আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
261 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
closed by
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ।।

আমার স্ত্রীর বয়স ১৪ বছর।তাকে আমি সবসময় বুঝায় যে আমাদের বাড়িতে যা হবে তা অন্যকে বলা যাবেনা।
বিশেষ করে আমাদের শত্রুর কাছে আমাদের বাড়ির সব কথা বলে।আমি তাকে বারবার বুঝায় ওদের (আমাদের শত্রুর) সাথে কখনো কথা বলবা না বা আমাদের বাড়িতে যা হবে তা কখনো তাদের বলবে না।

(বি.দ্র. আমাদের শত্রু আমার স্ত্রীর আপন মামি ও তার মামির মা।এরা এইরূপ মানুষ যে আমার সাথে আমার স্ত্রীর সংসার নষ্ট করার পরিকল্পনা করতেছে।কিন্তু আমি আমার স্ত্রীকে কোনভাবেই ছাড়তে চাইনা।আর এরা খুবই ভয়ংকর)

প্রিয় শায়েখ,
এখন আমার প্রশ্ন হলো,
(১) আমার স্ত্রীকে কিভাবে আমি বুঝাতে পারি তাদের কাছে কোন কিছু না বলতে বা তাদের সাথে মিশতে?
(২) অনেক বুঝানোর পর যদি আমার স্ত্রী  তাদের কথা মতো চলে তাহলে এক্ষেত্রে আমি কি করব?
(৩) এদের শয়তানি পরিকল্পনা থেকে কিভাবে আমি আমার সংসার রক্ষা করতে পারি?
closed

1 Answer

+1 vote
by (675,600 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,

الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاء بِمَا فَضَّلَ اللّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنفَقُواْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللّهُ وَاللاَّتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلاَ تَبْغُواْ عَلَيْهِنَّ سَبِيلاً إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيًّا كَبِيرًا

‘পুরুষেরা নারীদের ওপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের ওপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীরা হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাজতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাজত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোনো পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার ওপর শ্রেষ্ঠ।’ (সূরা: নিসা , আয়াত: ৩৪)।

হজরত ওয়াহিদী (রহ.) বলেছেন, আয়াতে বর্ণিত-‘নূশুয’ শব্দের অর্থ হলো স্বামীর অবাধ্য হওয়া এবং তার কথা না মানা।

হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘শয়তান পানির ওপর তার সিংহাসন স্থাপন করে, তারপর (সারা দুনিয়াব্যাপী) তার বাহিনী পাঠিয়ে দেয়। আর (ওই শয়তান) সবচেয়ে বেশি নৈকট্যপ্রাপ্ত, যে (মানুষের মাঝে) সবচেয়ে বেশি ফেতনা সৃষ্টি করে। শয়তান সিংহাসনে বসে সবার ঘটানো ফেতনার বর্ণনা শোনে।
একজন এসে বলে আমি অমুক কাজ করেছি, শয়তান বলে তুমি তেমন কোনো কাজ করনি। এভাবে শয়তান তার পাঠানো অন্যদের (শয়তানের) মন্দ কাজের বিবরণ শুনতে থাকে। অতপর একজন এসে বলে- ‘আমি অমুকের সঙ্গে ধোঁকার আচরণ করেছি, এমনকি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছি। এ (ফেতনার) কথা শুনে শয়তান তাকে তার কাছাকাছি (বুকে) টেনে নেয়। আর বলে তুমিই বড় কাজ করেছ। হাদিস বর্ণনাকারী আমাশ বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছেন, অতপর শয়তান তাকে তার বুকের সঙ্গে জড়িয়ে নেয়।’ (মুসলিম)


عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمَرْأَةُ إِذَا صَلَّتْ خَمْسَهَا وَصَامَتْ شَهْرَهَا وَأَحْصَنَتْ فَرْجَهَا وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا فَلْتَدْخُلْ مِنْ أَيِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ»

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মহিলা যদি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে, রমাযানের সিয়াম পালন করে, গুপ্তাঙ্গের হিফাযাত করে, স্বামীর একান্ত অনুগত হয়। তার জন্য জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশের সুযোগ থাকবে।
(মিশকাত ৩২৫৪)
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(১.২)
আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে, নারীরা তুলনামূলকভাবে কম বুদ্ধিমান ও আবেগপ্রবণও হয়, তাদের অনেক কিছু উপেক্ষা করতে হয়।

আপনি আপনার সাধ্যানুযায়ী আপনার স্ত্রীকে বুঝান।  সে না মানলেও আপনি আপনার চেষ্টা বন্ধ করবেন না। আপনার কথা না মানলে যার কথা আপনার স্ত্রী মানে তার মাধ্যমে তাকে বুঝান।

বিষয়টি আপনার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হলে 
প্রয়োজনে আপনি তার অভিভাবকদের মাধ্যমে বুঝান।
তাতেও কাজ না হলে ও বেশি সমস্যাকর বলে মনে হলে তাকে কিছুদিন বাবার বাসায় রেখে আসতে পারেন।

এতে কাজ হবে,ইনশাআল্লাহ। 

(০৩)
আপনি আর আপনার স্ত্রী ঠিক থাকলে তারা কিছুই করতে পারবেনা।

তাই সেদিকে নজর না দিয়ে সংসারে মনোযোগী হোন,স্ত্রীকে মুহাব্বত করুন,স্ত্রীর অন্তরে আপনার প্রতি সত্যিকার অর্থের মুহাব্বত জাগিয়ে তুলুন।
আল্লাহর কাছে দোয়া চালিয়ে যান।

ইনশাআল্লাহ তাদের কোনো কিছুই কাজে আসবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...