আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
223 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (68 points)
edited by
মুফতি সাহেব আমার অশান্তি দূর করতে প্লিজ সাহায্য করুন, বড় টেনশনে,অশান্তিতে থাকি,কিচ্ছু ভালো লাগে না...
১. মাঝেমধ্যে লোকজন কারো কাজে বিরক্তি প্রকাশ করে বিভিন্ন কোরআন বিরোধী কথা বলে,  যেমনঃ তোমার জন্য তো প্রেম ভালোবাসা হালাল হয়ে গেছে, তোমার জন্য নামাজ তো মাফ, তোমার জন্য তো হালাল হারাম নাই, বিয়ে ঠিক হওয়ায় তোমাদের সব বৈধ হয়ে গেছে।৷  এই টইপের কথার জন্য কি কাওকে কাফের বলা যায়?

২.কেও যদি রাগের মাথায় তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পরে বুঝতে পেরে সাথে সাথেই বাক্যের সাথে না যুক্ত করে দেয় বা অন্য শব্দ যুক্ত করে কথা ঘুরিয়ে ফেলে তবে কি তালাক পতিত হবে?

৩.ম্যাসেজে যদি বউ জামাইকে বলে যে তুমি অন্য কেও খোজো আর জামাই যদি বলে ঠিকাছ/খুজছি। তাহলে কি সমস্যা হয়?

৪. কখনো মুখ দিয়ে কুফরি কথা বের হয়ে গেলে খেয়াল হওয়ার৷ পরপর ভিন্ন কথা যুক্ত করে বাক্য বদলে দিে কি কুফরী হবে? যেমনঃ "সুদ হালাল "বলার পর কারো খেয়াল হলো যে ভুল করছে যে যুক্ত করলো যে " এমন টা তো না" এতে কি কাফের হবে?

৫.কুফর এর বিষয়ে অনেক ওসওয়াসায় পরেছি ছোট খাটো বিষয ও কুফরি হলো কি না তা নিয়ে চিন্তায় পরে যাই, যেমন গত কাল আমার স্ত্রী বলছে, কোরআনে আল্লাহ কাফেরদের কথা যাচাই না করে বিশ্বাস করতে নিষেধ করেছেন। আমি খোজে দেখলাম ওই আয়াতে কাফের না বরং ফাসেক লেখা তাকে দেখানোর পর বললো সে কাফের আর ফাসেক একই ভাবতো,এটা কি কুফর হবে?  এটা নিয়েও গতকাল অনেক ভেবেছি..

৬.আমি কি করবো বুঝে পাচ্ছি না প্রতিদিন বিভিন্ন কথা বললেই ভয় হ কুফর হলো কি না,আমাকে কি কোনো মুলনীতি বলা যায় যাতে নিজেই বিষয়টা বুঝতে পারি  কুফর কি না,সারাদিন অনেক চিন্তায় থাকি, নামজেও মনযোগ আসে না।

৭.মনে বিশ্বাস রেখে কোরআন বিরুধী কথা মুখে আনলে সে।কি কাফের হবে?

৮.আমি পুরাতন ম্যাসেজ খোজতে গিয়ে দেখলাম আমি আমার বউকে একদিব বলেছিলাম "আমারে ভালা না লাগলে মাতার দরকার নাই,তোমার পছন মতো মন মতো কেও খুজো" এই কথা তালাকের নিয়তে বলেছি বলে মনে হচ্ছে না। যতোদূর মনে পরছে এমনিই বলেছি,এখন তো ওসওয়াসায় পরে সন্দেহে আছি,এই কথার জন্য বিবাহের কি রায়?

আমাকে এই ওসওয়াসর হাত থেকে বাচঁতে সাহায্য করুন...

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করা হয়নি,তাই এতে ঈমান চলে যাবেনা।

(০২)
এখানে মাঝে সে কতটুকু বিরতি নিয়েছিলো এবং পুরো শব্দ কি বলেছিলো,সেটির উপর ভিত্তি করে বিধান হবে।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে সমস্যা হবেনা।

(০৪)
সে যদি এটা জানে যে এই বাক্য বললে ব্যাক্তি কাফের হয়ে যায়,তারপরেও জানা সত্ত্বেও এভাবে মুখ দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত বাক্য বলে,তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।

(০৫)
এটা কুফর হবেনা।

(০৬)
আপনি এগুলো নিয়ে ভাববেনইনা।
তাহলেই সমস্যার সমাধান হবে।

নতুবা সমস্যা বাড়বে।

মূলনীতি উপরে উল্লেখ রয়েছে।

আরো জানুনঃ- 

(০৭)
ইচ্ছাকৃতভাবে জেনে শুনে বললে কাফের হবে।

(০৮)
আপনি যেহেতু তালাকের নিয়তে বলেননি,তাই তালাক হবেনা।

সন্দেহে থাকলেও তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...