আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in পবিত্রতা (Purity) by (27 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
১//  সেজদাতে বা সাহু সেজদাতে একটা সেজদা কম দিয়ে আত্তাহিয়াতু পড়ে যদি মনে পড়ে একটা সেজদা কম দিয়েছি পরে মাঝের বৈঠকের দোয়া পড়ে আবার সেজদা দিয়ে আত্তাহিয়াতু পড়ে সালাম ফেরালে কি নামায হবে?

২//  যোহরে ৬রাকাত নামায পড়লে কি হবে?  ৩:৩০ এর দিকে।

৩//  ফরজ নামাযের ক্ষেত্রে আত্তাহিয়া একটু পড়ে যদি মনে হয় সেজদা একটা কম দিয়েছি তখন সেজদা দিয়ে আত্তাহিয়াতু পড়ে আবার সাহু সেজদা দিলে কি নামায হয়ে যাবে?

৪// আজকে কাযা রোযা রেখেছি দুপুরে ঘুম থেকে উঠে আছর যখন পড়তে যাবো তখন সন্দেহ লাগছিলো যে আমি ওযু ঠিক করেছি তো?  কোনভাবে মনে করতে পারছি না কীভাবে ওযু করলাম এখন আমার রোযা কি হয়েছে?  আমি রোযাদারদের মতো আছরের ওযূ করেছি।

৫// অবিবাহিত মেয়ে রেখে কি হজ্জে যাওয়া যাবে?

৬// নাক দিয়ে নামাযের সময় শ্বাস ফেলতে না পারার কারনে পাশের জন শোনে ফেলে যদি আমি কি পড়ছি তাহলে কি আমার নামায হবে না?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু দেয়া আপনার উপর আবশ্যক ছিলো।

সেজদায়ে সাহু যেহেতু আপনি দেননি,তাই উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করা আপনার উপর ওয়াজিব।

(০২)
শরীয়তের বিধান মতে নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পরিমান বসা ফরজ।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الْحُرِّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُخَيْمِرَةَ، قَالَ أَخَذَ عَلْقَمَةُ بِيَدِي فَحَدَّثَنِي أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ أَخَذَ بِيَدِهِ وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ بِيَدِ عَبْدِ اللَّهِ فَعَلَّمَهُ التَّشَهُّدَ فِي الصَّلاَةِ فَذَكَرَ مِثْلَ دُعَاءِ حَدِيثِ الأَعْمَشِ " إِذَا قُلْتَ هَذَا أَوْ قَضَيْتَ هَذَا فَقَدْ قَضَيْتَ صَلاَتَكَ إِنْ شِئْتَ أَنْ تَقُومَ فَقُمْ وَإِنْ شِئْتَ أَنْ تَقْعُدَ فَاقْعُدْ " .

আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ নুফায়েলী, যুহায়ের, তিনি হাসান ইবনুল হুর, তিনি কাসিম ইবন্ মুখায়মারা হতে এই হাদীছটি বর্ণনা করছেন। তিনি বলেন, একদা আলকামা (রহঃ) আমার হস্ত ধারণ করে বলেন, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ) একদা আমার হাত ধরে বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম তাঁকে (আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ) নামাযের মধ্যে তাশাহুহুদ পাঠের পদ্ধতি শিক্ষা দেন। অতঃপর তিনি আ’মাশের উপরোক্ত হাদীছের মধ্যে উল্লিখিত দু’আটি শিক্ষা দেন। (৯৬৮ নং হাদীস দ্রষ্টব্য)

অতঃপর তিনি বলেনঃ যখন তুমি এই দু’আ (দু’আ মাছুরা) পাঠ করবে, তখন তোমার নামায সমাপ্ত হবে। এ সময় তুমি ইচ্ছা করলে যাওয়ার জন্য দন্ডায়মান হতে পার বা বসেও থাকতে পার।
(আবু দাউদ ৯৭০)

নামাযের শেষ বৈঠকে কেউ না বসে দাড়িয়ে গেলে তখন ঐ ব্যক্তি আবার বসে যাবে, এবং তাশাহুদ দুরুদ ইত্যাদি পড়ে তারপর শেষে সাহু সিজদা দিয়ে নামাযকে সমাপ্ত করবে। 
নামাজের শেষ বৈঠকে যদি কেউ তাশাহুদ পরিমাণ কাল বসার পর ভুলক্রমে দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে সুন্নাহ অনুসারে তাকে যেটা করতে হবে- সে সাথে সাথে বসে পড়বে এবং সাহু সিজদা দিয়ে যথারীতি সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবে। যদি সে দাঁড়িয়েই সালাম ফিরিয়ে নেয় তবু তার নামাজ হয়ে যাবে। তবে যদি ওয়াক্ত অবশিষ্ট থাকে তাহলে নামাজ পুনরায় পড়ে নিতে হবে।
(রদ্দুল মুহতার, ২/৮৭)

অতিরিক্ত রাকাতের সিজদা না করা পর্যন্ত স্মরণ হওয়ামাত্র বৈঠকে ফিরে আসবে এবং সাহু সিজদার মাধ্যমে নামায সম্পন্ন করবে।
কিন্তু অতিরিক্ত রাকাতের সিজদা করে ফেললে নামাযটি আর ফরয থাকবে না। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত নামাজে আপনি যদি ৪র্থ রাকাতের বৈঠকে তাশাহুদ পরিমাণ বসার পর ভুলক্রমে দাঁড়িয়ে গিয়ে এইভাবে ৬ রাকাত আদায় করে থাকেন,তাহলে আপনার চার রাকাত ফরজ হবে,আর বাকি দুই রাকাত নফল বলে গন্য হবে।

আর যদি আপনি ৪র্থ রাকাতের বৈঠকে না বসেই ভুলক্রমে দাঁড়িয়ে গিয়ে এইভাবে ৬ রাকাত আদায় করে থাকেন,তাহলে আপনার ফরজ নামাজ বাতিল বলে গন্য হবে।

পুনরায় আপনাকে উক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।

(০৩)
হ্যাঁ নামাজ হবে।

(০৪)
হ্যাঁ আপনার রোযা হয়েছে,অযুও হয়েছে।

(০৫)
হজ্জ ফরজ হয়ে থাকলে হজ্জে যেতে হবে।

(০৬)
আপনার নামাজ হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...