??

৩. আমি শেষ,আমি স্বাধীন ইত্যাদি ধরনের কথা শুনলে বা বললেই তার মনে তালাকের নিয়ত চলে আসে সে কি করবে এখন??তার কি তালাক হয়ে যাবে?? এরকম হলে তো সে কোনো সংসারই করতে পারবেনা

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/10943 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
বিশিষ্ট সৌদি আলেম শায়েখ আব্দুর রহমান বিন নাসির বর্রাক বলেন
ﺇﺫﺍ ﺍﺧﺘﻠﻒ ﺍﻟﺰﻭﺟﺎﻥ ﻓﻲ ﻣﺴﺄﻟﺔ ﻣﻤﺎ ﺍﺧﺘﻠﻒ ﻓﻴﻪ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻌﻠﻢ ، ﻓﺈﻣﺎ ﺃﻥ ﺗﺘﻌﻠﻖ ﺑﻬﻤﺎ ﺃﻭ ﺑﺄﺣﺪﻫﻤﺎ، ﻓﻤﺎ ﻛﺎﻥ ﻣﻦ ﺣﻖ ﺍﻟﺰﻭﺝ ﻛﺎﻟﻄﻼﻕ ﻭﺍﻟﺮﺟﻌﺔ ﻓﺎﻟﻘﻮﻝ ﻗﻮﻟﻪ، ﻭﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﻣﻦ ﺣﻘﻬﺎ ﻛﺎﻟﺤﺠﺎﺏ ﻭﺍﻟﺰﻳﻨﺔ ﻓﺎﻟﻘﻮﻝ ﻗﻮﻟﻬﺎ ﺇﻻ ﺃﻥ ﺗﺮﻯ ﻋﺪﻡ ﺍﻟﻮﺟﻮﺏ ﻓﻠﻪ ﻣﻨﻌﻬﺎ ﻟﺤﻘﻪ، ﻭﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﻣﻦ ﺣﻘﻬﻤﺎ ﻣﻌﺎ ﻛﺎﻹﻧﺠﺎﺏ ﻓﻼﺑﺪ ﻣﻦ ﺍﺗﻔﺎﻗﻬﻤﺎ ﻋﻠﻰ ﺗﻨﻈﻴﻤﻪ .

মর্মার্থ - স্বামী স্ত্রী পরস্পরের মাযহাব ভিন্ন হলে, তালাক রাজ'আতের ক্ষেত্রে স্বামীর স্বার্থই বিবেচিত হবে।আর হেজাব ইত্যাদির ক্ষেত্রে স্ত্রীর স্বার্থকে গ্রহণ করা হবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি প্রায় এক বৎসর ধরে একাধিক আইডি থেকে এই একই প্রশ্ন ঘুড়িয়ে পেছিয়ে করছেন। অনেকবার আমার সাথে ফোনেও আলাপ করেছেন। কিন্তু আফসোসের বিষয় সর্বদিক থেকে আপনাকে বুঝাতে অক্ষম হই।এটা আমাদের নিজেদেরই দুর্বলতা।
আপনাকে কিভাবে বুঝাই, সেটা নিয়ে আমরা পেরেশান।কিভাবে বললে যে, আপনি বুঝবেন, সে সম্পর্কে আপনিই দয়াকরে আমাকে সাজেষ্ট করবেন।

(১)
স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না।

(২)
এ সমস্ত চিন্তাকে মহিলা কোনো পাত্তাই দিবেনা।কেননা এগুলো দ্বারা কোনো তালাক হবে না।

(৩)
তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...