আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
94 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,

মুফতি সাহেব,আমার শাশুড়ি আমার ও আমার স্বামীর সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য (তালাক)+ তার ছেলে যেন তার পক্ষে থাকে সে সে আমাদের উপর তাবীয করে।এপর্যন্ত ১০টি তাবীয উঠানো হয়েছে।কিন্তু তাকে এই বিষয়ে বলা হলে সে পুরোটাই অস্বীকার করে এবং আবার সে কুফরি করে আমার উপর জ্বীন চালান দিয়েছে।আর এই জ্বীনের অত্যাচারে জীবন অতিষ্ঠ।জ্বীন আমার চুল পর্যন্ত কেটে ফেলেছে।জ্বীন আমাকে মেরব ফেলার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে এখনো নিচ্ছে।আমি এখনো রুকিয়া করে যাচ্ছি।

এখন আমি  আমার শাশুড়ির সাথে থাকতে চাইনা কারন সে বার বার এই কাজগুলো করছে।কিন্তু আমার স্বামী তার মা বাবা কষ্ট পাবে বলে আমাকে নিরাপদ বাসস্থান দিতে রাজি নয়।

আমার স্বামী কি আমার প্রতি অন্যায় করছেন?আমার স্বামীর কি এটা করা জায়েজ হচ্ছে?আর আমার স্বামীর কি কি পদক্ষেপ নেয়া তার বাধ্যতামূলক এই পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-


https://www.ifatwa.info/430 নং ফাতাওয়ায় 
উল্লেখ রয়েছে যে,
বিবাহের পর স্ত্রীর ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষা করে স্ত্রীকে একটি বাসস্থান ও খাদ্য এবং বস্ত্র দান করা।এটা স্বামীর উপর  স্ত্রীর অধিকার ও হক্ব এবং শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব। 

এ সম্পর্কে কোরআনের ঘোষনা হলঃ
ﻭَﻋَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑ
নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। (সূরা নিসা-১৯)

নারীদের সাথে সদ্ভাবে ব্যবহার করতে হলে তাদেরকে নিয়মমাফিক অন্ন-বস্র-বাসস্থান দিতে হবে,স্ত্রীর চিকিৎসা করানো স্বামীর উপর ওয়াজিব নয় এবং ঘরের রান্নাবান্না স্ত্রীর উপর ওয়াজিব নয়।তবে উভয়টা একটি ভালো ও উত্তম এবং প্রশংসনীয় কাজ ।

স্ত্রীর বাসস্থান কি রকম হবে?
এ সম্পর্কে  ফুকাহায়ে কিরামদের নিম্নোক্ত কিছু আলোচনা লক্ষণীয়.....
আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহ উনার চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী উক্ত আলোচনার বিস্তারিত ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা করেন,যা নিচে পৃথক পৃথকভাবে উল্লেখ করা হল,
قَوْلُهُ خَالٍ عَنْ أَهْلِهِ إلَخْ) ؛ لِأَنَّهَا تَتَضَرَّرُ بِمُشَارَكَةِ غَيْرِهَا فِيهِ؛؛ لِأَنَّهَا لَا تَأْمَنُ عَلَى مَتَاعِهَا وَيَمْنَعُهَاذَلِكَ مِنْ الْمُعَاشَرَةِ مَعَ زَوْجِهَا وَمِنْ الِاسْتِمْتَاعِ إلَّا أَنْ تَخْتَارَ ذَلِكَ؛ لِأَنَّهَا رَضِيَتْ بِانْتِقَاصِ حَقِّهَا هِدَايَةٌ )
স্ত্রীকে এমন একটি বাসস্থান দান করা স্বামীর জন্য ওয়াজিব,যা স্বামীর পরিবার থেকে খালি থাকবে,কেননা সে অন্যর উপস্থিতির ধরুণ কষ্ট উপভোগ করবে,এবং তার মাল সামানা পুরোপুরি সংরক্ষিত থাকবে না।তৃতীয় কারো উপস্থিতি স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক জীবন ও একান্ত সময় অতিবাহিত করতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে। এ জন্য একটি পৃথক বাসস্থান স্ত্রীর মৌলিক অধিকার।তবে যদি সে তার নিজ অধিকার বিসর্জন দিতে রাজি হয় যায় তাহলে তার জন্য অনুমিত রয়েছে (যদি এক্ষেত্রে গোনাহের কোনো সম্ভাবনা না থাকে)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
স্ত্রীকে অন্ন বস্ত্র ও বাসস্থান দান করা স্বামীর উপর ওয়াজিব। এবং এসব গুলো স্বামীর আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করবে। স্বামীর আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় মধ্যম ধরণের অন্ন বস্ত্র ও বাসস্থান স্বামীর উপর ওয়াজিব হবে।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর কর্তব্য।
তার যদি এটির সামর্থ্য থাকে,তাহলে সামর্থ্য থাকার পরেও প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নিরাপদ বাসস্থান না দেয়ায় তার গুনাহ হবে।

আপনার স্বামীর জন্য নিজ মায়ের সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করা উচিত।
এরকম তাবিজ ইত্যাদি করার কুফল তাকে বুঝাতে হবে।
প্রয়োজনে যাদের কথা তার মা শোনেন,তাদের মাধ্যমে বুঝাতে হবে।

আপনার জন্য শরয়ী রুকইয়াহ এর ব্যবস্থা করবে।
,
পরিস্থিতি সমাধান না হলে আপনার জীবন বাঁচানোর তাগিদে আপনাকে নিয়ে তাকে অবশ্যই আলাদা কোথাও বাসস্থান নিয়ে থাকতে হবে।

যাতে তার তাবিজ ইত্যাদির দ্বারা যেনো আর সমস্যা না হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...