আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
281 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল।এর উত্তর দিলে উপকৃত হব।

১.হযরত খিজির আঃ কি নবী ছিলেন?

২.বর্তমানে দ্বীনে ফেরা অনেক ভাই ও বোনেরা বিয়ের ফ্যান্টাসিতে ভোগেন,অনেকে বিয়ে নিয়ে অণুগল্প ও কবিতা লিখেন, এগুলো কি জায়েয?

৩.মুখের জড়তা দূর করার কোন আমল আছে?

৪.হাদিসে বিভিন্ন জিকিরের কথা বলা হয়েছে।যেমন সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার,১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহ।এসব জিকিরের মাঝে অন্য জিকির করা বা কারো সাথে কথা বলা যাবে?

৫.যদি আমি কোন বন্ধুর নাম দুষ্টুমি করার জন্য বিকৃতি করি (যেমন রাকিব্বা,আবিররা) এই কাজটি কি জায়েয হবে?

৬.শায়খ আহমাদুল্লাহ হুজুর কি হকপন্থী?

৭. গায়রত বলতে কি বুঝায়?

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

(০১)
খিযির আ. অলি না নবী; এব্যপারে ওলামায়ে কেরামের মাঝে মতপার্থক্য আছে। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত মত হল, তিনি নবী ছিলেন। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হযরত খিজির আঃ সম্পর্কে জানা কোন জরুরী বিষয় নয়। এসব বিষয় সম্পর্কে অতিরিক্ত খুঁজাখুঁজি করা নিষ্প্রয়োজন।

তার সম্পর্কে অনেক  কথাই প্রচলিত আছে। বাকি বিশুদ্ধতম কথা হল, তিনি একজন নবী ছিলেন। 

قال العلامة القرطبى : تحت قوله تعالى (وعلمناه من لدنا علما) والآية تشهد بنبوته لأن بواطن أفعاله لا تكون إلا بوحي.وأيضا فان الإنسان لا يتعلم ولا يتبع إلا من فوقه ، وليس يجوز أن يكون فوق النبي من ليس نبي.  الجامع لأحكام القرآن . 11 : 16
সারমর্মঃ
وعلمناه من لدنا علما এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা কুরতুবি রহঃ বলেন, আয়াতটি তার নবুয়ত প্রাপ্তির পক্ষে সাক্ষী দেয়।

(০২)
অশ্লীল কিছু না হলে ও যৌন উত্তেজনা মূলক কথা না হলে লেখা যাবে।

(০৩)
https://ifatwa.info/13780/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
এই দোয়া পাঠ করবেনঃ

رَبّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي، وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي، وَاحْلُلْ عُقْدَةً مّن لّسَانِي، يَفْقَهُوا قَوْلِي

হে আমার পালনকর্তা আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন।
এবং আমার কাজ সহজ করে দিন।
এবং আমার জিহবা থেকে জড়তা দূর করে দিন।
যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।

নিয়মিত এই দোয়াটি পাঠ করলে, ইনশাআল্লাহ মুখের জড়তা দূর হবে।
,
বৈধ রুকইয়ার মাধ্যমে পয়সা,চাটকি ইত্যাদি পড়িয়ে সেটি জিহবায় নিয়মিত রেখে দিতে পারেন।

(০৪)
এসব জিকিরের মাঝে অন্য জিকির করা বা কারো সাথে কথা বলা যাবে।

(০৫)
নাম বিকৃত করা জায়েজ নেই।
,
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এতে ঐ ব্যাক্তি এভাবে ডাকার অনুমতি দিলে এবং কোনো কষ্ট না পেলে এভাবে ডাকার অনুমতি উলামায়ে কেরাম দিয়েছেন।

(০৬)
জী,তিনি হকপন্থী।

এ সংক্রান্ত আরো জানুনঃ

(০৭)
আত্মসম্মানবোধ।  মর্যাদাবোধ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...