আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামুয়ালাইকুম। আমি পালিয়ে বিয়ে করেছি। আমার  husband আমার সমবয়সী। আমার বিয়ে হুজুর দিয়ে পরান হয়েছে।  আমার মা বাবা রাজি ছিল না। পরবর্তী রাজি হন।  আমার  মহরানা ধার্য করা হই ৫ লাখ। আমার husband এখন tuition করাই।এখন উনার মহরানা দেওয়ার সামর্থ টুকু নাই।  উনি আমাকেই ওয়াদা দিয়েসে উনি যখন চাকরি করবে তখন আমার মহরানা আদায় করবে। এখন আমরা  এক সাথে থাকি।  এখন হুজুর আমার কি করা উচিত? আমি কি আমার স্বামীর সাথে থাকব নাকি মহরানা আদায় না  করা   পর্যন্ত আমি আলাদা থাকব?আমার প্রশ্ন হল মহরানা আদায় না করে স্ত্রী কেই স্পর্শ করা জায়েয আসে?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন,
"ولم يكن الصحابة يكتبون "صداقات" لأنهم لم يكونوا يتزوجون على مؤخر ؛ بل يعجلون المهر ، وإن أخروه فهو معروف ، فلما صار الناس يتزوجون على المؤخر والمدة تطول ويُنسى : صاروا يكتبون المؤخر ، وصار ذلك حجة في إثبات الصداق ، وفي أنها زوجة له"
সাহাবায়ে কেরাম মহর বা কাবিন নামা লিখে রাখতেন না।কেননা তারা নগদ মহর দিয়ে দিতেন।আর তারা কখনো মহরকে বাকী রাখলে সেটা সবার জানা থাকতো।অতপর পরবর্তী সময়ে যখন লোকজন বাকী মহর দ্বারা বিয়ের প্রচলন শুরু করলো,অনেক সময় পরিশোধের সময়ও বেশ দীর্ঘ থাকতো,এক্ষেত্রে ভূলে যাওয়ার সম্ভাবনাটাই স্বাভাবিক ছিলো,তখন তারা মহরকে লিখে রাখতেন।এবং এই কাগজ বা দলীলই বিয়ে ও মহরের সাক্ষী হতো।(মাজমুউল ফাতাওয়া-৩২/১৩১)

আরো জানতে ভিজিট করুন- -https://www.ifatwa.info/11919

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মহরকে বাকী রাখা যায়, সুতরাং মহর দেয়ার পূর্বে স্বামী স্ত্রীর শারিরিক সম্পর্কে কোনো ক্ষতি নেই। বরং মহরানা দেয়ার পূর্বেও স্বামী স্ত্রী শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
+1
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...