মুফতি সাহেব আমার অশান্তি দূর করতে প্লিজ সাহায্য করুন, বড় টেনশনে,অশান্তিতে থাকি,কিচ্ছু ভালো লাগে না...
১. মাঝেমধ্যে লোকজন কারো কাজে বিরক্তি প্রকাশ করে বিভিন্ন কোরআন বিরোধী কথা বলে, যেমনঃ তোমার জন্য তো প্রেম ভালোবাসা হালাল হয়ে গেছে, তোমার জন্য নামাজ তো মাফ, তোমার জন্য তো হালাল হারাম নাই, বিয়ে ঠিক হওয়ায় তোমাদের সব বৈধ হয়ে গেছে।৷ এই টইপের কথার জন্য কি কাওকে কাফের বলা যায়?
২.কেও যদি রাগের মাথায় তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পরে বুঝতে পেরে সাথে সাথেই বাক্যের সাথে না যুক্ত করে দেয় বা অন্য শব্দ যুক্ত করে কথা ঘুরিয়ে ফেলে তবে কি তালাক পতিত হবে?
৩.ম্যাসেজে যদি বউ জামাইকে বলে যে তুমি অন্য কেও খোজো আর জামাই যদি বলে ঠিকাছ/খুজছি। তাহলে কি সমস্যা হয়?
৪. কখনো মুখ দিয়ে কুফরি কথা বের হয়ে গেলে খেয়াল হওয়ার৷ পরপর ভিন্ন কথা যুক্ত করে বাক্য বদলে দিে কি কুফরী হবে? যেমনঃ "সুদ হালাল "বলার পর কারো খেয়াল হলো যে ভুল করছে যে যুক্ত করলো যে " এমন টা তো না" এতে কি কাফের হবে?
৫.কুফর এর বিষয়ে অনেক ওসওয়াসায় পরেছি ছোট খাটো বিষয ও কুফরি হলো কি না তা নিয়ে চিন্তায় পরে যাই, যেমন গত কাল আমার স্ত্রী বলছে, কোরআনে আল্লাহ কাফেরদের কথা যাচাই না করে বিশ্বাস করতে নিষেধ করেছেন। আমি খোজে দেখলাম ওই আয়াতে কাফের না বরং ফাসেক লেখা তাকে দেখানোর পর বললো সে কাফের আর ফাসেক একই ভাবতো,এটা কি কুফর হবে? এটা নিয়েও গতকাল অনেক ভেবেছি..
৬.আমি কি করবো বুঝে পাচ্ছি না প্রতিদিন বিভিন্ন কথা বললেই ভয় হ কুফর হলো কি না,আমাকে কি কোনো মুলনীতি বলা যায় যাতে নিজেই বিষয়টা বুঝতে পারি কুফর কি না,সারাদিন অনেক চিন্তায় থাকি, নামজেও মনযোগ আসে না।
৭.মনে বিশ্বাস রেখে কোরআন বিরুধী কথা মুখে আনলে সে।কি কাফের হবে?
৮.আমি পুরাতন ম্যাসেজ খোজতে গিয়ে দেখলাম আমি আমার বউকে একদিব বলেছিলাম "আমারে ভালা না লাগলে মাতার দরকার নাই,তোমার পছন মতো মন মতো কেও খুজো" এই কথা তালাকের নিয়তে বলেছি বলে মনে হচ্ছে না। যতোদূর মনে পরছে এমনিই বলেছি,এখন তো ওসওয়াসায় পরে সন্দেহে আছি,এই কথার জন্য বিবাহের কি রায়?
আমাকে এই ওসওয়াসর হাত থেকে বাচঁতে সাহায্য করুন...